আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
87 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
edited by
১) আসসালামু আলাইকুম শাইখ, বিষয় টা আমার কাছের একজনের জন্য আশাকরি উত্তর দিয়ে সাহায্য করবেন।
আমার একজন ক্লোজ পরিচিত বোন  ফেসবুকে কয়েকমাসের পরিচয়ে  একজন ছেলের সাথে  গোপনে বিয়ে হয় অভিভাবক ছাড়া এবং বোনটার পক্ষের কোনো সাক্ষী ছাড়াই,  বোনটির বয়স  ১৮ ছিলো। ছেলে তার ২জন বন্ধু সাক্ষী আনে আর একজন হাফেজ মৌখিক বিয়ে পড়ায়। বোনটি আসলে প্রতারণার সামিল। ছেলেটি আগে থেকেই শারীরিকভাবে অক্ষম ছিলো, জেনেশুনে সরল-সহজ পেয়ে সেই বোনের সাথে এমন করে।   বিয়ের ১০ মাস পর তাদের বাড়িতে পালিয়ে নিয়ে যায়  সে বোনকে এবং বিয়ে হওয়া থেকে শুরু করে তাদের কোনোরকম শারীরিক সম্পর্ক হয়নি একদম! পালিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর ছেলেটা তাদের ওইদিকে কাজী অফিসের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রেশন এসব করার জন্য আবার ওখানে কাজীর মাধ্যমে বিয়ে হয়। তারপর ছেলের  বাড়িতে যায়,  যাওয়ার পরও তখনও তাদের husband -wife অর্থাৎ কোনো শারীরিক সম্পর্ক হয়নি, ছেলের বাড়িতে যাওয়ার পর বোনটি খুব অবাক হয় তার আচার-আচরণে! ছেলেটা নাকি খুব বদমেজাজি আর ওয়াসওয়াসা সহ আরো নানা রোগে আক্রান্ত ছিলো আর ডক্টর দেখাতো পাওয়ারি ওষুধ খেতো আর ছেলে তার পরিবারের সাথে অকারণে ঝগড়া করতো অতিরিক্ত । এর মধ্যে সে বোনের পরিবার এসে নিয়ে যায় এবং সে বোন এতোটাই সরল-সহজ ছিলেন এ বিষয়ে যে বোনটা জানতোই না ছেলেদের শারীরিক অক্ষমতা বলতেও যে কিছু আছে বা এমন কোনো শব্দ আছে, হঠাৎ সে তার মার সাথে একসময় বলে তাদের মাঝে কোনোকিছুই হয়নি, তারপর ২ পক্ষ জানাজানি হয়, আর সে ছেলের পরিবার এর গার্ডিয়ান বলে তারাও তো জানতোনা এ বিষয়,   গার্ডিয়ান আরো বলে সে কখনও সুস্থ হবেনা!  কিন্তু সে ছেলে বলে সে সুস্থ হয়ে যাবে ইত্যাদি একেকবার একেক কথা। পরে একটা সময়  নীরবতায় স্বীকার করে সে সুস্থ হবেনা আর ডিবোর্সও দিবেনা নিজ থেকে এ ভয়ে কাবিন এর টাকা দিতে হবে সেজন্য তাই সে ছেলে বলেছে তুমি তালাক দিয়ে দাও তাহলে হয়,কিন্তু আমি দিবোনা তুমি দাও অনুমতি দিয়ে দিলাম।  তাই মেয়ে পক্ষ মেয়েকে নিয়ে  ছেলের বাড়ির যেই কাজী অফিসে বিয়ে হয়েছে সেখানে থেকে ডিবোর্স কাগজ পাঠিয়ে দেয়।  এর পর কয়েক বছর হয় কোনো প্রকার যোগাযোগ হয়নি উভয়ের, ছেলে কখনও চেষ্টাও করেনি যোগাযোগ এর।
★★এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইসলামের দৃষ্টিতে তাদের তালাক কি হয়েছে? আর তালাক না হয়ে থাকলে করণীয় কি?(উল্লেখ্য সে বোন এমনিতে চেষ্টা করেছে যোগাযোগ করার মৌখিক তালাক নেওয়ার বাট সে ছেলে ইচ্ছে করে রেসপন্স করেনি কোনো), এখন সে বোন চিন্তিত এভাবে তাদের তালাক হয়েছে কিনা আর অন্যত্র সে বোন বিয়ে করতে পারবে কিনা!

1 Answer

0 votes
by (708,800 points)

ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4506 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাক প্রদান করা সম্পূর্ণ স্বামীর অধীকার।হ্যা শরীয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রীকে নিজের উপর তালাক প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে।যেমন,স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক প্রদানের অনুমতি প্রদান করলে,স্ত্রী নিজেকে তালাক দিতে পারবে।তাছাড়া স্বামী খোরপোষ না দিলে,স্ত্রী কাযী সাহেবের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।কিংবা স্বামী নিখোঁজ হলে বা ধ্বজভঙ্গ হলে কোর্ট বিবাহ ভঙ্গের রায় দিতে পারবে।

স্বামীর খোঁজখবর না থাকলে স্ত্রী চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।চার বছর অপেক্ষার পরও যদি স্বামীর কোনো খোঁজখবর না মিলে,কোর্ট স্বামীর পক্ষ্য থেকে বিবাহ ভঙ্গ করে দিবে।স্ত্রী তালাক দিতে পারবে না।তালাক দেয়ার অধীকার স্ত্রীর নেই।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী আমরা, যেহেতু কাজী সাহেবের মাধ্যমে তালাকের নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে, তাই এই নোটিশকে কোর্টে তুলে কোর্টের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা।
কোর্টের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার পর ঐ বোন অন্যত্র বিয়ে বসতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...