আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
251 views
in সালাত(Prayer) by (63 points)
edited by

https://ifatwa.info/29923/ আমার এই প্রশ্নের উত্তরে আপনারা বলেন যে বেতর নামাজে জোরে কেরাত পড়া যাবে কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে,

১. দোয়া কুনুত কি আমি জোরে পড়বো নাকি আস্তে পড়বো?

২. আমি বেতর নামাজে যেহেতু উচ্চস্বরে তেলাওয়াত করেছি, তাই দোয়া কুনুতও উচ্চস্বরে পড়েছি। এখন কি আমাকে সাহু সিজদা দেওয়া লাগবে?

৩. আমার প্রায়ই সন্দেহ হয় যে আমি সাহু সিজদার সময়  একটা সিজদা দিয়েছি নাকি দুইটা সিজদা। (বিঃদ্রঃ আমার ওয়াসওয়াসার সমস্যা আছে)       তখন নিজেকে প্রশ্ন করলে আমার  বেশিরভাগ সময়ই দুইটা সিজদা দিয়েছি বলে মনে হয় । এমত অবস্থায় আমি কি নামাজ পুনরায় পড়ব?

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
edited by
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


হাদীস শরীফে এসেছে 

عن أبي بن كعب رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يوتر بثلاث ركعات … ويقنت قبل الركوع.

হযরত উবাই ইবনে কা’ব রা. বলেন, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন রাকাত বিতর পড়তেন … এবং রুকুর আগে কুনূত পাঠ করতেন।’
(নাসায়ী ১/২৪৮)

★প্রকাশ থাকে যে দোয়ায়ে কুনুত হলো দোয়া।
আর দোয়ার ক্ষেত্রে উত্তম হলো সেটিকে আস্তে আওয়াজে পড়া।
তাই বিতরের নামাজে দোয়ায়ে কুনুত যদিও জোড়ে আওয়াজে পড়া যায়,তবে আস্তে আওয়াজে পড়াই বেশি উত্তম।
,
الفتاوى الهندية (1/ 111):
"والمختار في القنوت الإخفاء في حق الإمام والقوم. هكذا في النهاية ويخافته المنفرد وهو المختار. كذا في شرح مجمع البحرين لابن ملك."
সারমর্মঃ
দোয়ায়ে কুনুতের ক্ষেত্রে ইমাম মুক্তাদী সকলের জন্য পছন্দনীয় হলো আস্তে আওয়াজে পড়া।    

بدائع الصنائع (1/ 274):
"وأما صفة دعاء القنوت من الجهر والمخافتة فقد ذكر القاضي في شرحه مختصر الطحاوي أنه إن كان منفردا فهو بالخيار إن شاء جهر وأسمع غيره وإن شاء جهر وأسمع نفسه وإن شاء أسر كما في القراءة وإن كان إماما يجهر بالقنوت لكن دون الجهر بالقراءة في الصلاة والقوم يتابعونه هكذا إلى قوله إن عذابك بالكفار ملحق."
সারমর্মঃ
একাকী নামাজ আদায় কারীর জন্য ইখতিয়ার( নিজ ইচ্ছা মোতাবেক সুযোগ) আছে,চাইলে দোয়ায়ে কুনুত জোড়ে আওয়াজে অন্যকে শুনিয়েও পড়তে পারে,চাইলে শুধু নিজের শোনার মতো আওয়াজেও পড়তে পারে। 
চাইলে আস্তেও পড়তে পারে।
 
المحيط البرهاني في الفقه النعماني (1/ 471):
"إنه يجهر بالقنوت أو يخافت به وقع في بعض الكتب أن على قول محمد رحمه الله يخافت؛ لأنه دعاء والسبيل في الدعاء الإخفاء، على قول أبي يوسف رحمه الله يجهر به لما روي عن رسول الله صلى الله عليه وسلّمأنه كان يجهر به، حتى روي أن الصحابة رضي الله عنهم تعلموا القنوت في قراءة رسول الله عليه السلام."
সারমর্মঃ
দোয়ায়ে কুনুত জোড়েও পড়া যাবে,আস্তেও পড়া যাবে।তবে যেহেতু এটি দোয়া,আর দোয়ার ক্ষেত্রে বিধান হলো আস্তে পড়া,তাই আস্তে পড়বে।
রাসুলুল্লাহ সাঃ এবং ছাহাবায়ে কেরামগন দের থেকে জোড়ে আওয়াজে দোয়ায়ে কুনুত পড়ার বর্ণনাও আছে।    

العناية شرح الهداية (1/ 438):
"(والمختار في القنوت الإخفاء) مطلقًا سواء كان القانت إمامًا أو مقتديًا أو منفردًا (لأنه دعاء) وخير الدعاء الخفي، ومنهم من يقول: يجهر بالقنوت؛ لأن له شبهة القرآن فإن الصحابة اختلفوا في اللهم إنا نستعينك أنه من القرآن أو لا."
সারমর্মঃ
দোয়ায়ে কুনুতের ক্ষেত্রে পছন্দনীয় মত হলো আস্তে আওয়াজ।
চাই সে ইমাম হোক,চাই সে মুক্তাদী হোক,চাই সে একাকী নামাজ আদায়কারী হোক।
কেননা এটি দোয়া,আর দোয়ার ক্ষেত্রে বিধান হলো আস্তে পড়া।
,
(০১)
দোয়ায়ে কুনুত আস্তে আওয়াজে পড়বেন।
,
(০২)
না,সাহু সেজদাহ দিতে হবেনা।
,
(০৩)
আপনি এক্ষেত্রে কম সংখ্যক সেজদাহ ধরে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...