আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লহ উস্তাদ
দয়া করে উত্তর দিন, খুব পেরেশানি তে আছি। আমাকে উত্তর দিয়ে সাহায্য করুন আল্লাহর ওয়াস্তে,,
১) কেউ অজান্তে বড় কুফুরি করলো কিন্তু সে এ ব্যাপারে জানেই না তার ইমান নেই। সে নামাজী, নামাজে তাশাহুদ তো পরতে হয়, সেখানে নামাজের মধ্যে তাশাহুদ পড়ার দরুন তার ইমান অটোমেটিক নবায়ন হয়েছে কি? তাশাহুদ এ শাহাদাত পাঠ করতে হয় এজন্য বলা।
২) কুফুরি সম্পর্কে জানতো না এমন একটা বড় কুফুরি বাক্য(যেমন -আল্লাহ কে গালি) বলে ফেলেছে কি না সন্দেহ হলে কি করনীয়?
৩) আমার বিয়ের পর দ্বীনের যা ছিল সব হারিয়ে ফেলেছি। আমলে মন বসে না, শুধু গালি এসে পরে। রেগে গেলেই ওই একটা বকা দিয়ে ফেলি। কিছুদিন আগে নামাজ শেষে কোনো এক কারণে হয়তো এক নামাজ রিপিট করতে হয়েছিল বা অন্য কোনো কারণে বিরক্ত / কিছুটা রেগে গিয়ে **লের নামাজ বলে ফেলেছি, এটা কুফুরি কথা আমি তখন জানতাম না তাই তখন এটা ইচ্ছা কৃত বলেছি নাকি অনিচ্ছায়/ভুলক্রমে বলেছি সেটা এখন মনে করতে পারছি না। যেহেতু আমি কথায় কথায় গালি দিয়ে ফেলি বেশিরভাগ সময় তাই আমার মনে হচ্ছে নামাজ নিয়ে ওই গালি টা ওভাবেই বলেছি।এটা নিয়ে অনুশোচনা হয়েছে কি না মনে নেই। আল্লাহ আমাকে মাফ করুক। অন্য একদিন পাক নাপাক মেনে চলতে চলতে অতিষ্ঠ হয়ে আমার বাচ্চা টাকে মেরেছি। ওকে পরিষ্কার করে হাত ধোঁয়ার শেষে আমি **লের নিয়ম মানা লাগে এটা বলে ফেলেছি। তখন কোনো অনুশোচনা হয়নি। ওইদিন মাগরিবের সময় আমার ওই কথাটা মনে পরলে আল্লাহর কাছে তওবা করি। আর সেদিনই এসব কুফুরির কথা জানতে পেরে আমি মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। এমতাবস্থায় আমার কি করনীয় দয়া করে বলুন।
দয়া করে উত্তর দিন।আমার হাজবেন্ড কে বলেছি উনি এসব পাত্তা দেয় না । বিয়ে নবায়ন করতে বললে রাগ করে। এখন আমার কি করনীয়?
প্লিজ উস্তাদ, একটু মেহেরবানি করে উত্তর দিন এখন আমার কি করনীয়?