আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
19 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। একই মাজহাবে ফতোয়া ভিন্ন আসলে দলিল কোনটা সঠিক সেটা একজন সাধারণ মানুষ কিভাবে বুঝবে? এক্ষেত্রে করণীয় কি? ধরেন কেনায়া তালাকের ব্যাপারে। একজন যদি বলে স্ত্রীকে পাওয়ার দিলে।স্ত্রী যদি নিজের দিকে ইঙ্গিত না করে এমনিতে স্বামীকে বলে তুই আমার জন্য হারাম তাহলে তালাক হবে না। আরেকজন যদি বলে হবে।তহ এক্ষেত্রে সঠিক কোনটা কিভাবে বুঝবে?
পরে ধরেন ২ জন বলল তালাক হবে না একজন বলল হবে।তহ যে কোন একটা মেনে সংসার করে গেলে কি গুণাহ হয়?

আরেকটা প্রশ্ন
এরকম কিছু ফতোয়া যেগুলো ভিন্ন আসতে পারে একই মাজহাব হলেও তহ এমন ফতোয়ার কোনটা সঠিক কোনটা বেশি সঠিক বুঝতে না পেরে কেউ সংসার করারটা মেনে সংসার করে গেলে কি কোন যেনার মত গুণাহ হয়?মানে মনে যদি এটা থাকে নিজের মাজহাবদের থেকে ফতোয়া নিবে কয়েকজন থেকে নিবে ফতোয়া সংসার করা যায় কিনা দেখবে।মানে অন্য মাজহাবের কাছ থেকে নিবে না এমন মনমানসিকতা থাকলে কি সেটা নফসের অনুসরণ হয়?

1 Answer

0 votes
by (704,100 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

https://ifatwa.info/47559/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أُفْتِيَ بِفُتْيَا غَيْرَ ثَبَتٍ فَإِنَّمَا إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ " .

আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দলীল-প্রমাণ ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ব্যতীত কাউকে সিদ্ধান্ত (ফাতাওয়া) দেয়া হলে তার পাপের বোঝা ফাতাওয়া প্রদানকারীর উপর বর্তাবে।
(আবূ দাঊদ ৩৬৫৭, আহমাদ ৮০৬৭, ৮৫৫৮; দারিমী ১৫৯।  মিশকাত ২৪২।)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: مَنْ تَقَوَّلَ عَلَيَّ مَا لَمْ أَقُلْ، فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ وَمَنِ اسْتَشَارَهُ أَخُوهُ الْمُسْلِمُ، فَأَشَارَ عَلَيْهِ بِغَيْرِ رُشْدٍ فَقَدْ خَانَهُ وَمَنْ أُفْتِيَ فُتْيَا بِغَيْرِ ثَبْتٍ، فَإِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ.

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি যা বলিনি তা যে ব্যক্তি আমার প্রতি আরোপ করবে সে যেন দোযখে তার স্থান করে নিলো। কোন ব্যক্তির নিকট তার কোন মুসলিম ভাই পরামর্শ চাইলো কিন্তু সে তাকে ভ্রান্ত পরামর্শ দিলো। সে তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলো। আর যে ব্যক্তি দলীল-প্রমাণ ছাড়াই ফতোয়া দিলো, তার এই ফতোয়াদানের পাপ তার উপরই বর্তাবে। 
(মুসলিম. আল আদাবুল মুফরাদ ২৫৮)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি কোন মুফতী সাহেব ফতোয়া নিয়েছেন,সেটি দেখতে হবে।
তিনি আপনার মাযহাবের না হলে এক্ষেত্রে ভূল আপনার।
কেননা আপনি অন্য মতালম্বী আলেম থেকে ফতোয়া নিয়েছেন।
যাহা মুকাল্লিদের জন্য কাম্য নয়।
,
আপনি যদি ২ জন মুফতীর মধ্যে দুই জনই নিজ মাযহাব অনুসারী, এমন ২ জন থেকেই ফতোয়া নেন,তাহলে দেখবেন কার ফতোয়াতে উক্ত ফতোয়ার স্বপক্ষে স্পষ্ট দলিল রয়েছে,নিজ ফতোয়ার স্বপক্ষে স্পষ্ট দলিল অনুযায়ী যিনি কথা বলবেন,তার কথা মানবেন।
,
যার ফতোয়াতে নিজ ফতোয়ার স্বপক্ষে স্পষ্ট দলিল নেই,তার কথা আপনি মানবেননা।

এক্ষেত্রে সাধারণত হানাফি মাযহাবের সকল মুফতী সাহেবদের ফতোয়া একই হবে।
,
যদি নিজ মাযহাবের স্কলার থেকেই ফতোয়া নেন,আর তার দেয়া ফতোয়ার স্বপক্ষে স্পষ্ট দলিল ভিত্তিক ফতোয়া নেয়ার পরেও ফতোয়া প্রদানে মুফতি সাহেবের  ভুল হলে সেই অনুযায়ী আপনি না জেনে আমল করলে প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার এক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।

গুনাহ সেই ফতোয়া প্রদানকারীরই হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
edited by
হুজুর আসলে কথাগুলো বুঝি নাই মানে অনেক গুলো কথা একসাথে তহ।উপরের প্রশ্নের আলোকে একই মাজহাবের মানে হানাফি মাজহাবের মুফতি থেকে নেওয়া হলে এবং উভয়েই দলিল দিয়ে ফতোয়া দিলে কোনটা বেশি স্পষ্ট না বুঝলে যে কোন একটা মানলে কি গুণাহ হবে?এবং উভয়েই সবসময় ফতোয়া দেয় এমন মুফতি হলে?আর প্রশ্নটা শুধু জানা আর বোঝার জন্য করা। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...