মাসিকের পর হলুদ ডিসচার্জ

Question

আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ।
সাধারণত আমার পিরিয়ডের রক্তস্রাব থাকে ৬-৭দিন।এরপরে ৮ম-৯ম দিন ন্যাপকিনে কিছুই দেখা যায় না,কিন্তু টিস্যু দিয়ে জরায়ুর ভিতরের দিকে নিলে একদম হাল্কা হলুদ/ঘিয়া ডিসচার্জ দেখা যায়,যেটা পিরিয়ডের স্রাবের মত বাইরে প্রবাহিত হয়না,আবার পরিপূর্ণ সাদাও না।শুধু টিস্যু নিয়ে একটু ভিতরের দিকে চাপ দিলেই এই স্রাব দেখা যায়।তারপর নবম দিনের শেষদিকে বা ১০ম দিনে টিস্যু দিয়ে ভিতরের দিকে চাপ দিলে সাদাস্রাব দেখা যায়।শেষ দিকের ২-৩দিন যে শুধু ঘিয়া ডিসচার্জ দেখা যায়,যেটা শুধু ভিতরের দিকে চাপ দিলেই বুঝা যায়,জরায়ুর মুখে শুধু একটু লেগে থাকে,এই স্রাব টেরও পাওয়া যায় না,ন্যাপকিনেও দাগ লাগে না,এই অবস্থায় কি নামায বন্ধ রাখতে হবে?

(বিদ্র:এম্নিতে পবিত্র থাকাকালীন সময়ে প্রায় দিনই আমার থেমে থেমে সাদাস্রাব হয়,যেটা মাঝে মাঝে কিছুটা ঘিয়া কালার দেখা যায়,ক্লিয়ার সাদা না)

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

কুরসুফ ঐ তুলা বা তুলা জাতীয় জিনিষকে বলা হয়,যা পবিত্রতা/অপবিত্রতাকে পরীক্ষা করার জন্য মাসিকের রাস্তায় প্রবেশ করানো হতো। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/497

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

কুরসুফ তথা তুলা/টিস্যু যতদিন না সাদা দৃষ্টিগোচর হচ্ছে, ততদিন হায়েয গণনা করা হবে। সুতরাং ১০ম  দিনে হায়েয সমাপ্তি বলে ধরে নিবেন।জাযাকাল্লাহ।