আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
89 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ,
শায়খ,আমার স্বামী যেটা জানত এতোদিন যে, ধরেন কোনো কেনায়া বাক্য ❝তুমি অন্য কোথাও বিয়ে করে নেও❞,,এমন কোনো কথা বলার সময় মনে মনে যদি বলে যে তালাক দিলাম, তাহলে তালাক হয়না। এটা সে এতো দিন মনে করতো।
রাগ করলে মাঝে মাঝেই এমন ভাবে মেসেজ লিখতো। তবে আমার মনে পড়ে ২ বার এমন বলেছে,,,, বাকি বারের কথা মনে নেই। তবে যা মনে পড়ে এই রকম ধরনের কথা হয়তো বলছে আরো। তাকে বিষয়টা বুঝিয়ে বলার পরে সে বলছে যে,এরপর৷ আর কখনোই এমন কিছু বলবে না।
শায়খ,এটা নিয়ে অনেক অসওয়াসা আসে যে সম্পর্ক টা হালাল কিনা,,, খুব অসওয়াসা আসে,।

১/এমন অবস্থায় আমি কি স্বামী কে বলতে পারবো ❝তালাক❞ শব্দ দ্বারা ডিভোর্স  দিতে? যাতে ২য় বিয়ের পর আবার তার কাছে আসতে পারি?কারণ মানসিক শান্তি পাচ্ছি না সম্পর্ক টা হালাল আছে কিনা এটা নিয়ে,,,,আর কত বার এমন কথা সে বলছে তাও মনে নাই,,, খালি মনে হয় যে হালাল নেই হয়তো,,,
২/স্বামী রাজি হয়ে যদি বলে যে ঠিক আছে তুমাকে তালাক দিলাম। তখন সাক্ষী যদি না থাকে সামনে  তাহলে তালাক হবে কিনা?

শায়খ,খুব বাজে অবস্থায় আছি মানসিক দিক দিয়ে,,,,,,এক সাথে থাকতেই অস্বস্তি আসে।কারন জানি ই না যে হালাল কিনা,,, এই বিষয়ে এর আগেও কিছু প্রশ্ন করেছি শায়খ,,,দয়া করে এইবার সাহায্য করুন,,,, হালাল/হারাম কিছুই নিশ্চিত হয়ে পারছিনা,,,
আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত  এটা নিয়ে বার বার জানতে চাওয়ার জন্য ।
বিনীত অনুরোধ করছি আপনার কাছে, দয়া করে কিছু পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করবেন।।।।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية...............  وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.
রাগের অবস্থাঃ-
রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী) (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1049

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
❝তুমি অন্য কোথাও বিয়ে করে নেও❞,, রাগ করে এমন কথা বলার সময়ে মনে মনে তালাকের নিয়ত করলে,বায়েন তালাক পতিত হবে। নির্দিষ্ট সংখ্যার নিয়ত না থাকলে, এক তালাক বায়েনই পতিত হবে।
একবার তালাক পতিত হওয়ার পর আর কোনো তালাক পতিত হবে না। কেননা একবার বায়েন তালাক হওয়ার পর নতুন বিয়ে ব্যতিত আর কোনো বায়েন তালাক পতিত হয় না। সুতরাং আপনারা অাবার নতুন মহরের বিনিময়ে দুজন সাক্ষীর সামনে আবার বিয়েকে দুহড়িয়ে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (19 points)
শায়খ, কিছু মনে না করলে আরেকটু যুক্ত করতে চাচ্ছিলাম। ❝তুমি অন্য কোথাও বিয়ে করে নেও/ তুমার আম্মা কে বল ছেলে দেখে তুমাকে বিয়ে দিয়ে দিতে ❞।
এই কথা গুলো যদি মন খারাপ থাকা অবস্থায় ও বলে তাহলেও কি ফতোয়া একই থাকবে? কেননা রাগ করে বলার আগে তার পারিবারিক ঝামেলা হবার পরে একবার মন খারাপ থাকা অবস্থায় ও এই কথা বলেছিলো? 
দয়া করে আরেকটু জানাবেন শায়খ।আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাচ্ছি আবারো কিছু যুক্ত করার জন্য। 
by (712,400 points)
জ্বী, একই ফাতাওয়া। স্বামীর নিয়তের উপর নির্ভরশীল। তালাকের নিয়ত থাকলে তালাক হবে, নতুবা তালাক হবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...