আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
18 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম।  এটা কোনো মাসআলা জিজ্ঞাসা না।  একটা কৌতুহলি প্রশ্ন৷
সবসময় শুনি উমরা/হজ্ব এগুলো টাকা নিতে পারে না কখনো।  এগুলো নসিব নেয়।  বা আল্লাহ যাকে ডাকে সে ই যেতে পারে।
কিন্ত প্রশ্ন হলো আমি তো দেখি আমাদের সমাজে যাদের টাকা আছে দিনশেষে এরাই উমরায় যায়, হজে যায়।  এরা দুনিয়াও করে, দেশ বিদেশ ও ঘুরে, পর্দা-নামাজ কোনোকিছুই ঠিক নেই, দুনিয়া নিয়ে মেতে থাকে সবসময় এমন মানুষরাই চাইলেই উমরায় চলে যায়। তারা ভাবে তাদেরকে আল্লাহ ডেকেছেন। অথচ এদিকে ছটফট, রাহাজানি করে এমন মানুষ রা যেতে পারে না কয়টা টাকার জন্য।  এটা কেনো তাহলে উস্তাদ? ওই দুনিয়াদাররা চাইলেই কেনো চলে যেতে পারে মনে অনেক আফসোস এবং ইর্ষা আমার!  খুব কষ্ট লাগে আল্লাহ তাকে ডেকেছে আমাকে ডাকে নি৷
আশা করি গঠনমুলক উত্তর পাবো ইনশাআল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (704,490 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি-থেকে বর্ণিত তিনি বলেন- 

ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ اﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ -( «ﻛَﺘَﺐَ اﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻘَﺎﺩِﻳﺮَ اﻟْﺨَﻼَﺋِﻖِ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﻳَﺨْﻠُﻖَ اﻟﺴَّﻤَﺎﻭَاﺕِ ﻭَاﻷَْﺭْﺽَ ﺑِﺨَﻤْﺴِﻴﻦَ ﺃَﻟْﻒَ ﺳَﻨَﺔٍ)ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ.

আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে এবং তিনি যার ভাগ্যে যা লিপিবদ্ধ করেছেন তাই ঘটবে।(ছহীহ মুসলিম, মিশকাত হাদীস নং/৭৯)। 

হ্যা তাকদীরে যা লিখা রয়েছে,তা দু'আর মাধ্যমে পরিবর্তনও হয়ে যেতে পারে।

হযরত সালমান ফারসি রাযি থেকে বর্ণিত,

سَلْمَانَ رضي الله عنه ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَرُدُّ القَضَاءَ إِلَّا الدُّعَاءُ، وَلَا يَزِيدُ فِي العُمْرِ إِلَّا البِرُّ

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তাকদীরকে দু'আ ব্যতীত অন্যকিছু বদলাতে পারে না।আর নেকী ব্যতীত অন্যকিছু হায়াতকে বৃদ্ধি করবে না।(সুনানু তিরমিযি-২১৩৯)

উলামায়ে কেরাম তাকদীরকে দু’ভাগে ভাগ করেন। ১. তাকদীরে মুবরাম ২. তাকদীরে মাআল্লাক।

তাকদীরে মুবরাম হল, যা কখনোই পরিবর্তন হয় না। অনাদী থেকে আল্লাহর কাছে যা লিপিবদ্ধ আছে তাই সংঘটিত হবে।
আর তাকদীরে মুআল্লাক হল, যা ফেরেশেতাদের খাতায় লিখা থাকে। এই প্রকারের তাকদীর দোয়া বা বিভিন্ন কর্মের মাধ্যমে পরিবর্তন হতে পারে। কুরআন হাদিসে তাকদীর পরিবর্তনের ব্যাপারে যা বলা হয়েছে, তা এই প্রকার তাকদীরের ব্যাপারেই।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
কে আসলে ওমরাহ বা হজ্বে যেতে পারবে আর কে যেতে পারবে না, এসবই মূলত তাকদিরের অন্তর্ভুক্ত।

আল্লাহ তায়ালা যার তাকদিরে হজ্ব বা ওমরাহ লিখে রেখেছেন, তিনি হজ্ব বা উমরায় যেতে পারবেন।

অন্যরা যেতে পারবে না।

এক্ষেত্রে আমরা যদি মহান আল্লাহ তাআলার কাছে খালেস দিলে দোয়া অব্যাহত রাখি এবং বাস্তবেও চেষ্টা চালিয়ে যাই তাহলে আমাদেরও হজ্ব বা ওমরাহ নসিব হবে, ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 154 views
...