আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
112 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।

পূর্বের প্রশ্নঃ

কোন স্ত্রী যদি তালাক চায় আর স্বামী যদি বলে দিব বা তুমি দাও বলে মেসেজে।এরপর স্বামী যদি বলে এখনো কেও জানেনা বিয়ের কথা। এখনো সময় আছে ছেড়ে দিতে পার বা দাও বা এখনো কেউ জানে না আলাদা বা তালাক হয়ে গেলেও কেও জানবে না  ইত্যাদি ।তারপর যদি বলে আমি যখন শহরে আসব তখন সাক্ষী নিয়ে   আসব তখন দিয়ে দিও বা দিব মানে তালাক দিবে বা দিতে বলেছে ধরেন যখন এরপর শহরে আসবে তখন।বা এই কথাটার পর যদি বলে এখনো সময় আছে কেও জানে না আলাদা হয়ে গেলেও কেও জানবে না ইত্যাদি ইত্যাদি  এমন।এরপর ্মা বাবার পছন্দমত বিয়ে করিও বা করতে পারবা বা যদি বলে মা বাবার পছন্দমত করিও  বিয়ে এরপর বা করতে পারবা  এরপর এমন বললে কি তালাক হবে? এখানে তহ স্বামী ভবিষ্যৎ এর কথা বলেছে।সব গুলোই তহ ভবিষ্যৎ এর দিকে ইন্গিত করে বলেছে ধরেন।

পূর্বের  উত্তরঃ

তালাক হবে না।

এটার উত্তর দিয়েছিল ওলি  উল্লাহ হুজুর।

বর্তমান প্রশ্নঃ

১।স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর স্বামী যদি বলত এখনো সময় আছে চলে যেতে পার।চলে গেলে কেউ জানবে না বিয়ের কথা।আর আমিও বলব না।এখানে ধরেন কথার দ্বারা স্ত্রীর মতামতের উপর প্রাধান্য দিছে।মানে স্ত্রী চাইলে চলে যেতে পারে এমনটা বুঝিয়েছে ধরেন। মেসেজে আর কি।আপনি আগে বলেছিলেন স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর মেসেজে স্বামী যাইলে যাওগা বললে তালাক হয় না। তহ উপরোক্ত স্বামীর কথা দ্বারা কি তালাক হবে? ওরা একসাথে থাকতে চায়। আগে ধরেন এত কিছু জানত না বা বুঝত না।

২।ধরেন স্বামীর তেমন কিছু মনে থাকে না আগের কথা।ওর মনে হচ্ছে স্বামীর মনে থাকবে না কারন প্রায় ভুলে যায়।আল্লাহ জানে বাকিটা।আর স্বামীকে তালাকের প্রশ্ন করলে খুবই রেগে যায়।এরকম প্রশ্ন করলে স্বামীর মনে আসে যে স্ত্রী মনে হয় তালাক চাই স্বামীর কাছে।এটা ভেবে রেগে যায়। তহ  বর্তমান প্রশ্নের ১নং প্রশ্নের কথা গুলো ধরেন আগের কথা।স্ত্রীর মনে হচ্ছে স্বামী স্ত্রীর ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে কথা বলেছে মানে স্ত্রী যাইলে যাইতে পারে এমন কিছু একটা বুঝিয়েছে বলে মনে হচ্ছে স্ত্রীর।কিন্তুু সে জানে না মানে শিওর না।স্বামীকে জিগ্যেস করলে হয়ত রেগে গিয়ে উল্টা পাল্টা বলতে পারে যার দ্বারা বিচ্ছেদ হতে পারে কারন স্বামী তালাকের বিষয়ে তেমন কিছু জানে না।আর স্বামীর মনে নাও থাকতে পারে।স্বামী স্ত্রী একসাথে থাকতে চায় ওরা ধরেন।আগে এত কিছু বুঝত না ।তহ স্বামীকে আর জিগ্যেস না করলে আগের বিষয়ে মানে কি বুঝিয়েছিল কথাটা দ্বারা তাহলে কি কোন সমস্যা  হবে? সারাজীবন থাকলে কি গুণাহ হবে একসাথে?

৩।ধরেন স্ত্রী সিওর না   বর্তমান প্রশ্নের ১নং প্রশ্নের মত বলেছিল কিনা সেটা নিয়ে।সন্দেহ হয় আর কি।তহ স্বামীকে জিগ্যেস করতেছে না ভয়ে।কারন স্বামী বারন করেছে তালাকের বিষয়ে কোন প্রশ্ন না করতে।রেগে যায়,খুব।তহ স্ত্রী সিওর ও না স্বামী কি বলেছিল সেটা নিয়ে।আগের কথা হয়ত ওর স্বামীর মনে নাও থাকতে পারে।কারন ওর স্বামীর তেমন কথা মনে থাকে না।বাকিটা আল্লাহ জানে।ওরা স্বামী স্ত্রী একসাথে থাকতে চায় ।এমন প্রশ্ন স্বামীকে জিগ্যেস না করলে কি কোন সমস্যা বা গুণাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (709,320 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আপনার প্রশ্নের জবাব প্রস্তুত হচ্ছে।ইনশাআল্লাহ অচিরেই জবাব পেয়ে যাবেন। ধর্য সহকারে অপেক্ষার জন্য আন্তরিক অভিবাদন। জাযাকুমুল্লাহ।

প্রথমে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে একটু মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন-
ফতোয়া আরবী শব্দ এবং কুরআন-সুন্নাহ ও ইসলামী শরীয়তের একটি মর্যাদাপূর্ণ পরিভাষা। বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে ‘ফতোয়া’ সংক্রান্ত আরো কিছু শব্দের অর্থ জেনে নেওয়া আবশ্যক। যথা : ইস্তিফতা, মুসতাফতী, মুফতী, ইফতা ও দারুল ইফতা। কুরআন-সুন্নাহ ও দ্বীনী ইলমের মাহির আলিমের নিকট কোনো দ্বীনী বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের বিধান জিজ্ঞাসা করাকে ‘ইস্তিফতা’ বলে। প্রশ্নকারীকে ‘মুস্তাফতী’ বা ‘সাইল’ বলে। বিশেষজ্ঞ আলিম শরীয়তের দলীলের আলোকে যে বিধান বর্ণনা করেন তাকে ‘ফতোয়া’ বলে। বিধান বর্ণনাকারী আলিমকে মুফতী এবং তার এই কাজ অর্থাৎ প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তরে শরীয়তের বিধান বর্ণনা করাকে ‘ইফতা’ বলে। যে প্রতিষ্ঠান এই দায়িত্ব পালন করে তাকে ‘দারুল ইফতা’ বলে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...