আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
216 views
in সাওম (Fasting) by (4 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
আমি ওয়াসওয়াসাগ্রস্থ। তবে ইবাদত পালনে পূর্ণ সচেতন..

 আজকে যোহরের সময় ওযু করতে গিয়ে সচেতনভাবে কুলি করার সময় মনে হলো সামান্য পানি অটোমেটিক টান লেগে গলায় চলে গেছে.. কিন্তু পানি গলায় প্রবেশ করলে তো গলা ভেজা লাগার লাগার কথা... এবং গলায় পানি গেলে একটা ঠোক গিলতে হয় সেটাও হয় নাই...  সেই সাথে কিছু সময় পর্যবেক্ষণ করে গলা আগের মতোই শুকনো পাই.. আর আমার ঠান্ডা লাগার কারণে কফ সর্দি ছিল..

এটা আমি পূর্ণভাবে নিশ্চিত গলায় পানি গেলে আমি ঠিকই বুঝতে পারতাম যে গলায় পানি ঢুকছে, কিন্তু সেরকম টা হয়নি।।
এবং ইফতারের পর বেশ কয়েকবার পরীক্ষা করে দেখেছি অল্প পানি গেলে যেরকম হওয়ার কথা সেরকম টা দুপুরে মনে হয় নি।

এখন নাকে টান লাগার কারনে গলায় কফ গেলো নাকি সত্যি পানি ঢুকলো সেটার ওয়াসওয়াসায় আমি বেশ পেরেশানিতে ভুগছি।।

1 Answer

0 votes
by (616,290 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান হলো রোযা অবস্থায় অনিচ্ছায় গলায় পানি গেলেও রোযা ভেঙ্গে যায়।
তাই অযু গোসলের সময় গড়গড়িয়ে কুলি করা যাবেনা।
,    
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ لَقِيطِ بْنِ صَبْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بَالِغْ فِي الِاسْتِنْشَاقِ، إِلَّا أَنْ تَكُونَ صَائِمًا صحيح،

লাক্বীত ইবনু সাবারাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তুমি উত্তমরূপে নাকে পানি দিয়ে তা পরিস্কার করো- যদি তুমি সওম পালনের অবস্থায় না থাকো।
(আবু দাউদ ২৩৬৬.২৩৫৮)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
আপনার এই রোযা হয়ে গিয়েছে।
টেনশন করবেননা। 

এখন থেকে রোযা অবস্থায় কুলি করার সময় আরো বেশি সতর্ক হবেন।
একটু ঝুকে চেহারা মুখ নিচের দিকে করে সামান্য পানি মুখে নিয়েই ফেলে দিবেন।  
মাথা উঁচু করবেননা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 285 views
0 votes
1 answer 258 views
0 votes
1 answer 228 views
...