আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (16 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম।

একজন মহিলার অল্প কিছু স্বর্ণ আছে, যার বিক্রয়মূল্য দিয়ে তার পক্ষে হজ্জ করা সম্ভব না। কিন্তু, তার জমি বিক্রি করলে হজ্জের টাকা হয়।

১। সেক্ষেত্রে জমি বিক্রি দুজনের হজ্জের পরিমাণ টাকা হলে কি তাকে জমি বিক্রি করে নিজের ও মহরামের খরচ বহন করে হজ্জে যেতে হবে? নাকি মাহরাম নিজের টাকায় যাবে না বলে হজ্জ ফরয হবে না?

২। জমি বিক্রি করে কেবল নিজের হজ্জের টাকা হলে, সেই টাকা দিয়ে কি বদলি হজ্জ করাতে অন্য কাউকে? (যেহেতু, মাহরাম ছাড়া একা তিনি যেতে পারছেন না)

1 Answer

0 votes
by (704,100 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হজ্ব ফরজ হয় দৈনন্দিন খরচ বাদে হজ্বে আবশ্যকীয় প্রয়োজনে যে পরিমাণ টাকা প্রয়োজন তথা যাওয়া আসা, সেখানে থাকা খাওয়া ইত্যাদি পরিমাণ টাকা থাকলে ব্যক্তির উপর হজ্ব করা ফরজ হয়ে থাকে।

সে হিসেবে দেখতে হবে বর্তমানে হজ্ব করতে গেলে কত টাকা লাগবে। সে টাকা উক্ত ব্যক্তির কাছে থাকলে তার উপর হজ্ব করা আবশ্যক।

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন শরিফে এরশাদ করেনঃ   
ولله على الناس حج البيت من استطاع اليه سبيلا، ومن كفر فان الله غنى عن العلمين.
 (তরজমা) মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বায়তুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের উপর আল্লাহরউদ্দেশ্যে এ গৃহের হজ্ব করা ফরয। আর কেউ যদি অস্বীকার করে তাহলে তোমাদের জেনে রাখা উচিতযে, আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিজগতের প্রতি মুখাপেক্ষী নন।-সূরা আলে ইমরান (৩) : ৯৭
,
★ফাতওয়ার কিতাবে এসেছেঃ   
যার মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র এবং নিজের ও পরিবারের ভরণ-পোষণের খরচের অতিরিক্ত এই পরিমাণ টাকা-পয়সা বা সম্পত্তি আছে, যা দ্বারা হজ্জে যাওয়া-আসার ব্যয় এবং হজ্জকালীন সাংসারিক খরচ হয়ে যায়, তার উপর হজ্জ করা ফরয। (আদ্দুরুল মুখতার মা‘আ রদ্দিল মুহতার ২/৪৫৮)

হজ্জ যে বছর ফরয হয় সে বছরই তা আদায় করা ওয়াজিব। গ্রহণযোগ্য কোনো ওযর ছাড়া হজ্জ বিলম্বিত করলে গুনাহ হবে। তবে পরবর্তীতে হজ্জ আদায় করে নিলে এই গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার ৩/৫১৭ রশীদিয়া, কিতাবুল মাসাইল ৩/৭৬)
,

মহিলাদের উপর হজ্বঃ

দৈনন্দিন খরচ বাদে হজ্বে আবশ্যকীয় প্রয়োজনে যে পরিমাণ টাকা প্রয়োজন তথা যাওয়া আসা, সেখানে থাকা খাওয়া ইত্যাদি পরিমাণ টাকা থাকলে এবং সফর সঙ্গি হিসেবে স্বামী বা মাহরাম কেউ থাকলে ঐ মহিলার উপর হজ্ব করা ফরজ হয়ে থাকে।

স্বামী উভয়ের খরচ বহনে সক্ষম হ’লেই স্ত্রীর উপর হজ্জ ফরয হয় না।

বরং স্ত্রীর যদি নিজ মালিকানায় হজ ফরজ হওয়ার মতো সম্পদ থাকে,তাহলে তার উপর হজ ফরজ হবে।

নারীদের সাথে মাহরাম ব্যক্তি থাকা অপরিহার্য।
মাহরাম সাথে না থাকলে হজে যাওয়া জায়েজ নেই।

যদি কোনো মাহরাম হজে যাওয়ার মতো না থাকে,সেক্ষেত্রে মাহরাম পুরুষকে হজে নিয়ে যাওয়ার সামর্থ থাকা উক্ত মহিলার উপর হজ্ব ফরজ হওয়ার শর্ত বলে বিবেচিত হবে।
নতুবা হজ্ব আদায় করবেনা।

আরো জানুনঃ-https://ifatwa.info/21183/

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
https://www.ifatwa.info/119758/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
হজ্ব ঐ সাবালক মুসলমানের উপর ফরয যার নিকট নিজের জরুরত এবং পরিবার পরিজনের ভরণপোষণের পর এই পরিমাণ টাকা অবশিষ্ট থাকবে, যেই টাকা দিয়ে সে হজ্ব করতে পারবে। সুতরাং কারো মালিকানাধীন যদি এই পরিমাণ জমি থাকে যে, নিজ পরিবার পরিজনের জন্য বৎসরান্তে যতটুকু ফসলের প্রয়োজন সেই পরিমাণ জমি বাদেও অতিরিক্ত এই পরিমাণ জমি থাকে, যা বিক্রি করলে সে হজ্ব করতে পারবে, তাহলে তার উপরও হজ্ব ফরয হবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
উল্লেখিত জমিগুলো যদি তার প্রয়োজন অতিরিক্ত হয়,সেক্ষেত্রে তার উপর হজ্ব ফরজ হবে। 

(০২)
জীবিত থাকা বা অতি বৃদ্ধ না হওয়া অথবা সুস্থ থাকা অবস্থায় এভাবে অন্য কাউকে দিয়ে বদলি হজ্ব করানো যাবেনা।

আপনি মাহরামের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। না পেলে কোনো মাহরামমে করজ দিয়ে তাকে নিয়ে হজ্বে যেতে পারেন।
চাইলে মাহরামকে খরচ দিয়ে হলেও তাকে নিয়ে হজ্বে যেতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...