বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ مِمَّا يَلْحَقُ الْمُؤْمِنَ مِنْ عَمَلِهِ وَحَسَنَاتِهِ بَعْدَ مَوْتِهِ عِلْمًا علمه ونشره وَولدا صَالحا تَركه ومصحفا وَرَّثَهُ أَوْ مَسْجِدًا بَنَاهُ أَوْ بَيْتًا لِابْنِ السَّبِيلِ بَنَاهُ أَوْ نَهْرًا أَجْرَاهُ أَوْ صَدَقَةً أخرجهَا من مَاله فِي صِحَّته وحياته يلْحقهُ من بعد مَوته» . رَوَاهُ بن مَاجَه وَالْبَيْهَقِيّ فِي شعب الْإِيمَان
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মু’মিনের ইন্তিকালের পরও তার যেসব নেক ’আমল ও নেক কাজের সাওয়াব তার নিকট সব সময় পৌঁছতে থাকবে, তার মধ্যে- (১) ’ইলম বা জ্ঞান- যা সে শিখেছে এবং প্রচার করেছে; (২) নেক সন্তান- যাকে সে দুনিয়ায় রেখে গেছে; (৩) কুরআন- যা উত্তরাধিকারীদের জন্য রেখে গেছে; (৪) মাসজিদ যা সে নির্মাণ করে গেছে; (৫) মুসাফিরখানা- যা সে পথিক-মুসাফিরদের জন্য নির্মাণ করে গেছে; (৬) কূপ বা ঝর্ণা- যা সে খনন করে গেছে মানুষের পানি ব্যবহার করার জন্য এবং (৭) দান-খয়রাত- যা সুস্থ ও জীবিতবস্থায় তার ধন-সম্পদ থেকে দান করে গেছে। মৃত্যুর পর এসব নেক কাজের সাওয়াব তার নিকট পৌঁছতে থাকবে। (ইবনু মাজাহ ও বায়হাক্বী-এর শু’আবুল ঈমান) [ইবনু মাজাহ ২৪২, সহীহ তারগীব ৭৭]
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মসজিদ নির্মাণে মিস্ত্রি খরচ হোক বা ইট বালু ইত্যাদি হোক, সবকিছুর সওয়াব কিন্তু স্থায়ীভাবে ততদিনই থাকবে যতদিন মসজিদ অবশিষ্ট থাকবে। সুতরাং মিস্ত্রি খরচ আর ইট বালুর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
(১) প্রশ্নের বিবরণমতে কারো অন্তরে এই মনোভাব আসলে সেটা নাজায়েয হবে না।এবং শিরিকও হবে না।
(২) ইট,বালু ইত্যাদি দান করলে সওয়াব চলমান হতেই থাকবে যতদিন দানের জিনিস থাকবে এ ধরনের চিন্তাতে কোনো সমস্যা নেই।