আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (72 points)
আসসালামু আ'লাইকুম

হুজুর মন থেকে সন্দেহ দূর হচ্ছে না আমাকে একটু সাহায্য করুন

আমার আর আমার স্বামীর তো অনেক ঝগড়া হয়েছে তখন আমি রাগ করে অনেক কেনায়া বাক্য বলেছি (মেয়েদের কেনায়া বাক্যে ** হয়না যতটুকু পড়ে জেনেছি কিন্তু আমার কথার প্রতিউত্তরে আমার স্বামী যেসব কেনায়া বাক্য বলেছে তাতে **** হবে বলা হয়েছে যেহেতু ঝগড়ার সময় *** বিষয়ে  কথা বললে সেটা *** মজলিস হিসেবে গণ্য হয়)

কিন্তু আমার কথা হচ্ছে আমার তো কিছুই মনে নেই স্পষ্টভাবে আমি কি বলেছিলাম বা সে কি বলেছিল প্রতিউত্তরে)

আমার স্বামীকে জিজ্ঞেস করেছি বিয়ের পর থেকে তো অনেক ঝগড়া হয়েছে তখন কি একবারের জন্য কখনো *** নিয়তে কখনো কিছু বলেছো?

সে প্রতিবার উত্তর দেয় -না কখনো না।হুজুর আমি জানি তার নিয়ত সম্পর্কে।তাও মনে শান্তি আসে না হুজুর কারণ ওই পরিস্থিতিগুলোতে আমি ছিলাম যা আপনাদের সহীহভাবে বুঝাতে পেরেছি কিনা তা বুঝতে পারছিনা
উপরের ঘটনার আলোকে কি কোন * পতিত হবে?

যেহেতু মজলিসে কি বলেছিল সে সম্পর্কে কিছুই মনে নেই(মনে করার চেষ্টা করছি কিন্তু ঠিকভাবে কিছু মনে পরছে না)

আর স্বামী ঝগড়ার সময় নিয়ত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে প্রতিবারই একই উত্তর দেয়।

২.আমাদের ঝগড়া হলেও কখনো ১০ দিনের বেশি কথা না বলে বা স্বামী-স্ত্রী সুলভ আচরণ করা থেকে বিরত ছিলাম না
৩.রেজয়ী তালাক কখন হয় বুঝব কিভাবে?

৪.স্বামীকে বারবার জিজ্ঞেস করাতে সে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে এবং  আমি সন্দেহের কারণে তার সাথে মেলামেশা করছি না ২সপ্তাহ।   সে আমাকে বারবার বলছে আমাদের বিবাহ সহীহ আছে এটা আমি জানি(মানে সে জানে) তুমি শুধু শুধু ভয় পাচ্ছো।আমার সন্দেহের কারণে তার থেকে দূরে থাকা কি ঠিক হচ্ছে?

৫.আমাদের বড় বড় যে কয়টা ঝগড়া হয়েছে তা এখানে যতটুকু মনে আছে তা শেয়ার করেছি আপনারা বলেছেন ** হবে না।
হুজুর মজলিস হলে তো *** হবে যেটা সম্পর্কে কোন স্পষ্ট ধারণা নেই এক্ষেত্রে আমার করণীয় কি?

৬. আমাকে সাজশন দিয়েছিলেন *** এর মাসায়ালা না পড়তে কয়দিন না পড়ে ছিলাম কিন্তু বারবার এটা ওটা মনে পড়াতে আবার পড়ে ফেলি এবং টেনশনে পড়ে যাই

৭.স্বামী একদিন আমার কাছে আমার তালা কোথায় জানতে চাই(আমি বুঝতে পারিনা তালা দিয়ে কি বুঝাচ্ছিল)  পরে বুঝতে পারি আমার তালা ব্যাংকের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করছিল।ওই সময় আমাদের কারোই **** এর চিন্তা মাথায় ছিল না(এটার উত্তর কি দিবেন আমি জানি তাও ওয়াসওয়াসার কারণে জিজ্ঞেস করা

৮.হজুর এখানে এক ভাই প্রশ্ন করেছিল স্ত্রীকে যদি কোন কেনায়া বাক্য বলেও থাকে তাহলে ইদ্দতচলাকালীন সময় যদি স্বামী-স্ত্রীর মিল হয়ে যায় তাহলে ১বায়েন প্রত্যাহার হয়ে যায়(আমি এই ব্যাপারে বুঝতে পারছিনা একটু বুঝিয়ে বলবেন)

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]
,
তালাকের পর স্বামী তালাকের কথা অস্বীকার করলে, আদালতে স্বামীর কথাই গ্রহণযোগ্য হবে। সে হিসেবে বিয়ে বহাল থাকবে।
তালাকের ফায়সালা দেয়া হবেনা।

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি স্বামীর কথাই মেনে নিন।
এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।

(০২)
আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা নেই। 

(০৩)
যখন স্পষ্ট বাক্যে তালাক শব্দ বলবে,তখন রজয়ী তালাক হবে।

(০৪)
না,এভাবে দূরে থাকা ঠিক হচ্ছেনা।

(০৫)
আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা নেই,এটি মেনে নিয়ে৷ আপনি নিশ্চিন্তে সংসার চালিয়ে যাবেন।

(০৬)
আপনি আগের দেয়া পরামর্শ মেনে চলুন।
চেষ্টা করুন,সফল হবেন,ইনশাআল্লাহ। 

(০৭)
এতে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৮)
উল্লেখিত কথাটি সঠিক নয়।

এটি রজয়ী তালাকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। 
তথা স্পষ্ট বাক্যে ১/২ তালাক দেয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (72 points)
হুজুর আমি জিজ্ঞেস করছিলাম স্ত্রীর কেনায়া বাক্যের বিপরীতে স্বামী যদি কেনায়া বাক্য বলে তাহলে তো সেটা নিয়ত ছাড়ায় পতিত হয়
যেহেতু স্ত্রী অনেকবার স্বামীকে বলেছিল ছেড়ে দিতে 
তো ধরা যায় সেটা ** এর মজলিস ছিল 
কিন্তু স্পষ্টভাবে কিছু মনে নেই
আবছা আবছা মনে আছে 
তাহলে কি তাদের বিবাহ এখনো সহীহ আছে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...