আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,424 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (1 point)
ফরসেজ এর কাজ টা হলো রেফার করে মানুষের একাউন্ট খুলে দেওয়া যা চলে trx নামে এক ধরনের cryptocurrency দিয়ে। এইখানে কেউ যদি একটি রেফার করে তাহলে সে পাবে ৩$ আর তার উপরে যে আছে মানে যার রেফার এ সে একাউন্ট খুলছে সে পাবে ৩$। আর কিছু ইনভেস্টমেন্ট এর বিষয়ও আছে.. স্লট কিনে রাখতে হয় পরে সেই স্লট থেকে ইনকাম আসে আর ওই স্লট এর ইনকাম হয় যদি কেউ স্লট কিনে।  কাজ টা হচ্ছে টিম ওয়ার্ক... চেইন যত বড় হবে ইনকাম তত বেশি হবে।

1 Answer

0 votes
by (717,920 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী ফরসেজ বিজনেস কখনো জায়েয হবে না।কেননা ফরসেজ হল,এম এল এম ব্যবসা।আর এম এল এম ব্যবসা নাজায়েয।

এম. এল. এম কম্পানি সমূহে শরীয়তের বেশ কিছু নিষিদ্ধ বিষয়াবলী পাওয়া যাওয়ার ধরুন উলামায়ে কেরামগণ উক্ত ব্যবসা কে নাজায়েয বলে থাকেন।

নিষিদ্ধ বিষয় সমূহ যেমনঃ -
(১)এক চুক্তির মধ্যে অন্য চুক্তির শর্ত করা।
(صفقتان في صفقة)


(২)চুক্তিকে শর্তের সাথে ঝুলন্ত রাখা।
(التعليق بالشرط)
(৩)ধোঁকা ও অনিশ্চয়তা 
(غرر)
(৪)বিনিময়হীন শ্রম
(العمل بلا أجرة)
(৫) শ্রমহীন বিনিময়
الأجرة بلا عمل
(৬)সুদ ( الربا)

এসবই শরীয়তে নিষিদ্ধ। এম.এল এম এর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ,তাদের নিয়ম-পদ্ধতির বিশ্লেষণ ও এ সকল প্রতিষ্টানের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের অভিমতের আলোকে জানা যায় যে,এ ব্যবসা পদ্ধতিতে উল্লিখিত নিষিদ্ধ বিষয়গুলো ছাড়া আরোও কিছু শরীয়াত নিষিদ্ধ বিষয় রয়েছে।সুতরাং কোনো মুসলমানের জন্য এ সকল কম্পানির সাথে কোনোভাবে সম্পৃক্ত হওয়া জায়েয ও বৈধ হবে না।তাই প্রতিটি মুসলমানের উচিৎ ঈমানী দাবীতে এম.এল.এম বর্জন করা। আল্লাহ তা'আলা সকল মুসলমানকে এম.এল.এম সহ সকল প্রকার নাজায়েয লেনদেন থেকে বেঁচে থাকার তাওফীক দান করুক।আমীন।(দরসুল ফিকহ-হাটহাজারী-১/৩০৫)

তবে উল্লিখিত নিষিদ্ধ বিষয়াবলী না থাকলে, কমিশন ভিত্তিতে কোনো কম্পানির শুধুমাত্র এজেন্ট হয়ে মার্কেটিং করা জায়েয আছে।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 340


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
এইটা তে আবার এমন ও আছে যারা রেফার না করেও ইঙ্কাম করতে পারে ...।কোন রেফার নাই আবার কোন ইনভেস্ট মেন্ট ও নাই ...তাও তার ইনকাম আছে । এইটা কি তাইলে এম এল এম এর মধ্যে পড়বে ...?
by (717,920 points)
আপনার বিবরণ মত যদি রেফার না করে এবং ইনভেষ্ট না করে ইনকাম করা যায় সেটা কিভাবে উল্লেখ করবেন।

যদি হালাল কোনো পদ্ধতি তে ইনকাম করার কোনো সুযোগ থাকে,তাহলে তা অবশ্যই জায়েয হবে।
by
রেফার না করে এবং ইনভেস্ট  না করে ইনকাম করতে পারে যদি তার আপলাইন মানে যার রেফার এ সে একাউন্ট খুলছে  তার অনকে গুলা রেফার থাকে এবং ওই রেফার গুলাও যদি আরও অনেক রেফার করে বা ইনভেস্ট করে   
by (717,920 points)
না ,এমন হলে জায়েয হবে না।কেননা এখানে ঐ ইনকামের বিপরিত কোনো কাজ নাই।সেজন্য উলামায়ে কেরাম এটকে মানি গেইম বলেন।নাজায়েয বলেন।
by
আচ্ছা হুজুর আমার তো এখন অনেক বড় চেইন হইয়ে গেসে . ১৪০ জন এর মতো আছে তাইলে আমি এখন কি করব? আমার করণীয় কি?
by (717,920 points)
এগুলো বাদ দিয়ে দেন। নতুবা কোনো এতিম খানায় সদকাহ করে দিবেন।আপনার মূলধন সেখান থেকে নিয়ে নিতে পারবেন।
by
আচ্ছা।  কিন্তু আমার চেইন এ যারা আছে তারা কি করবে..? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...