বাংলাদেশের স্কুল কলেজে বিভিন্ন ধর্মের শিক্ষার্থী পড়েন,তাদের ও ধর্ম শিক্ষা নামে একটি সাবজেক্ট থাকে।
১. কোনো সরকারি বা বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক / শ্রেণি শিক্ষক / পরীক্ষা কমিটির প্রধান যদি, কোনো পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্বে থাকেন,
এবং তার অধীনে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ধর্ম শিক্ষার পরীক্ষার প্রশ্ন সংগ্রহ ও পরীক্ষা আয়োজন হয় —
তাহলে এ দায়িত্ব পালনের কারণে কি তিনি কাফের হয়ে যাবেন?
২. অনেক সময় শিক্ষক সংকটের কারণে মুসলিম শিক্ষককেই বলা হয়,হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিষ্টান ধর্ম শিক্ষার প্রশ্ন তৈরি করতে বা উত্তর যাচাই করতে,তাদের সিলেবাস অনুযায়ী।
এক্ষেত্রে যদি ওই মুসলিম শিক্ষক শুধু দায়িত্ববশত প্রশ্ন তৈরি বা উত্তর যাচাই করেন,
কিন্তু ওই ধর্মের কোনো বিষয়কে সত্য বা গ্রহণযোগ্য মনে না করেন,
তাহলে কি তিনি কুফরে লিপ্ত হবেন?
৩. সরকারি নির্দেশনায় অনেক সময় স্কুলে পুজার আয়োজন করা হয়, বা ছাত্ররা করে, প্রধান শিক্ষক বা প্রিন্সিপালকে পদাধিকার বলে এই কমিটির প্রধান রাখা হয়, উনি স্কুল বা কলেজ ফান্ড থেকে বাজেট প্রদানের কাজ করেন, উনার এই নাম মাত্র দায়িত্বে থাকার কারণে কি কুফর হবে?
৪. আমার স্ত্রীকে একদিন বলি আমি বাইরে কি খাইছি বলো তো? সে বলে চা খাইছো! তখন বলি কিভাবে জানলে? সে মজা করে বলে আমার অনেক চোখ, আমি সব দেখি, সব জানি। তার এই কথায় কি সে কাফের হবে?
৫. একটা গান আক্ষরিকভাবে কুফরি, যদিও লাইন গুলোকে তাবিল করার একটা সুযোগ হয়তো থাকে, আমার বউ গানটা মাঝে মাঝে গেয়ে উঠে৷ গতকালকে গাওয়ার সময় বললাম এটা কি গাচ্ছিলে. তখন বলে সরি ভুলে গেয়েফেলেছি, পরে তওবা করে,
এভাবে ভুল করে এসব গান গেলে কি কাফের হয়ে যায়?