আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)

আসসালামু আলাইকুম,

আমি গত ৩–৪ মাস ধরে এক বন্ধুর সঙ্গে মিডিয়া বাইয়িং (Media Buying) এর কাজ করছি।
আমাদের কাজের ধরণ এমন— অল্প কিছু ডলার খরচ করে Facebook ও Instagram থেকে ট্রাফিক এনে একটি ওয়েবসাইটে পাঠানো হয়। ওই ওয়েবসাইটে কিছু তথ্যভিত্তিক আর্টিকেল থাকে, যেখানে নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড যুক্ত করা হয়।
ইউজাররা সেই কীওয়ার্ডে ক্লিক করলে আমাদের অ্যাকাউন্টে কিছু পরিমাণ টাকা জমা হয় — এক কথায়, ad click থেকে ইনকাম হয়।

শুরুতেই আমি আমার বন্ধুকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলাম যে আমি adult, spam donation, loan, insurance ইত্যাদি টপিক নিয়ে কোনো কাজ করব না। সে তখন তাতে রাজি হয়েছিল। আগের দুইটা প্রজেক্ট আমরা এই সীমার মধ্যেই করেছি, যদিও লাভ তেমন হয়নি। এখন সেই ক্লায়েন্টগুলো আর নেই।

সম্প্রতি নতুন এক ক্লায়েন্ট এসেছে — যিনি মাসিক নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দেবেন এবং লাভের ১০% শেয়ার করবেন।
 

ক্লায়েন্টটি ভালো, তাই আমার বন্ধু তাকে রাখতে চায়। প্রথমে সে বলেছিল, যদি লাভ কম হয় তাহলে হয়তো ওই নিষিদ্ধ টপিকগুলো নিয়ে কাজ করতে হতে পারে। কিন্তু এখন সে সরাসরি আমাকে বলছে loan ও insurance টপিক নিয়ে কাজ শুরু করতে, না হলে “অন্যভাবে চিন্তা” করবে — অর্থাৎ, আমাকে কাজ থেকে বাদ দেবে।
আজই সে loan টপিকের কাজ শুরু করতে বলেছে। আমি না করার কথা বললে সে বলে, “USA-তে loan ছাড়া ঘর করা সম্ভব না”।

উল্লেখ্য, এর আগেও আমাদের ৩–৪টি ইসরাইলি ক্লায়েন্টের প্রজেক্ট এসেছিল, কিন্তু আমরা সেগুলো নেইনি।
আর কোরবানির ঈদের পর থেকে আমার কোনো স্থায়ী চাকরি নেই।
আমার স্ত্রীর টিউমার আছে, তাই তাকে প্রতি চার মাস পর পর ডাক্তার দেখাতে হয়।

এই অবস্থায় আমি খুব দ্বিধায় আছি
একদিকে, কাজটা ছেড়ে দিলে আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যাবে,
অন্যদিকে, এই টপিকগুলো নিয়ে কাজ করা নৈতিক ও ইসলামিকভাবে সঠিক নয়

আমি বুঝতে পারছি না, এই পরিস্থিতিতে আমার কী করা উচিত।
আল্লাহ তায়ালা যেন আমাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার তাওফিক দান করেন — এই দোয়াটাই করছি।
তবে আমি কোনো সঠিক পরামর্শ বা দিকনির্দেশনা পেলে খুব উপকৃত হব।

জাযাকাল্লাহ খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (717,750 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত একটি হাদীসে আছে-
لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ آكِلَ الرِّبَا وَمُؤْكِلَهُ.
যে ব্যক্তি সুদ খায় এবং যে সুদ খাওয়ায় উভয়কে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা‘নত করেছেন।(সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৯৭; জামে তিরমিযী, হাদীস ১২০৬; সুনানে নাসাঈ, হাদীস ৫১০৪)

(৪) হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত একটি হাদীসে ৭টি গুনাহকে বড় গুনাহ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তন্মধ্যে অন্যতম হল সুদ খাওয়া। -মুসনাদে বাযযার; আল মু‘জামুল কাবীর, তবারানী, হাদীস ১০২; আলমুজামুল আওসাত, তবারানী, হাদীস ৫৭০৯এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/866

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরনমতে আপনি আপনার বন্ধুর সাথে সুদি কাজে সহযোগিতা করতে পারবেন না। কেননা সুদি কাজে সহযোগিতা করা হাদীসে সুস্পষ্টভাবে নিষেধ এসেছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...