আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
170 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমুতুল্লাহ। একজন ওয়ায়েজ তার বয়ানে বলেন ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর ১০ বার দরুদ পাঠ করলে নবী সাঃ সেই ব্যাক্তির শাফায়াত এর দায়িত্ব নিবেন।এই আমল কতটুকু গ্রহনীয়?????????????????????????

1 Answer

0 votes
by (63,520 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

হাদীস শরীফে এসেছে-

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ صَلّى عَلَيَّ وَاحِدَةً صَلَّى اللّهُ عَلَيْهِ عَشْرًا. رَوَاهُ مُسْلِمٌ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু, আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ শরীফ পাঠ করে আল্লাহ তা’আলা তার প্রতি দশবার রহমাত বর্ষণ করেন।  সহীহ : মুসলিম ৪০৮, আবূ দাঊদ ১৫৩০, নাসায়ী ১২৯৬, তিরমিযী ৪৮৫, আহমাদ ৮৮৫৪, দারেমী ২৮১৪, সহীহ আত্ তারগীব ১৬৫৬। হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ صَلّى عَلَيَّ صَلَاةً وَاحِدَةً صَلَّى اللّهُ عَلَيْهِ عَشْرَ صَلَوَاتٍ وَحُطَّتْ عَنْهُ عَشْرُ خَطِيئَاتٍ وَرُفِعَتْ لَهٗ عَشْرُ دَرَجَاتٍ. رَوَاهُ النِّسَآئِىُّ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু, আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তা’আলা তার উপর দশবার রাহমাত নাযিল করবেন। তার দশটি গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে, আর আল্লাহর নৈকট্যের জন্য দশটি মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়া হবে। সহীহ : নাসায়ী ১২৯৭, হাকিম ১/৫৫০। হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ اَوْلَى النَّاسِ بِى يَوْمَ الْقِيَامَةِ اَكْثَرُهُمْ عَلَىَّ صَلَوةً. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ

ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু, আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যারা আমার প্রতি বেশী বেশী দরূদ পাঠ করবে তারাই ক্বিয়ামাতের দিন আমার বেশী নিকটে হবে। হাসান লিগয়রিহী : তিরমিযী ৪৮৪, সহীহ আত্ তারগীব ১৬৬৮ হাদিসের মানঃ হাসান লিগাইরিহি

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

وَعَنْ رُوَيْفِعِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ مَنْ صَلّى عَلى مُحَمَّدٍ وَقَالَ اللّهُمَّ أَنْزِلْهُ الْمَقْعَدَ الْمُقَرَّبَ عِنْدَكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَجَبَتْ لَه شَفَاعَتِي. رَوَاهُ أَحْمَد

রুওয়াইফি‘ ইবনু সাবিত আল আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু, আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু, আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর দরূদ পড়বে এবং বলবে, “আল্লাহুম্মা আনজিলহু মাকআদাল মুকাররাবা ইনদাকা ইয়াওমাল ক্বিয়ামাতি” (হে আল্লাহ! তাঁকে তুমি ক্বিয়ামাতের দিন তোমার কাছে মর্যাদাপূর্ণ স্থান দিও) আমার সুপারিশ তার জন্য অনিবার্য হয়ে যাবে। য‘ঈফ : আহমাদ ১৬৫৪৩, য‘ঈফ আত্ তারগীব ১০৩৮।

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

প্রশ্নে বর্ণিত হুবহু শব্দে দরুদ পাঠের ফজিলত হাদীস শরীফে খোঁজে পাইনি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (6 points)
তাহলে ফজর মাগরিবের পর ১০ বার করে দরুদ পরলে কি বিদায়াত হবে??? 
by (63,520 points)
দশবার করে পড়া জরুরী ও সুন্নত না মনে করে পড়লে বিদআত হবে না৷ 
by
হিসনুল মুসলিম

দোআ: [২৭.২৪] কিয়ামতের দিন রসুলুল্লাহ (স:)এর সুপারিশ লাভ
দশবার বলবে,

اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ 

হে আল্লাহ! আপনি সালাত ও সালাম পেশ করুন আমাদের নবী মুহাম্মাদের উপর।

আল্লা-হুম্মা সাল্লি ওয়াসাল্লিম ‘আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ

‘যে কেউ সকাল বেলা আমার উপর দশবার দরুদ পাঠ করবে এবং বিকাল বেলা দশবার দরুদ পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন আমার সুপারিশ দ্বারা সৌভাগ্যবান হবে।’

তাবরানী হাদীসটি দু’ সনদে সংকলন করেন, যার একটি উত্তম। দেখুন, মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ ১০/১২০; সহীহুত তারগীব ওয়াত তারহীব ১/২৭৩

দোআ ও যিকির (হিসনুল মুসলিম) অ্যাপটি পেতেঃ https://gtaf.org/apps/hisnulbn

#GreentechApps

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...