আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
17 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ মোহতারাম।
১, আমরা সরকারি মেডিকেল এর হলে থাকি।আমার জুনিয়র এর বাড়ি থেকে কিছু জিনিস আমার কাছে তার জন্য হলে পাঠাবে বলে জানায়।তখন বলেছি আচ্ছা সমস্যা নাই দিয়ে যেতে বলো।আমি হলে আসার দিন তার বাবা জিনিসপত্র নিয়ে আসে এবং আমার কাছে দেয় ভিতরে কি ছিলো আমি জানি না।কিন্তু সাথে আর একটা ইনডাকশনের বক্সে ইনডাকশন ছিলো সেটা আমি দেখেই বুঝেছি।প্রথমে মাথায় কোনো চিন্তা আসে নি।পরোক্ষনে মনে হলো হলে তো ইনডাকশন ব্যবহার করার অনুমতি নাই।  এখন ওর বাবাকে কিছু বলতেও পাড়ি নি। আমাকে ওগুলো নিয়ে আসতে হলো।এখন ও তো ইনডাকশনে খাবার রান্না করে খাবে।এর জন্য কি আমি গোনাহগার হবো?ওকে আমি বলে দিয়েছি যে হলে ইনডাকশন ব্যবহার করা যায়েজ নেই।গোনাহ হবে।এখন আমি কি গোনাহের কাজে সাহায্যেকারী হিসাবে গোনাহগার হতে থাকবো?আমি সারা রাস্তা তওবা করতে করতে আসছি।আল্লাহ মাফ করুক।

২,যারা অনুমতি ছাড়া রান্না করে তাদের রান্না করা খাবার কি খাওয়া যাবে?আমি প্রিন্সিপাল স্যারের অনুমতি নিয়ে আসছি রান্নার জন্য এখন কেউ যদি আমার চুলায় খাবার গরম কে নেয় তাহলে কি আমার গোনাহ হবে?

৩,ওয়াতনে আসলিতে যাওয়া আসার সময় রাস্তায় কোনো নামায কাযা হলে সেই কাযার কি কসর করতে হবে?

৪ খুলনার সদর থেকে কত দূরত্ব যাওয়ার পর কসর শুরু করতে হবে যদি ৪৮ মাইলের বেশি দুরত্বে নিজের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বের হয়।

৫, কারো যদি ১.৫/২ ভরি স্বর্ণ থাকে সাথে কেউ তাকে ১০/২০ টাকা দিলো কিছু খেতে কিংবা যেমন কাউকে পড়াশোনার খরচের জন্য ৫ / ৬ হাজার করে পরিবার থেকে মাসে মাসে দেয় সাথে তার বিয়ের গহনা আছে ১.৫/২ ভরি যার মোট দাম ৫২.৫ ভরি রুপার দামের সামান/ বেশি হয়।তাহলে তো উভয় ক্ষেত্রেই তাদের উপর যাকাত ফরজ হবে যদি ১ বছর পরও ওই পরিমান সম্পদ তাদের থাকে ?

৬, কারো যদি মহররম এর ১ তারিখ নেসাব পরিমান সম্পদ থাকে পরের বছর ১ তারিখে তার নেসাব পরিমান না থাকে কিন্তু ২ তারিখে বা তার পরে আবার নেসাব পূর্ণ হয়। তাহলে কি তার যাকাত  দিতে হবে গত বছরের টা। নাকি ২ তারিখ থেকে নতুন যাকাত বছর গননা হবে?

1 Answer

0 votes
by (704,100 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
গুনাহের কাজ যেমন নিজে করা জায়েজ নেই,গুনাহের কাজে সহযোগিতা করাও জায়েজ নেই।
গুনাহের কাজে সহযোগিতা করা গুনাহ করারই নামান্তর। 
বিধায় তাহা জায়েজ নেই।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا مِنْ دَاعٍ يَدْعُو إِلَى هُدًى إِلَّا كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِ مَنْ اتَّبَعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَا مِنْ دَاعٍ يَدْعُو إِلَى ضَلَالَةٍ إِلَّا كَانَ عَلَيْهِ مِثْلُ أَوْزَارِهِمْ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أَوْزَارِهِمْ شَيْئًا

মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট খবর পৌছিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমাইয়াছেনঃ যেকোন আহবানকারী হিদায়াতের দিকে আহবান করিবে তবে তাহাকে তাহার অনুসরণকারীদের সমান পুণ্য দেওয়া হইবে। অনুসরণকারীদের পুণ্য হইতে বিন্দুমাত্র কম করা হইবে না। আর যেকোন আহবানকারী পথভ্রষ্টতার দিকে আহবান করিবে, তবে তাহার উপর অনুসরণকারীদের পাপসমূহের সমান পাপ বৰ্তাইবে। তাহাতে অনুসরণকারীদের পাপসমূহের এতটুকুও কম করা হইবে না।
(মুয়াত্তা মালিক ৪৯৬)

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেহেতু তাকে বলেছেন যে ইনডাকশন ব্যবহার করা হলে বৈধ নয়, এক্ষেত্রে পাশাপাশি এটিও আপনি তাকে বলবেন যে ইনডাকশন ব্যবহারের দায় পুরোপুরি তোমার, আমার উপর এর কোনো  দায় বর্তাবেনা।

এটি বলার পর আপনার কোনো গুনাহ হবেনা। 
আরো জানুনঃ- 

(০২)
কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার সত্ত্বেও যারা অনুমতি ছাড়া রান্না করে, তাদের রান্না করা খাবার খাওয়া যাবেনা।

আপনি যেহেতু প্রিন্সিপাল স্যারের অনুমতি নিয়ে এসেছেন রান্নার জন্য, এখন কেউ যদি আপনার চুলায় খাবার গরম করে নেয়, তাহলে আপনার গোনাহ হবেনা।

তবে বিষয়টি সম্পর্কে যদি প্রিন্সিপাল স্যার আপনাকে নিষেধ করে থাকেন, তাহলে আপনি কাউকে অনুমতি দিবেন না।

(০৩)
আপনি যেখানে হতে ওয়াতনে আসলিতে যাচ্ছেন, দূরত্ব পথ যদি ৭৮+ কিলোমিটার হয়, সেক্ষেত্রে আপনি যাতায়াত পথে যেহেতু কসর আদায় করতে পারবেন, তাই যাতায়াত পথের কোন নামাজ কাজা হলে সে নামাজের কাজা কসর হিসেবেই আদায় করতে হবে।

(০৪)
সদর এলাকা পার হওয়ার পর থেকেই কসর আদায় করতে পারবেন।

(০৫)
এক বছর পরেও যদি তার কাছে দৈনন্দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত টাকা থাকে, তাহলে তাকে যাকাত দিতে হবে। এমতাবস্থায় তার উপর যাকাত ফরজ হবে। কেননা সে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক।

(০৬)
এক্ষেত্রে তার উপর যাকাত ফরজ হবেনা।

২ তারিখ থেকে নতুন যাকাত বছর গননা হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...