আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
120 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহু।
১)এক আপুর প্রশ্ন- ৭-৮ বছর আগের কথা, স্বামী-স্ত্রী তালাকের বিধান সম্পর্কে অজ্ঞ ছিলেন তখন ঝগড়া ঝাটি লেগেই থাকত এবং এই ঝগড়ার সময় স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে।

এখন এতো বছর পর তালাকের বিধান সম্পর্কে জেনেছে।তারা দ্বীনের পথে চলে এবং অনেক সুখী আছে।কিন্তু এখন তারা কনফিউজড হয়ে গিয়েছে কতবার তালাক দিয়েছে সেটা নিয়ে। প্রশ্ন হচ্ছে, এ অবস্থায় তাদের বিধান কি??? যদি ৩ তালাক দিয়েই থাকে তাইলে তাদের কি তালাক হয়ে যাবে? তারা তো দ্বীনের ব্যাপারে অজ্ঞ ছিল। এখন তাওবা করলে কি তাদের সম্পর্ক তবুও ছিন্ন হয়ে যাবে? আল্লাহ তো বলেছেন, শিরক ব্যতীত সকল গুনাহ আল্লাহ তাওবা করলে মাফ করে দিবেন।তাইলে এক্ষেত্রে তারা কি করবে?

২) লোক সমাজের ভয়ে বা নিজের নিরাপত্তার ব্যাপারে শঙ্কিত হয়ে, তালাক হয়ে গিয়েছে এটা জানার পরও যদি স্বামীর সাথে এক বাড়িতে থাকে কিন্তু একই খাটে শয্যাশায়ী হয় না। স্ত্রীও জানে তাদের তালাক হয়েছে যদিও তা কাগজে কলমে হয়নি কিন্তু ইসলামি শারীয়ায় সে আর স্ত্রী নেই। তবে তাদের ক্ষেত্রে বিধান কি? কিভাবে তাদেরকে বুঝানো যায়? তারা ভয় পায়।মানতে চায়না।কারন স্ত্রীর বয়স ৪২-৪৫ হয়ে গিয়েছে তাই।

৩)স্বামী ও ২/৩ টা ছেলে মেয়ে সামলিয়ে ঘরের সব কাজ স্ত্রীর পক্ষে একা করা অনেক সময়  সম্ভব হয়না।এজন্য পারমানেন্ট একজন খাদেমা রাখা জরুরি। কিন্তু মাহরাম ছাড়া খাদেমা রাখার ব্যাপারে ইসলামি শারীয়ার হুকুম কি বিস্তারিত বললে উপকৃত হবো ইন শা আল্লাহ।
জাঝাকাল্লাহ খইরন।

1 Answer

0 votes
by (708,320 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/15409 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
فَإِن طَلَّقَهَا فَلاَ تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىَ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ فَإِن طَلَّقَهَا فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللّهِ وَتِلْكَ حُدُودُ اللّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে, তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত সীমা; যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2729

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তিন তালাক পতিত হওয়ার পর উক্ত স্বামী স্ত্রী আর একত্রে বসবাস করতে পারবে না। তবে হ্যা যদি ঐ স্ত্রীর অন্য কোথাও বিয়ে হয়,এবং কোনো কারণে দ্বিতীয় স্বামীর সাথে তালাক হয়ে যায়,তখন আবার সে প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে।মহিলা দ্বিতীয় বিয়ে ব্যতীত আবার ঐ স্বামীর সাথে সংসার স্থাপন করলে সেটা বৈধ হবে না।এক্ষেত্রে সর্বদাই ব্যভিচারের গোনাহ হবে। আর বিবাহিত পরুষ বা মহিলা কর্তৃক ব্যভিচার প্রমাণিত হলে এর শাস্তি হল,পাথর মেরে হত্যা করা।তবে এ দায়িত্ব সরকারের জনগণের নয়।আর অাখেরাতে তো রয়েছে এর জন্য  ভয়ঙ্কর শাস্তি।

টাকা দিয়ে কারো কাছে বিয়ে দিয়ে আবার তালাক নিয়ে প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া মাকরুহে তাহরিমী। তবে যদি ঐ দ্বিতীয় স্বামীর সাথে সহবাস হয়ে থাকে, তাহলে মাকরুহে তাহরিমী হলেও প্রথম স্বামীর সাথে বিয়ে বৈধ হয়ে যাবে। (শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
তিন তালাক হওয়ার পর তাওবাহ দ্বারা কাজ হবে না।উক্ত স্বামী স্ত্রী পরস্পর পরস্পরের জন্য কখনো হালাল হবে না।

(২)
যদি তাদের পরস্পর দেখা সাক্ষাতের কোনো সম্ভাবনা না থাকে , এবং ছেলে মেয়ে বড় থাকে, তাহলে তারা পৃথক পৃথক রুমে একই ছাদের নিচে থাকতে পারবে।তবে সর্বদাই গায়রে মাহরামের মতই থাকতে হবে।

(৩)
জ্বী, মাহরাম ছাড়া খাদেমা রাখতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (708,320 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...