আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (7 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।

১। আমার আপু উনার  হাসবেন্ডকে দেখানোর জন্য আজকে হাতে মেহেদী দিচ্ছেন। হঠাৎ মনে পরলো আপুতো কয়েকদিন পরেই উমরাহতে যাচ্ছেন । তাহলে মেহেদী থাকা অবস্থায় উমরাহ করতে গেলে কি গুনাহ হবে? এটা একটু জানতে চাচ্ছিলাম।

২। আগেবার যখন উমরাহতে গিয়েছিলাম তখন ইহরাম অবস্থায় কাবাঘর ধরেছিলাম। এতে কি আমার ইহরাম ভঙ্গ হয়ে গিয়েছিলো?

৩। আবার ইহরাম বাধা অবস্থায় রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবারও খেয়েছিলাম। এতেও কি ইহরাম ভঙ্গ হয়ে গিয়েছিল?

৪। আর মদিনায় রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের জন্য রেজিষ্ট্রেশন কি নিজে নিজে করতে হয় ? এই বিষয়ে যদি একটু বলতে। আমরা আগেরবার যখন গিয়েছিলাম তখন ওখানে কাজ করে একজন, উনি রেজিষ্ট্রেশন করে দিয়েছিলেন। তার জন্য কিছু রিয়ালও চেয়েছিলেন। মনে নাই কতো নিয়েছিলেন। এবার গেলে কিভাবে যেতে পারি ওখানে। এই বিষয়ে একটু ডিটেইলসে বলিয়েন ইন শা আল্লাহ। জাযাকাল্লাহ খইরন।

1 Answer

0 votes
by (704,100 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَجُلاً قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا يَلْبَسُ الْمُحْرِمُ مِنْ الثِّيَابِ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يَلْبَسُ الْقُمُصَ وَلاَ الْعَمَائِمَ وَلاَ السَّرَاوِيلاَتِ وَلاَ الْبَرَانِسَ وَلاَ الْخِفَافَ إِلاَّ أَحَدٌ لاَ يَجِدُ نَعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسْ خُفَّيْنِ وَلْيَقْطَعْهُمَا أَسْفَلَ مِنْ الْكَعْبَيْنِ وَلاَ تَلْبَسُوا مِنْ الثِّيَابِ شَيْئًا مَسَّهُ الزَّعْفَرَانُ أَوْ وَرْسٌ
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! মুহরিম ব্যক্তি কী প্রকারের কাপড় পরবে? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে জামা, পাগড়ী, পায়জামা, টুপি ও মোজা পরিধান করবে না। তবে কারো জুতা না থাকলে সে টাখ্নুর নিচ পর্যন্ত মোজা কেটে (জুতার ন্যায়) পরবে। 

তোমরা জা‘ফরান বা ওয়ারস্ (এক প্রকার খুশবু) রঞ্জিত কোন কাপড় পরবে না। [আবূ ‘আবদুল্লাহ (রহ.) বলেন, মুহরিম ব্যক্তি মাথা ধুতে পারবে। চুল অাঁচড়াবে না, শরীর চুলকাবে না। মাথা ও শরীর হতে উকুন যমীনে ফেলে দিবে।] 

(বুখারী শরীফ ১৫৪২.১৩৪, মুসলিম ১৫/১, হাঃ ১১৭৭, আহমাদ ৪৮৩৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪৪৭)

غنية الناسك في بغية المناسك (ص:35، المطبعة الخيرية، هند):
"أما الثوب فلايجوز أن يتطيب بما تبقى عينه بعد الإحرام إجماعاً
সারমর্মঃ-
কাপড়কে আতর লাগিয়ে নেয়া,যার চিহ্ন ইহরামের পরেও বাকি থাকবে,এটি জায়েজ নেই।

أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ عَنْ وَكِيعٍ عَنْ مِسْعَرٍ وَسُفْيَانُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَشِرِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ يَقُولُ لَأَنْ أُصْبِحَ مُطَّلِيًا بِقَطِرَانٍ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أُصْبِحَ مُحْرِمًا أَنْضَحُ طِيبًا فَدَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ فَأَخْبَرْتُهَا بِقَوْلِهِ فَقَالَتْ طَيَّبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَطَافَ فِي نِسَائِهِ ثُمَّ أَصْبَحَ مُحْرِمًا 
হান্নাদ ইবন সারী (রহঃ) ... ইবরাহীম ইবন মুহাম্মদ ইবন মুনতাশির তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, আমি ইবন উমর (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ ইহরাম অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার করা অপেক্ষা আমার কাছে আলকাতরা ব্যবহার করা অধিক পছন্দনীয়। আমি আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে এ কথা জানালে তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সুগন্ধি লাগিয়েছি; আর তিনি তাঁর স্ত্রীদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। তারপর তিনি ইহরাম বেঁধেছেন।
(নাসায়ী ২৭০৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এখন মেহেদী লাগানো নাজায়েজ হবেনা।
তবে লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো তাতে সুগন্ধি না থাকা।

(০২)
এক্ষেত্রে যদি আপনার হাত মুখে অধিক সুগন্ধি লেগে যায়, তাহলে আপনাকে দম দিতে হবে।

আর যদি আপনার হাতে,চেহারায় অধিক সুগন্ধি না লাগে, অল্প একটু সুগন্ধি লাগে, সেক্ষেত্রে আপনি সদকায়ে ফিতর সমপরিমান পরিমাণ টাকা গরিব মিসকিনদের মাঝে দান করে দিবেন।

(০৩)
এর দরুন ইহরাম ভঙ্গ হয়নি।

(০৪)
নিজে নিজেও করা যায়,কাহারো মাধ্যমেও করা যায়।

আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন, তাদের সাথে পূর্ব হতেই উক্ত বিষয় নিয়ে কথা বলে থাকলে তাহলে তারাই আপনাকে ফ্রিতে রেজিস্ট্রেশন করে দিবেন।

রিয়াজুল জান্নাতে (Riyādh al-Jannah) প্রবেশ করার জন্য এখন একটি অনুমোদন (permit) বা “রেজিস্ট্রেশন” প্রয়োজন, এবং এটি নিজে-নিজে (আপনি নিজেই) অ্যাপের মাধ্যমে করা যায়।

অনুমতিপত্র (permit) পাওয়ার জন্য “Nusuk অ্যাপ” ব্যবহার করতে হবে। 

অনুমোদন পাওয়ার পরে একটি QR কোড দেওয়া হয়, যা প্রবেশের সময় স্ক্যান করতে হয়। 

রেজিস্ট্রেশন / আবেদন করার পদ্ধতি (স্টেপ-বাই-স্টেপ)

★ Nusuk অ্যাপ ডাউনলোড করুন

আপনার স্মার্টফোনে Nusuk অ্যাপ ইনস্টল করতে হবে।

★ অ্যাকাউন্ট তৈরি ও প্রোফাইল সেটআপ।

অ্যাপে সাইন ইন করুন, আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিন। সাধারণত আপনার হজ বা উমরা ভিসা নম্বর চাইতে পারে। 

★ “Praying in the Noble Rawdah” বা “Riyādh al-Jannah” নির্বাচন করুন

আবেদন করার মেনুতে “Praying in the Noble Rawdah” অপশন নির্বাচন করুন (অ্যাপ-এর সেবা লিস্টে)। 

★তারিখ ও সময় স্লট নির্বাচন করুন।

অ্যাপে অনুমোদনের জন্য নির্দিষ্ট সময় এবং তারিখ নির্বাচন করতে হবে। 

★ QR কোড পাবেন।

আবেদন সফল হলে, আপনাকে একটি QR কোড দেওয়া হবে, যা স্ক্রিনশট হিসেবে সংরক্ষণ করতে পারেন বা ফোনে রাখতে পারেন। 

★মসজিদে প্রবেশ।

আপনার নির্ধারিত সময় পৌঁছান, অনুমোদন (QR) দেখান প্রবেশপয়েন্টে। সম্ভবত নির্দিষ্ট গেট আছে প্রবেশের জন্য। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...