আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
62 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ উস্তায

১)গোপন শত্রুর সাথে কেমন ব্যবহার করা উচিত?আমার আত্মীয়( চাচার পরিবার)এবং প্রতিবেশী মুসলীম আছে , যাদের সাথে আমাদের সম্পত্তি নিয়ে ছোটবেলায়  ঝগড়া বিবাদ হয়েছিল।তারা লটারি করে সম্পত্তি ভাগ করতে চাইছিল পরবর্তীতে আমাদের পরিবার মানেনি, বিচার এর মাধ্যমে সম্পদ ভাগ হয়েছিল । তবে ইদানিং কয়েকবছর থেকেই তাদের সাথে আমাদের মিল হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ । কিন্তু আমরা বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে বোঝতে পেরেছি যে তারা সামনে আমাদের সাথে ভালো ব্যবহার করে, আমাদের ঘরে আসে যায়। আমাদের  সকল ব্যক্তিগত বিষয় জানার চেষ্টা করে ,তারপর তারা জাদুটোনা ইত্যাদির মাধ্যমে আমাদের ক্ষতি করে। তারা যেহেতু আত্মীয় + প্রতিবেশী তাদের সাথে তো সম্পর্ক ছিন্ন করা যায়না। আবার আসা যাওয়া করলে তারা আমাদেরকে আমাদের ব্যক্তিগত গোপন বিষয় সম্পর্কে বারবার জিজ্ঞাসা করতে থাকে।যেমন:- আমার ভাইয়েরা কোন জায়গায় চাকরি করে ,সেটা জেনে ওখানে তারা যায়। পরবর্তীতে দেখা যায় কয়েকদিনের ভিতর আমার এক ভাই চাকরি ছেড়ে চলৈ আসে,সামান্য কারনে। আমার এবং আমার বড়বোনের সংসার ভেঙেছে অল্প কিছু দিনের ব্যবধানে, এগুলোতে তারা জড়িত ছিল ,পরবর্তীতে সেটা আমরা বুঝতে পারছি। আমার এক জায়গায় বিয়ে  ঠিক হয়েছে , তো তারা এসেই জিজ্ঞাসা করবে,বিয়ে কোন দিন ?হবু শশুরবাড়ির মানুষ আসলে তাদেরকে বিভিন্ন কুমন্ত্রণা মুলক কথা বলে আমাদের চোখের সামনেই। ব্যক্তিগত বিষয় আমরা বলতে না চাইলে ও একাধিক বার জিজ্ঞাসা করে তারা জানার চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে তাদের আসা যাওয়া যেহেতু আমাদের জন্য হুমকি স্বরূপ এমন অবস্থায় তারা যেন না আসে বা আসলে ও তারা যে আমাদের ক্ষতি করেছে এটা আমরা বুঝতে পেরেছি - এজন্য তাদের কে আসলে মেহমানদারি বা আপ্যায়ন বা সৌজন্যমূলক আচরন থেকে বিরত থাকলে কি গুনাহ হবে?
২)আমার বাবা ও আমাদের সাথে শত্রুর মতো আচরণ করেন। আমার  হবু শশুরবাড়ি মানুষের সাথে খারাপ আচরন করেন। হবু শশুরের সাথে খারাপ আচরন করেছিলেন , পরে আমি বাবাকে কিছু কঠোর কথা বলে ছিলাম । পরবর্তীতে আবার বাবার কাছে মাফ চেয়েছিলাম। আবার হবু শশুরবাড়িতে যেয়ে ও শশুর শাশুড়ির কাছে ও মাফ চাইতে হয়েছে আমার বাবার ব্যবহারের জন্য। হবু স্বামী বিদেশে থাকে কয়েকমাস পরে আসবে - এর মধ্যে আত্মীয়দের মধ্যেই অনেকে চাচ্ছে এই বিয়েটা ও ভাঙ্গে যাক । আল্লাহ হিফাজত করুন।
তার উপর আমার নিজের বাবা ও খারাপ আচরন করেন হবু শশুরবাড়ির মানুষের সাথে। এজন্য অনেক সময় মনে হয় আমি বাবার সাথে আর কথা বলবো না , তাহলে তিনি বোঝতে পারবেন যে যদি ও তারা এখনো আমার শশুরবাড়ির লোক হয়নি তবু ও আমার কষ্ট অনুভূত হয় ,তাদের সাথে খারাপ আচরন করলে।  এমন টা করলে কি আমার গুনাহ হবে? এক্ষেত্রে বাবার সাথে আমার আচরন কেমন হওয়া উচিত? উল্লেখ্য: আমার বাবা একজন সুন্নি মানুষ। আর আমি কওমি মাদ্রাসায় পড়ি , অনলাইনে বাবা ই প্রথভ ভর্তি করিয়েদিছিলেন পরবর্তীতে পড়াশুনা দেখে তিনি বুঝতে পারছিলেন আমি কওমি মাদ্রাসায় পড়ছি , কওমি মাদ্রাসার রোলস ফলো করি।

1 Answer

0 votes
by (704,010 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/18346/ ফতোয়ায় উল্লেখ রয়েছেঃ 
আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা নাজায়েজ,এক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ সাঃ অনেক কঠোরভাষা ব্যবহার করেছেন।

হাদীস শরীফে এসেছে  

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعُ رَحِمٍ " . - صحيح

জুবাইর ইবনু মুত্বঈম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।

.(বুখারী ৫৯৮৪, মুসলিম ১৯-(২৫৫৫), আবূ দাঊদ ১৬৯৬, তিরমিযী ১৯০৯, সহীহুল জামি‘ ৭৬৭১, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২৫৪০ সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ৪৫, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ২০২৩৪, মুসনাদুল বাযযার ৩৪০৫, আহমাদ ১৬৭৩২, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৭৩৯২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৫৪, শু‘আবুল ঈমান ৭৯৫২, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ১৪৯১, আর মু‘জামুল আওসাত্ব ৯২৮৭।)

আরো জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনারা তাদের হতে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে পারবেন।

এক্ষেত্রে তারা আপনাদের বাসায় আসলে আসলে মেহমানদারি বা আপ্যায়ন থেকে বিরত থাকলে গুনাহ হবেনা।
তবে কথা বলা বন্ধ করা যাবেনা। কমপক্ষে সালাম বিনিময় করতে হবে। কুশলাদি বিনিময় করবেন।

(০২)
বাবার সাথে সৎ ব্যবহারের সহিত জীবন যাপন করতে হবে।

এক্ষেত্রে হিকমতের পথ অবলম্বন করে চলতে  পারেন।

এমতাবস্থায় বিশেষ প্রয়োজনে সাময়িক কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে চললেও সমস্যা হবেনা।

তবে বাবার হক আদায়ে যেনো কোনো গাফিলতি না হয়।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,

وَإِن جَاهَدَاكَ عَلَىٰ أَن تُشْرِكَ بِي مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَا ۖ وَصَاحِبْهُمَا فِي الدُّنْيَا مَعْرُوفًا ۖ وَاتَّبِعْ سَبِيلَ مَنْ أَنَابَ إِلَيَّ ۚ ثُمَّ إِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَأُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ

পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরীক স্থির করতে পীড়াপীড়ি করে, যার জ্ঞান তোমার নেই; তবে তুমি তাদের কথা মানবে না এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাবে সহঅবস্থান করবে। যে আমার অভিমুখী হয়, তার পথ অনুসরণ করবে। অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে এবং তোমরা যা করতে, আমি সে বিষয়ে তোমাদেরকে জ্ঞাত করবো।(সূরা লুকমান-১৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...