বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/2570 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
নামাযে দু রকম কেরাত রয়েছে,
উচ্ছস্বর আর নিম্নস্বর।
যোহর এবং আসরের নামাযে নিম্নস্বরে কেরাত পড়তে হয়।হানাফি মাযহাব মতে ওয়াজিব।তবে কেউ কেউ সুন্নাতও বলেছেন।
ফজর, মাগরিব,এশা বিতির সহ বেশ কিছ জামাতের সাথে নফল নামাযে উচ্ছস্বরে কেরাত পড়তে হয়।এটাও হানাফি মাযহাব মতে ওয়াজিব।তবে কেউ কেউ সুন্নাতও বলেছেন।
উচ্ছস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,এক কাতার পরের লোক কর্তৃক শ্রবণ করা।আর উচ্ছস্বরের সর্বোচ্ছ কোনো পরিমাণ নেই।তবে যাতে অন্যর কষ্ট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এবং নিম্নস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,জবান নাড়িয়ে হরফকে উচ্ছারণ করা।আর সর্বোচ্ছ পরিমাণ হল নিজ কর্ণ দ্বারা শ্রবণ করা বা পাশের জন কর্তৃক শ্রবণ করা।এরচেয়ে কম বেশ করা যাবে না।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
জ্বী, আল্লাহুম্মা সাল্লি আ'লা এর স্থলে কেউ যদি আল্লাহুম্মা বারিক আ'লা পড়ে নেয়, তাহলে এতে কোনো সমস্যা হবে না। সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।
(২)
তাকবীর,তসবিহ,কেরাত,তাশাহুদ,দুরুদ - দু'আয়ে মাসুরা ইত্যাদিকে আপনি নিম্নস্বরে পড়বেন।নিম্নস্বরে পড়ার অর্থ হল, এতটুকু আওয়াজে পড়া , যাতেকরে নিজে শুনা যায়,তবে অন্য কেউ শুনবে না।