আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
17 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম। একটা বিষয় নিয়ে তিন দিন ধরে ইস্তেখারা করছিলাম। গতকালকে তৃতীয় দিন ছিল। রাতে ইস্তেখারা সালাত আদায় করে, মাঝে যেহেতু বাচ্চা আছে  তার সাথে একটু কথাবার্তা বলতে হয়েছে। তারপর দোয়া পড়তে পড়তে, ঘুমিয়ে যাই। তখন রাত ১১ঃ৩০ বাজে। খুব অল্প সময়ের জন্য, স্বপ্নে দেখি, আমি এবং আমার স্বামী বাসার ভেতরে। আর আমার  মেয়ে টা দরজার বাইরে মনে হচ্ছে স্কুল থেকে আসছে  বাসায়।

সাধারণত ওর বাবা বাসায় থাকলে ওকে স্কুলে দিয়ে আসে, তারপর গিয়ে নিয়ে আসে। তো সে একা দরজার বাইরে নক করছে। একা তো স্কুল থেকে আসতে পারার কথা না। ও বাইরে থেকে খুব আকুতি করছে আম্মু তাড়াতাড়ি দরজা খোলো। মনে হল মাথা ঘুরে পড়েও গেল। ভেতর থেকে আমি এটাই শুনতে পারলাম। আমি খুব আবেগী। তাই স্বপ্নের মধ্যেই কান্না শুরু করে দিলাম। আর ওর বাবাকে বললাম, তাড়াতাড়ি দরজা খুলেন, স্বপ্নে মনে হয় আমি রান্নাঘরে কোন কাজ করছিলাম।

আমার ইস্তেখারার বিষয়টা হচ্ছে -  আমি দিনের খেদমতের জন্য (এটা আমার উদ্দেশ্য) চিকিৎসক হিসেবে অধিক জ্ঞান অর্জনের জন্য উচ্চতর পড়াশোনা করার নিমিত্তে  বাচ্চাকে কাজের মহিলার কাছে রেখে যেতে হবে। বাচ্চার বয়স ৬ বছর। পাঁচ বছরের ডিগ্রীর দুই বছর পার করে ফেলেছি। শুরু করার আগে ইস্তেখারা করে   এগিয়েছিলাম, তখন স্বপ্নে কিছু দেখিনি।

তারপর দুই বছরের মাথায়  বড় রকমের একটা ঝামেলা দেখার যাওয়ায়,তখন ইস্তেখারা  মনে হচ্ছিল কোর্সটা ছেড়ে দিই। ছুটি নেই ছয় মাসের। ইচ্ছে ছিল কোর্সটা ছেড়েই দিব। কিন্তু এখন ছুটি শেষ।  তাই দোটানায় পড়ে গিয়ে আবার ইস্তেখারা শুরু করি। এর মধ্যে এই স্বপ্নটা দেখি।

আরেকটা প্রশ্ন -যে কাজটা ইস্তেখারা করে শুরু হয়েছিল, দুই বছরের মাথায় ইস্তেখারা করে ওই কাছ থেকে একেবারে মন ঘুরে  গেল । এখন আবার ইস্তেখারা করে দোটানায়। কেন এমন হচ্ছে? কাইন্ডলি এই বিষয়টা একটু ব্যাখ্যা করবেন।

শুরু করলাম ইস্তেখারা করে, মাঝে আবার ইস্তেখারায় মন প্রচন্ড নেগেটিভ সায়  দিচ্ছিল। ছয় মাস পরে এখন আবার ইস্তেখারায়  দোটানায়। পরিবার থেকে(বাবা মা)  চাপ আছে জয়েন করার জন্য। দেড় মাস আগে একটা স্বপ্নে দেখি, অনেকগুলি পুরুষ(নন মাহরাম ) সাথে কোথাও যাচ্ছি, সন্ধ্যা হয়ে যাবে ভেবে ফেরত আসি। এটাতে অনেকটা নেগেটিভ বোঝা যায়। যদিও প্রথম দুই বছর আমাকে পুরুষ পরিবেশে থাকতে হয়। এখন অনেকটা কম। এটা ইস্তেখারায় দেখা।

দয়া করে গত কালকে স্বপ্নের ব্যাখ্যাটা জানতে চাচ্ছি। এটা কি কোন বিশেষ অর্থ বহন করে? যেহেতু ডান কাতে শুয়ে, ইস্তেখারা করা অবস্থায় দেখেছি। আরেকবার স্বপ্নে  দেখলাম আমি ডিউটি করতে যাচ্ছি, কিন্তু মনটা খুবই খারাপ।স্বপ্নে  বললাম অবশেষে আমাকে যেতেই হল ডিউটিতে। এই স্বপ্নটা অবশ্য মাঝরাতে বা পরে দেখেছি। দুটো স্বপ্নের অর্থ জানতে চাচ্ছি
আমার আরো কিছু প্রশ্ন আছে
১।আমার স্বামী এবং আমি দুজনেই চিকিৎসক। এই কোর্সটাতে ঢোকার আগে আমার স্বামী বলেছিল সন্তান নিয়ে নিতে। কিন্তু এখানে ঢোকার পর সে আর কোন সন্তান চায় না।এক্ষেত্রেতার এই অনিচ্ছার পেছনে  আমার কোর্সটা দায়ী। যদিও সেটা সরাসরি কিছু বলো না। সে ক্ষেত্রে কি আমি গুনাগার হব?

২।আমার স্বামী যে সাবজেক্টে ডিগ্রী করেছে তার থেকে আমার ডিগ্রি সাবজেক্ট টা বেশি দামি (যদিও আমারটা শুধু মহিলাদের সাবজেক্ট) এক্ষেত্রে আমার স্বামী যদি কখনো নিজেকে ছোট মনে করেন, এতে কষ্ট পান এতে কি আমার গুনাহ হবে? আমি নিজে কোন আচরণে এমন ভাবে প্রকাশ হতে দেই না। কিন্তু উনি না বুঝেই কষ্ট পান। এতে কি আমার গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
ago by (716,910 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যখন কারো সামনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এসে উপস্থিত হবে।এবং সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যে, সে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবে।তাহলে এমন পরিস্থিতে তার জন্য উচিৎ ইস্তেখারা করা তথা ভালো দিক কে অন্বেষণ করা।অবশ্যই ইস্তেখারা, নামাযের মাধ্যমেই করবে। ইস্তেখারার পদ্ধতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এক হাদীসে বলেন, দুই রা'কাত নামায পড়ে বিশেষ মনোযোগের সাথে (নিম্নে উল্লেখিত) দু'আ পড়বে।তাহলে হয়তো তার মন কোনো এক দিকে ধাবিত হবে,বা সে স্বপ্নযোগে কোনো এক ইশারা পাবে।  এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1472


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইস্তেখারার অর্থ হল, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে রাব্বে কারীমের মদদ আর সাহায্য কামনা করা। সেটা হয়তো স্বপ্নের মাধ্যমে কাউকে ইঙ্গিত দেয়া হতে পারে আবার কারো অন্তরে সেদিকে টান অনুভব সৃষ্টি করা হতে পারে। যতদিন না মন কোনো এক দিকে ধাবিত হচ্ছে ততদিন আপনি ইস্তেখারা করবেন। 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনার উদ্দেশ্যে হল দ্বীন ও ইসলাম এবং মুসলমানের খেদমত করা, এবং এই উদ্দেশ্যকে পাকাপোক্ত করেই আপনি ইস্তেখারা করে ভর্তি হয়েছিলেন, কাজেই নিজ ঈমান আমল ও পর্দাপুশিদাকে হেফাজতে রেখে আপনি কোর্সটি চালিয়ে যান। প্রশ্নে নেগেটিভ কিছু আমরা দেখতে পারতেছি না।

(১) আপনি আপনার স্বামীকে বুঝিয়ে শুনিয়ে সন্তান নিতে রাজী করুন এবং এখনই সন্তান নেয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
(২) আপনার কোনো আচরণ বা ব্যবহারে যদি প্রকাশ না পায় যে, আপনি উচ্চমানের ডিগ্রি অর্জন করছেন বা করে নিয়েছেন, তাহলে কখনোই কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...