আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
70 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (27 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম। হুজুর আমি ঈমান ভংগের কারন জানার পর আগের বিভিন্ন কথা মনে পরতেছে আর আমি পেরেশানিতে আছি। সবসময় শুধু অই চিন্তা ঈমান ভংগ হল নাকি। আমার বিবাহ ভেঙে গেল নাকি। হুজুর আপনাদের এই ওয়েবসাইটেও অনেক প্রশ্ন করেছি। আপনারা বলেছেন ঈমান ভংগ হয় নি। আমি সবসময় বিষন্ন থাকি, আমার কিছু ভালো লাগেনা এই বিষয়গুলো নিয়ে আমার স্ত্রীর সাথে আমার কালকে রাত্রে মনোমালিন্য হয়। তখন আমি সম্ভবত মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে বা মুখ নাড়িয়ে ধিরে ধিরে  আমার ওয়াসওয়াসার কারনে এই রকম হচ্ছে এই ভেবে কোন একটা গালি দিতে যেয়ে আমি থেমে যাই। তখন আমি ইস্তিগফার ও আমানতু বিল্লাহ। হুজুর আমি কোন গালি দিতে চেয়েছিলাম বা মুখ দিয়ে অই  গালির  অর্ধেক উচ্চারণ করেছিলাম নাকি আমার মনে নেই।  কিন্তু আমি স্ত্রীর সাথে আমার মনোমালিন্য হওয়ার সময় আমার ওয়াসওয়াসার কথা মনে হয় যে,  এই ওয়াসার জন্য আমার এই রকম হচ্ছে। তখনই আমার গালির কথা মনে হয় এবং আমি গালি দিতে যেয়ে থেমে যাই বা অর্ধেক বলে থেমে যাই যা সঠিক আমার মনে নেই। কিন্তু আমার মনে সন্দেহ জাগতেছে যে, আমি অই গালি দিতে যেয়ে থেমে যাওয়া বা গালির অর্ধেক যা আমার সঠিক মনে নেই এগুলো               আল্লাহর উদ্দেশ্যে দিতে চেয়েছিলাম নাকি।হুজুর এগুলো যদি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হয় তাহলে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে। হুজুর আমি সাথে সাথে ইস্তিগফার পড়েছি। আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে? হুজুর আমার সবসময় শুধু মনে হয় ঈমান ভংগ হল নাকি?

২.হুজুর উপরের ঘটনাটা রাতের। আজকে ভোরে  ফজরের নামাজ পরতে উঠে আমার মনে সন্দেহ হচ্ছিল যে,  আমি কালকে রাত্রে কাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলাম আল্লাহ কে উদ্দেশ্য করে আবার বল্লাম নাকি আবার মনে হচ্ছে ওয়াসওয়াসার কারনে অইরকম মনোমালিন্য হচ্ছিল এই জন্য তোও  তো বলেছিলাম। হুজুর তখন আমার মনে হয় কি গালি দিয়েছিলাম তা মনে করার জন্য আমার মনে একাধিক বাজে  গালি আসে। বা আমি মনে মনে গালি গুলো মনে করি বা মনে মনে গালি গুলো বলি জিহবা বা ঠোঁট না নাড়িয়ে আর কি   । তখন আমার মনে হয় এই গালি গুলো যে মনে মনে ভাবলাাম বা জিহবা বাা ঠোঁট না নাড়িয়ে মনে মনে যে    বল্লাম কাকে উদ্দেশ্য করে বল্লাম। আল্লাহ কে উদ্দেশ্য করে বল্লাম নাকি। হুজুর আমি  পরবর্তীতে ইস্তিগফার পড়ি।। হুজুর এভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে কি গালি দিয়েছিলাম নাকি তা মনে   করার জন্য, গালিগুলো   মনে  মনে  ভাবার  দারা  বা মনে মনে জিহবা বা ঠোঁট না নাড়িয়ে     বলার দারা কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে। আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে? হুজুর আমি প্রচন্ড পেরেশানিতে আছি। আমার প্রতিদিন নতুন নতুন নতুন প্রশ্ন মনে জাগতেছে।

1 Answer

0 votes
by (707,760 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তালাকের ওয়াসওয়াসা দ্বারা তালাক হয় না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারি দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার সমস্ত বিবরণ পড়ে বলছি, আপনার ঈমান ভঙ্গ হয়নি।আপনি মনোবিজ্ঞানী কোনো ডাক্তার দেখাবেন।আল্লাহ আপনার সহায় হোক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...