আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
718 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by
closed by
Assala mu alaikum wa rahmatullah.

Khuda parchira tader debtake dakto.

Ekhon amra ki allah ke kudha name dakte parbo
closed

1 Answer

0 votes
by (709,320 points)
edited by
 
Best answer

বিসমিহি তা'আলা

সমাধানঃ-

আল্লহ তা'আলার নিরান্নব্বইটা নামে সীমাবদ্ধ নয় বরং আরও অনেক নাম রয়েছে,যা কোরআন-হাদীস এবং পূর্ববর্তী বিভিন্ন কিতাবে বর্ণিত রয়েছে (মিশকাত শরীফ-১৯৯ টিকা-৪)

যেমনঃ-হাদীসে এসেছে......
 أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ، سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ، أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِي كِتَابِكَ، أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ، أَوْ أَلْهَمْتَ عِبَادَكَ، أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي مَكْنُونِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ، أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْآنَ رَبِيعَ قَلْبِي، وَجِلَاءَ هَمِّي.
তরজমাঃ-
হযরত ইবনে মাসউদ রাঃ থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ বলেনঃ যাকে চিন্তা ও পেরেশানী এসে ঘিরে ফেলবে সে যেন বলে,
হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে আপনার ঐ সমস্ত নাম দ্বারা সুওয়াল করছি যা দ্বারা আপনি আপনার নামকরণ করেছেন,অথবা আপনার কিতাবে অবতরণ করেছেন,অথবা আপনার সৃষ্টিজীবের কাউকে শিক্ষা দিয়েছেন,অথবা কাহার অন্তরে (মাধ্যম ছাড়া) ঢেলে দিয়েছেন,অথবা আপনি যা গোপনে( গাইবের খাযানায়) নাম ধারণ করেছেন (এবং যা অন্য কেউ জানে না)সবকিছুর উচিলায়  আপনার কাছে সুওয়াল করছি,
আপনি কোরআনকে আমার অন্তরের বসন্তদূত বানিয়ে দিন, এবং চক্ষুমনি ও চিন্তা দূরের অগ্রদূত বানিয়ে দিন।
মিরকাতুল মাফাতিহ হাদীস নং২৪৫২

"او الهمت عبادك "اي بغير واسطة وهي اسماءه في اللغة المختلفة
অর্থাৎ- او الهمت عبادك এর অর্থ হল,বিভিন্ন ভাষায় বর্ণিত আল্লাহ তা'আলার পবিত্র নাম(অর্থাৎ নামের অনুবাদ)।
মিশকাত শরীফ (টিকা) পৃঃ২১৬।

ﻗﺎﻝ ﺷﻴﺦ ﺍﻹﺳﻼﻡ ﺍﺑﻦ ﺗﻴﻤﻴﺔ – ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ - : " ﻛﺬﻟﻚ ﺍﻟﺮﺏ ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻳﻮﺻﻒ ﺑﺎﻟﻌﺮﺑﻴﺔ " ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ " ، ﻭﺑﺎﻟﻔﺎﺭﺳﻴﺔ " ﺧﺪﺍﻱ ﺑﺰﺭﻙ " ، ﻭﺑﺎﻟﺘﺮﻛﻴﺔ " ﺳﺮﻛﻮﻱ " ، ﻭﻧﺤﻮ ﺫﻟﻚ ، ﻭﻫﻮ ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻭﺍﺣﺪ ، ﻭﺍﻟﺘﺴﻤﻴﺔ ﺍﻟﺪﺍﻟﺔ ﻋﻠﻴﻪ ﺗﻜﺜﺮ " ﺍﻧﺘﻬﻰ ﻣﻦ " ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻜﺒﺮﻯ " ( 6 / 568 )

অর্থাৎ-ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেনঃ-রব সুবহানাহু ওয়া তা'আলাকে  আরবী বিভিন্ন শব্দ যেমন আল্লাহ,রাহমান,রাহিম ইত্যাদি শব্দ  দ্বারা বিশেষায়িত করা যায়,এবং ফার্সিতে খোদা-য়া বুযরুক,ও তুর্কিতে সরকুওবী, ইত্যাদি দ্বারাও বিশেষায়িত করা যায়,মনে রাখতে হবে আল্লাহ তা'আলা এক-ই,কিন্তু তাকে বুঝাতে বিভিন্ন শব্দ ব্যবহার করা হয়।(ফাতাওয়া আল-কুবরা,৬/৫৬৮)

ﻭﻗﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﺍﻟﻬﻤﺎﻡ ﺍﻟﺤﻨﻔﻲ – ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ - : " ( ﻗﻮﻟﻪ : ﻭﻟﻮ ﻗﺎﻝ ﺑﺎﻟﻔﺎﺭﺳﻴﺔ " ﺳﻮﻛﻨﺪﻣﻲ ﺧﻮﺭﻡ ﺑﺨﺪﺍﻱ " ﻳﻜﻮﻥ ﻳﻤﻴﻨﺎً ) ; ﻷﻧﻪ ﻟﻠﺤﺎﻝ ; ﻷﻥ ﻣﻌﻨﺎﻩ : ﺃﺣﻠﻒ ﺍﻵﻥ ﺑﺎﻟﻠﻪ " ﺍﻧﺘﻬﻰ ﻣﻦ " ﻓﺘﺢ ﺍﻟﻘﺪﻳﺮ " ( 5 76 / ) .

অর্থ্যাৎ-বিশিষ্ট হানাফি ফেককাহবিদ ইমাম ইবনে হুমাম রাহ বলেন,যদি কেউ ফার্সি ভাষায় খোদার নামে শপথ করে তাহলে শপথ হবে, অথচ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে শপথ হয়না। এবং" ﺳﻮﻛﻨﺪﻣﻲ ﺧﻮﺭﻡ ﺑﺨﺪﺍﻱ "এর অর্থ হচ্ছে আমি এখন আল্লাহর নামে শপথ করছি।

ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﺣﺰﻡ – ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ - : " ﻻ ﻳﻤﻴﻦ ﺇﻻ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻋﺰ ﻭﺟﻞ ، ﺇﻣﺎ ﺑﺎﺳﻢ ﻣﻦ ﺃﺳﻤﺎﺋﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﺃﻭ ﺑﻤﺎ ﻳُﺨﺒَﺮ ﺑﻪ ﻋﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﻻ ﻳﺮﺍﺩ ﺑﻪ ﻏﻴﺮﻩ ﺍﻧﺘﻬﻰ ﻣﻦ " ﺍﻟﻤﺤﻠﻰ " ( 8 / 30 ) .

ইবনে হযম রাহ বলেন,আল্লাহর নাম উল্লেখ ব্যতীত শপথ হয়না,হয়তো আল্লাহর নাম সমূহ উল্লেখ করতে হবে নতুবা এমন শব্দ উল্লেখ করতে হবে যা শুধুমাত্র আল্লাহকে বুঝায় আর অন্য কিছুকে বুঝায় না।

ﻗﺎﻝ ﺷﻴﺦ ﺍﻹﺳﻼﻡ ﺍﺑﻦ ﺗﻴﻤﻴﺔ – ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ : -

ﻭﺃﻣﺎ ﻣُﺨﺎﻃﺒﺔ ﺃﻫﻞ ﺍﻻﺻﻄﻼﺡ ﺑﺎﺻﻄﻼﺣﻬﻢ ، ﻭﻟﻐﺘﻬﻢ : ﻓﻠﻴﺲ ﺑﻤﻜﺮﻭﻩ ﺇﺫﺍ ﺍﺣﺘﻴﺞ ﺇﻟﻰ ﺫﻟﻚ ، ﻭﻛﺎﻧﺖ ﺍﻟﻤﻌﺎﻧﻲ ﺻﺤﻴﺤﺔً ، ﻛﻤﺨﺎﻃﺒﺔ ﺍﻟﻌﺠﻢ ﻣﻦ ﺍﻟﺮﻭﻡ ﻭﺍﻟﻔُﺮﺱ ﻭﺍﻟﺘُّﺮﻙ ﺑﻠﻐﺘﻬﻢ ﻭﻋُﺮﻓﻬﻢ ، ﻓﺈﻥَّ ﻫﺬﺍ ﺟﺎﺋﺰٌ ﺣﺴﻦ ﻟﻠﺤﺎﺟﺔ ، ﻭﺇﻧﻤﺎ ﻛﺮﻫﻪ ﺍﻷﺋﻤﺔ ﺇﺫﺍ ﻟﻢ ﻳُﺤْﺘَﺞْ ﺇﻟﻴﻪ ….

" ﺩﺭﺀ ﺗﻌﺎﺭﺽ ﺍﻟﻌﻘﻞ ﻭﺍﻟﻨﻘﻞ " ( 1 / 43 ) .


ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ অন্যত্র বলেন,

ইসলামী পরিভাষাকে যে কোন ভাষার  ভাষায় রুপান্তিত করতে পারবে,যেমন রোম,পারস্য,তুর্কি ইত্যাদিরা ইসলামী পরিভাষাকে তাদের ভাষায় রুপান্তিত করে থাকে, এটা মাকরুহ হবে না বরং উত্তম হবে যদি তার প্রয়োজন পড়ে,প্রয়োজন অতিরিক্ত রুপান্তিকরণ ফুকাহগণ অপছন্দ করে থাকেন।

(আক্বলও নক্বল-১/৪৩)


ﻭﻗﺎﻝ – ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ - 
 ﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﺫﻟﻚ ﻣﻨﻬﻴّﺎً ﻋﻨﻪ ؛ ﻷﻥ ﺫﻟﻚ ﻳﻜﻮﻥ ﻣﻦ ﺑﺎﺏ ﺗﺮﺟﻤﺔ ﺃﺳﻤﺎﺋﻪ ، ﻭﺁﻳﺎﺗﻪ ﺑﻠﻐﺔ ﺃﺧﺮﻯ ﻟﻴﻔﻬﻢ ﺃﻫﻞ ﺗﻠﻚ ﺍﻟﻠﻐﺔ ﻣﻌﺎﻧﻲ ﻛﻼﻣﻪ ﻭﺃﺳﻤﺎﺋﻪ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺟﺎﺋﺰ ، ﺑﻞ ﻣﺴﺘﺤﺐ ﺃﺣﻴﺎﻧﺎً ، ﺑﻞ ﻭﺍﺟﺐ ﺃﺣﻴﺎﻧﺎً ... ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻧﺖ ﺍﻟﻤﻌﺎﻧﻲ ﺍﻟﺘﻲ ﺗﺒﻴَّﻦ ﻟﻬﻢ ﻫﻲ ﻣﻌﺎﻧﻲ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻭﺍﻟﺴﻨﺔ ، ﺗﺸﺒﻪ ﻗﺮﺍﺀﺓ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﺑﻐﻴﺮ ﺍﻟﻌﺮﺑﻴﺔ ، ﻭﻫﺬﻩ ﺍﻟﺘﺮﺟﻤﺔ ﺗﺠﻮﺯ ﻹﻓﻬﺎﻡ ﺍﻟﻤﺨﺎﻃﺐ ﺑﻼ ﻧﺰﺍﻉ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀ ".
ﺍﻧﺘﻬﻰ ـ ﻣﺨﺘﺼﺮﺍ ـ ﻣﻦ : " ﺑﻴﺎﻥ ﺗﻠﺒﻴﺲ ﺍﻟﺠﻬﻤﻴﺔ " ( 2 / 389 )


ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ অন্যত্র বলেন,আল্লাহ তা'আলার নামকে ভাষান্তর করা নিষিদ্ধ হবে না,কেননা এটা আল্লাহ তা'আলার নামের তরজমা মাত্র, যাতে করে অন্য ভাষার লোকজন সহজে আল্লাহ তা'আলাকে চিনতে ও বুঝতে পারে,এটা জায়েয এবং কখনো কখনো মুস্তাহাব বা ওয়াজিব হয়,যখন কোরআন-সুন্নাহর দৃষ্টিতে সঠিক অর্থ প্রকাশ করা হবে।এটা অন্য ভায়ায় কোরআন তরজমার মত,আর অন্যভাষায় কোরআন তরজমা সমস্ত উলামায়ে কেরামদের কাছে মতবিরোধ ব্যতীত বৈধ।

ﻓﺄﺟﺎﺑﺖ ﺍﻟﻠﺠﻨﺔ : ﺗﺠﻮﺯ ﺗﺮﺟﻤﺔ ﺃﺳﻤﺎﺀ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻤﻦ ﻻ ﻳﻌﺮﻑ ﺍﻟﻠﻐﺔ ﺍﻟﻌﺮﺑﻴﺔ ﺑﻠﻐﺘﻬﻢ ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻤﺘﺮﺟِﻢ ﺑﺼﻴﺮﺍ ﻟﻠﻐﺘﻴﻦ ، ﻛﻤﺎ ﻳﺠﻮﺯ ﺃﻥ ﺗﺘﺮﺟﻢ ﻟﻬﻢ ﻣﻌﺎﻧﻲ ﺍﻵﻳﺎﺕ ﺍﻟﻘﺮﺁﻧﻴﺔ ﻭﺍﻷﺣﺎﺩﻳﺚ ﺍﻟﻨﺒﻮﻳﺔ ﻟﺘﻔﻬﻴﻤﻬﻢ ﺍﻟﺪﻳﻦ . ﺍﻫـ .

সৌদিআরবের বিশিষ্ট গবেষনা পরিষদ"লাজনাতুদ্দায়িমা"এ রকম এক প্রশ্নের জবাবে বলে যে,আল্লাহ তা'আলার নাম সমূহকে ভাষান্তর করা বৈধ যে ভাবে কোরআনকে ভাষান্তর করা বৈধ।তবে শর্ত হল,যিনি ভাষান্তর করবেন,তিনি উভয় ভাষায় পারদর্শী ও বিজ্ঞ হতে হবে।

আল্লাহ তাআলাকে অন্য ভাষায় এমন শব্দে ডাকা জায়েজ, যে শব্দে আর কাউকে ডাকা হয় না। সেই সাথে এটা অন্য কোন ধর্মের ধর্মীয় কোন নাম নয়। (আল ইয়াওয়াক্বীত ওয়াল জাওয়াহীর-৭৮, ফাতওয়া আলমগীরী-৬/৪৪৬}

তবে সর্বাবস্থায় উত্তম হল আল্লাহকে কোরআন-হাদীসের ভাষায় স্বরণ করা।

খোদা সম্পর্কে বলা হয়,যে ইউকিপেডিয়া ইংরেজী ভার্সনে আছে যে তা মাজুসীদের দেবতার নাম ছিল।

এ প্রশ্নের সমাধান হলঃ- প্রথমত তা নির্ভর্যোগ্য কোনো দলিল দ্বারা প্রমাণিত নয়।দ্বিতীয়ত দলিল দ্বারা প্রমাণিত হলেও এখন কিন্ত কেউ-ই খোদা দ্বারা সেই দেবতাকে উদ্দেশ্য নেয় না,বরং খোদা দ্বারা যে আল্লাহ উদ্দেশ্য তা পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত সবাই জানে,এবং ইহা প্রায় ইজমার পর্যায়ে চলে গেছে।তৃতীয়ত অতীতে কোনো কিছুর নাম থাকতে পারে এ জন্যইতো পরবর্তীতে মুসলমানগণ খোদা শব্দ দ্বারা আল্লাহর অনুবাদ করেছেন,কারণ হয়তো তখনকার মানুষ জানত খোদা এক মহা-শক্তিদ্বর সত্তার নাম,যদ্দরুন পরবর্তিতে মানুষকে বুঝানোর স্বার্থে খোদা শব্দ দ্বারা আল্লাহ শব্দের ব্যখ্যা বা অনুবাদ করা হয়, কিন্তু অনুবাদক ও প্রচারকগণ তখন তাকে শিরিকমুক্ত হিসেবে মানুষের সামনে উপস্থাপন করেছেন।প্রথমে অন্যধর্মের মানুষ কোনো নাম দ্বারা তাদের মা'বুদকে  বুঝালে তা পরবর্তী ধর্মাবলম্বীদের জন্য  হারাম হতে পারেনা,এবং যৌক্তিক ও নয় যেমনঃ-
যেমন ইসলামের পূর্বে আল্লাহ শব্দ দ্বারা মুশরিকরাও তাদের মা'বুদকে বুঝাত ও উদ্দেশ্য নিত যদিও তারা এর সাথে আরো অনেককে শরীক করতো,ইবনে হিশাম "আসসিরাতুন নাবাবীয়্যাহ ১/৯১ "নামক কিতাবে বলেনঃ

ﻳﻘﻮﻝ ﺍﺑﻦ ﻫﺸﺎﻡ ﻓﻲ ( ﺍﻟﺴﻴﺮﺓ ﺍﻟﻨﺒﻮﻳﺔ ﺝ 1 ﺹ 91 ) " ﻓﻜﺎﻧﺖ ﻛﻨﺎﻧﺔ ﻭﻗﺮﻳﺶ ﺇﺫﺍ ﺃﻫﻠﻮﺍ ﻗﺎﻟﻮﺍ : " ﻟَﺒَّﻴْﻚ ﺍﻟﻠﻬﻢ ﻟﺒﻴﻚ ﻟﺒﻴﻚ ﻻ ﺷﺮﻳﻚ ﻟﻚ "

অর্থ্যাৎ-কুরাইশরা যখন হজ্বের তালবিয়্যাহ পাঠ করতো তখন তারা বলতঃলাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক.....

দেখুন ইসলামের পূর্বে মুশরিকরা আল্লাহ শব্দ দ্বারা তারা তাদের মা'বুদকে উদ্দেশ্য নিত, পরবর্তিতে ইসলাম আল্লাহ শব্দকে বিসর্জন দেয়নি, তবে ইসলাম মুশরিকানা সমস্ত সিফাত বা বৈশিষ্ট্যাবলীকে বিসর্জন দিয়ে আল্লাহ শব্দের শিরিকমুক্ত ব্যখ্যা প্রদান করেছে।ঠিক তেমনিভাবে ইহুদী-খৃষ্টানরাও তাদের মা'বুদকে বুঝাতে আল্লাহ শব্দ ব্যবহার করত,তাদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেনঃ

ـ  ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻫَﺎﺩُﻭﺍ ﻭَﺍﻟﻨَّﺼَﺎﺭَﻯ ﻭَﺍﻟﺼَّﺎﺑِﺌِﻴﻦَ ﻣَﻦْ ﺁﻣَﻦ

َ))) ﺑِﺎﻟﻠَّﻪ(ِ (
ﻭَﺍﻟْﻴَﻮْﻡِ ﺍﻵﺧِﺮِ ﻭَﻋَﻤِﻞَ ﺻَﺎﻟِﺤًﺎ ﻓَﻠَﻬُﻢْ ﺃَﺟْﺮُﻫُﻢْ ﻋِﻨْﺪَ ﺭَﺑِّﻬِﻢْ ﻭَﻻ ﺧَﻮْﻑٌ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﻭَﻻ ﻫُﻢْ ﻳَﺤْﺰَﻧُﻮﻥَ "


নিঃসন্দেহে যারা মুসলমান হয়েছে এবং যারা ইহুদী, নাসারা ও সাবেঈন, (তাদের মধ্য থেকে) যারা ঈমান এনেছে "আল্লাহর" প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি এবং সৎকাজ করেছে, তাদের জন্য রয়েছে তার সওয়াব তাদের পালনকর্তার কাছে। আর তাদের কোনই ভয়-ভীতি নেই, তারা দুঃখিতও হবে না।সূরা বাক্বারা-৬২

উক্ত আয়াতে বলা হচ্ছে ইহুদী নাসারাদের মধ্যে যারা সেই সময়ে আল্লাহর উপর ঈমান এনেছে তারা জান্নাতী।

তাই খোদা শব্দকে আল্লাহ শব্দর অনুবাদ হিসেবে ব্যবহার করতে কোনো প্রকার বিধি-নিষেধ নেই।

আল্লাহ সেই সমস্ত মহা-মনিষীদের সমস্ত চেষ্টাকে কবুল করুক।আমীন।

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

উত্তর লিখনে

মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.
পরিচালক
ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
sabeyi dhormo ta ki  shayekh?
by (709,320 points)
এ ধর্মের ব্যখ্যা নিয়ে মতভেদ রয়েছে।কেউ বলেন,এরা চন্দ-সূর্য কে খোদা মনে করত,কেউ বলেন,তারা তারকার পূজা করত।মোটকথাঃ এর মুশরিক।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...