আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
645 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (48 points)
আমরা জানি পুরুষের জন্য রেশম হারাম।কিন্তু আর্টিফিসিয়াল সিল্ক ও কি পুরুষের জন্য হারাম?

1 Answer

0 votes
by (713,640 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ 
3944 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
পুরুষের জন্য তো সিল্ক হারাম করা হয়েছে।
আলী (রাঃ) হতে বর্নিত। তিনি বলেন, নাবী (সাঃ) আমাকে একজোড়া রেশমী কাপড় দিলেন। আমি তা পরিধান করলাম। তার মুখমণ্ডলে গোস্বার ভাব দেখতে পেয়ে আমি আমার মহিলাদের মাঝেে তা বণ্টন করে দিলাম। বুখারিঃইঃফাঃ৫৪২২ আহমাদঃ ১১৭১

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রসূলূল্লাহ (সাঃ) কে দেখেছি, তিনি ডান হাতে রেশম ধরলেন এবং বাম হাতে সোনা, অতঃপর বললেন, আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য এ দু’টি বস্তু হারাম।’’ আবু দাউদঃ ৪০৫৭, নাসায়িঃ ৫১৪৪, ইবন মাজাহঃ৩৫৯৫

যদি কোনো কাপড়ে সিল্কের সাথে ফ্রেব্রিক্স মিস্কড থাকে, তাহলে সিল্কের পরিমাণ বেশী সে কাপড় পরিধান নাজায়েয। আর সিল্কের পরিমাণ কম থাকলে অনুমোদনযোগ্য।তবে পরিত্যাগই শ্রেয়।

যদি কোনো কাপড় সম্পর্কে বুঝা যায় না যে তাতে সিল্ক রয়েছে কি না,তাহলে সে কাপড় সম্পর্কে তথ্য নেয়া হবে।যদি তথ্য উপাত্ব থেকে বুঝা যায় যে,তাতে সিল্ক রয়েছে,তাহলে সেই কাপড় ব্যবহার না করাই উত্তম।

রসুলুল্লাহ (সাঃ) আরও বলেন, আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু লোক সৃষ্টি হবে, যারা ব্যভিচার, রেশম, মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল সাব্যস্ত করবে। সহীহ বুখারীঃ ৫৫৯০

পুরুষদের জন্য হলুদ ও লাল জামা পরার ব্যাপারে হাদিসে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। লাল ও হলুদ রঙ পুরুষদের জন্য এই কালারের পাঞ্জাবিও এড়িয়ে চলতে হবে। রসুলুল্লাহ( সাঃ) আমর ইবনুল আস (রাঃ) কে দুইটি হলুদ রঙয়ের কাপড় পরা অবস্থায় দেখলেন। তিনি তখন বলেন, এই রঙ কাফেরদের জন্য, এই রঙের কাপড় পরিধান করো না। মুসলিমঃ ৫২৬০
উমার(রাঃ) বলেন,রসুলুল্লাহ (সাঃ)আমাদেরকে লাল রঙের পোশাক পরতে নিষেধ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ,ইবনে মাজাহঃ ৩৫৯১)

তবে শুধু এক কালারের লাল না হয়ে যদি লালের মাঝে অন্য রঙের স্ট্রাইপ/চেক থাকে তাহলে সেটা পরা জায়েজ আছে। তবে অন্য রঙের স্ট্রাইপ/চেক থাকলেও তাকওয়ার খাতিরে লাল রঙ এড়িয়ে চলাই উত্তম। তাই পোশাকের ব্যাপারে আমাদের একটু সচেতন হতে হবে।
আসুন এরূপ আরও কিছু হাদীস দেখে নেইঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ২৭/ পোশাক-পরিচ্ছদ, হাদিস নম্বরঃ ৩৯৯৭
باب مَا جَاءَ فِي الْخَزِّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ نَجْدَةَ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، حَدَّثَنَا عَطِيَّةُ بْنُ قَيْسٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ غَنْمٍ الأَشْعَرِيَّ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو عَامِرٍ، أَوْ أَبُو مَالِكٍ – وَاللَّهِ يَمِينٌ أُخْرَى مَا كَذَبَنِي – أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” لَيَكُونَنَّ مِنْ أُمَّتِي أَقْوَامٌ يَسْتَحِلُّونَ الْخَزَّ وَالْحَرِيرَ ” . وَذَكَرَ كَلاَمًا قَالَ ” يُمْسَخُ مِنْهُمْ آخَرُونَ قِرَدَةً وَخَنَازِيرَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ” .
আবদুল ওয়াহাব ইবনে নাজদা (রঃ) ………আবূ আমির বা আবূ মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শোনেনঃ আমার উম্মতের মধ্যে (পরবর্তীকালে) এমন লোক সৃষ্টি হবে, যারা রেশম মিশ্রিত বা শুধু রেশমের তৈরী কাপড় (ব্যবহার করাকে) হালাল মনে করবে। এরপর তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য কিছু বর্ণনা করার পর বলেনঃ এদের কিছু লোক কিয়ামত পর্যন্ত বানর ও শুকরে রূপান্তরিত করে দিবেন।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রেশম হারাম।তবে কৃত্রিম রেশম হারাম হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...