জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
নামাজের বাহিরে ৭ ফরজ।
১. শরীর পাক হওয়া। (সূরা মায়িদা আয়াত : ৬)
২. কাপড় পাক হওয়া। (সূরা মুদ্দাছ্ছির, আয়াত : ৪)
৩. নামাযের জায়গা পাক হওয়া। (সূরা বাকারা, আয়াত : ১২৫)
৪. ছতর ঢাকা (অর্থাৎ পুরুষগণের নাভি হতে হাঁটুর নীচ পর্যন্ত এবং মহিলাদের চেহারা, কব্জি পর্যন্ত দুই হাত এবং পায়ের পাতা ব্যতিরেকে সমস্ত শরীর ঢেকে রাখা)। (সূরা আ‘রাফ, আয়াত : ৩১)
৫. কিবলামুখী হওয়া। (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৪৪)
৬. ওয়াক্তমত নামায পড়া। (সূরা নিসা আয়াত : ১০৩)
৭. অন্তরে নির্দিষ্ট নামাযের নিয়ত করা। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং-১)
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০২)
নামাজে মেয়েদের সতর হলোঃ-
মুখমণ্ডল, দুই হাত কবজি পর্যন্ত ও টাখনুর নিচে পায়ের পাতা ছাড়া মহিলাদের সারা শরীরই সতর।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ صَلاَةَ حَائِضٍ إِلاَّ بِخِمَارٍ
আল্লাহ তাআলা খিমার পরিধান করা ব্যতীত কোন প্রাপ্ত বয়স্কা নারীর নামাজ কবুল করেন না। (সুনান আবু দাউদ ৬৪১)
ﻭَﻟِﻠْﺤُﺮَّﺓِ ﺟَﻤِﻴﻊُ ﺑَﺪَﻧِﻬَﺎ ﺧَﻠَﺎ ﺍﻟْﻮَﺟْﻪِ ﻭَﺍﻟْﻜَﻔَّﻴْﻦِ ﻭَﺍﻟْﻘَﺪَﻣَﻴْﻦ
মুখমণ্ডল, দুই হাত কবজি পর্যন্ত ও টাখনুর নিচে পায়ের পাতা ছাড়া মহিলাদের সারা শরীরই সতর। (রদ্দুল মুহতার ১/৪০৪)
আরো জানুনঃ-
(০৩)
শরীয়তের বিধান হলো নামাযের মধ্যে সতরের আওতাধীন কোনো একটি অঙ্গের এক চতুর্থাংশ যদি স্বেচ্ছায় খুলা হয়,তাহলে এক মুহুর্তের জন্য খুলা হলেও নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।কিন্তু যদি অনিচ্ছায় এক চতুর্থাংশ খুলে যায়,তাহলে তিন তাসবিহ (সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা) পরিমাণ সময় পর্যন্ত খুলে গেলে নামায ফাসিদ হবে। কিন্তু যদি তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় থেকে কম হয়,কিংবা এক চতুর্থাংশ থেকে কম হয়,তাহলে নামায ফাসিদ হবে না।
বিস্তারিত জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
সালাতের মধ্যে হাতের কনুই হতে যদি নিচের বাকি অংশ পুরোপুরি স্বেচ্ছায় খোলা হয়,এক্ষেত্রে আপনার সালাত আদায় হবেনা।