আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম,আমার বাবা ১জন ব্যাংক কর্মকর্তা ছিলেন।২০১৮সালে তিনি রিটায়ার্ড করেন,কিছুদিন আগে তিনি মারা গেছেন।অবসর গ্রহণের পর থেকে উনার মধ্যে আগের তুলনায় হাজার গুণ বেশি আল্লাহতা'লার প্রতি মোহাব্বত দেখছি।তার অন্য বিষয়ে ভুল পাইনি কিন্তু তিনি ব্যাংকের চাকরিকে হালাল মনে করতেন,আল্লাহতা'লা উনাকে ক্ষমা করুন।

মৃত্যুর পূর্বে স্পেসিফিক এই বিষয়ে তওবা করেছিলেন কিনা আমার জানা নেই,তবে নিয়মিত তাহাজ্জুদ কিংবা আরো যত নফল নামায ছিলো সে সব আদায়ের পর প্রতিদিনই প্রতিনিয়ত ক্ষমা প্রার্থনা করতেন রবের নিকট অশ্রুসিক্ত নয়নে----জেনে,না জেনে যত গুনাহ করেছেন তার জন্য।

তিনি সঞ্চয়পত্র কিনে রেখেছিলেন তার থেকে যা ইন্টারেস্ট আসে,বাড়িভাড়া এবং পেনশনের টাকা দিয়ে সংসার চালাতেন।আমরা ৪বোন এবং ভাই নেই। উপার্জনক্ষম কেউ নেই।উনি ও সামর্থ্যবান ছিলেন না কাজ করার জন্য।তাই সংসার চালানোর জন্য এই টাকাগুলো গ্রহণ করতেন।মনে করতেন সংসার চলবে না আর চালানোর উপায় নেই তাই গ্রহণ করতেন।

উনার ২জায়গায় জমি আছে,এর মধ্যে বাড়ির জমি হালাল টাকায় কেনা কিন্তু বাড়ী করেন ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে।এখন এই বাড়ীভাড়া হালাল হবে কি?আর বাকি যে জমি তা যতটুকু জানি চাকরির টাকায়ই কেনা,আমি সঠিকভাবে বলতে পারছিনা।হতেও পারে আত্মীয় থেকে ধার নিয়ে কেনা,পরে শোধ করেছেন।আমার ১০০% সঠিক তথ্য জানা নেই।

তিনি দান খয়রাত করতেন বেহিসাবে,আজ পর্যন্ত কেমন টাকা দান করেছেন তা আমাদের হিসাব করা নেই।তবে যেকোনো অভাবী এবং আত্মীয় স্বজনদের অনেক বেশি টাকার পরিমাণ দিয়ে গেছেন।শুনেছি সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করলে সুদের জন্য শাস্তি পেতে হয় না।এই ক্ষেত্রে আমার বাবার টাকা আমি যদি গ্রহণ করি এবং তার মধ্য থেকে অনেক বেশি এমাউন্ট সওয়াবের নিয়ত ছাড়া বাবার মাগফিরাত এর জন্য দান করি তিনি কি এই গুনাহর শাস্তি থেকে মুক্তি পাবেন!আর এই টাকা গ্রহণ জায়েজ হবে কি আমার জন্য!!

তিনি স্পেসিফিকভাবে মৃত্যুর পূর্বে এই সুদের জন্য তওবা করেছেন কিনা আমার জানা নেই,তবে নিয়মিত সামগ্রিক দোষত্রুটির জন্য ক্ষমা চাইতেন।তিনি মৃত্যুকালে শাহাদাত আঙুল উপরে তুলে কালিমা পড়ে মৃত্যুবরণ করেন,আল্লাহতা'লা উনাকে ক্ষমা করুন।

1 Answer

0 votes
by (732,000 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া। নতুবা জনকল্যাণ মূলক কাজে ব্যবহার করা(জাদীদ ফেকহি মাসাঈল-৪/৫২) কিংবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪) 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1900

في الشامية: والحاصل: أنه إن علم أرباب الأموال وجب رده عليهم، وإلا فإن علم عين الحرام لايحل له ويتصدق به بنية صاحبه''. (5/99،مَطْلَبٌ فِيمَنْ وَرِثَ مَالًا حَرَامًا، ط: سعید)   فقط واللہ اعلم

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বাবার ইনকাম যদি হারাম থেকে হয়ে থাকে, যেমনটা প্রশ্নে উল্লেখিত। এমন সম্পকে সদকাহ করা ওয়াজিব। সন্তান হিসেবে এমন সম্পদের ওয়ারিছ আপনি হবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...