ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
উমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত।
وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ اسْتَأْذَنْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْعُمْرَةِ فَأَذِنَ لِي وَقَالَ: «أَشْرِكْنَا يَا أُخَيُّ فِي دُعَائِكَ وَلَا تَنْسَنَا» . فَقَالَ كَلِمَةً مَا يَسُرُّنِي أَنَّ لِيَ بِهَا الدُّنْيَا. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَانْتَهَتْ رِوَايَتُهُ عِنْدَ قَوْلِهِ «لَا تنسنا»
তিনি বলেন, একবার আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ’উমরাহ্ করার অনুমতি চাইলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে ’উমরার জন্য অনুমতি দিলেন এবং বললেন, হে আমার ছোট ভাই! তোমার দু’আয় আমাদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করো এবং আমাদেরকে ভুলে যেও না। ’উমার (রাঃ) বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে এমন একটি কথা বললেন, যার বিনিময়ে আমাকে সারা দুনিয়া দিয়ে দেয়া হয়, তবুও আমি এত খুশি হতাম না। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী; কিন্তু তিরমিযীতে ’আমাকে ভুলে যেও না’ পর্যন্ত বর্ণিত হয়েছে)(মিশকাত-২২৪৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দু'আ যে কারো কাছে চাওয়া যায়। এমনকি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' একবার হযরত উমর রাযি এর নিকটও দু'আ চেয়েছিলেন। সুতরাং দু'আ কবুল হওয়ার নিয়তে কুরআন তিলাওয়াত করার পর ইমাম সাহেব বা হুজুরের কাছে দু'আ চাওয়া যেতে পারে। এতে কোনো সমস্যা হবে না। তবে এটা জরুরী বা সুন্নত মনে করা বিদ'আত।