আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
105 views
in সাওম (Fasting) by (4 points)

আসসালামু আলাইকুম। আমার নানী শাওয়ালের ৬ রোজা রাখতে চান কিন্তু নানা রাখতে দিচ্ছে না। আমার নানা স্ট্রোক করেছে ৭ বছর হলো।সে ইসলামের অনেক বিধি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্টা করে। আমি পর্দা করি এটা নিয়েও হাসে। উল্টা পাল্টা কথা বলে। আমি কুরআন সুন্নাহ অনিযায়ী চলি এটা পছন্দ করে না। সে নামাজও পড়ে না।বলে আমার নামাজ পড়া লাগবে না। এমন মানুষ তো ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়।
নানির রোজা রাখতে কষ্ট হবে এই ভেবে রাখতে দিচ্ছে না নাকি এই রোজাগুলো ভালো লাগছে না এজন্য বারণ করছে তা বলতে পারছি না।

এক্ষেত্রে নানা যদি রোজাগুলো অপছন্দের কারনে রোজা রাখতে বারন করে তাহলে নানী কি রোজা রাখতে পারবেন?

আর যদি নানির কষ্টের কথা ভেবে বারণ করে সেক্ষেত্রে রাখতে পারবে কি? <!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_230506_072236_943.sdoc-->

1 Answer

0 votes
by (677,640 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/28030/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী স্বামীর অনুমতি  ব্যাতিত স্ত্রীর জন্য নফল রোযা রাখা, নফল নামাজ পড়া,কুরআন তেলাওয়াত করা নিষেধ।   
(নাজমুল ফাতওয়া ৫/৩০৭) 

হাদীস শরীফে আছে,

إذا دعا الرجل زوجته لحاجته فالتأته، وإن  كانت على التنور

স্বামী যখন নিজ প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডাকবে তখন সে যেন তাতে সাড়া দেয়, যদিও সে চুলায় (রান্নার কাজে) থাকে (জামে তিরমিযী, হাদীস : ১১৬০; সুনানে নাসাঈ, হাদীস : ৮৯৭১)।

عَنْ مُعَاذٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِأَحَدٍ لَأَمَرْتُ النِّسَاءَ أَنْ يَسْجُدْنَ لِأَزْوَاجِهِنَّ»

হযরত মুয়াজ রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যদি আমি যদি কোন ব্যক্তিকে অন্য কাউকে সেজদা করার আদেশ দিতাম, তাহলে আমি স্ত্রীদের আদেশ দিতাম তাদের স্বামীকে সেজদা দিতে। [কিন্তু সেজদা আল্লাহ ছাড়া কাউকে দেয়া জায়েজ নয়, তাই এ আদেশ দেয়া হয়নি’।
হাদীসটি যেসব কিতাবে বর্ণিত
মুসন্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৮৭৮৫,
সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১৫০৪,
সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৪০,
মুসনাদুল হারেস, হাদীস নং-৪৯৮,
মাশকিলুল্ আসার, হাদীস নং-১৪৮৭,
মুজামে কাবীর, হাদীস নং-৪৮৬,
মুসতাদরাক আলাস সাহিহাইন, হাদীস নং-২৭৬৩,
সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৪৭০৫।

আরো জানুনঃ 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,  
বিবাহিতা মহিলার জন্য স্বামীর হকই বেশি।
তবে কোনো শরীয়ত বহির্ভূত কাজের আদেশ মানা যাবেনা।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার নানীর জন্য আপনার আদেশ মেনে রোযা না রাখাই উচিত হবে।

তবে তারপরেও আপনার নানী রোযা রাখলে রোযা আদায় হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য যে, আপনার নানা যদি আপনার পর্দা/শরীয়তের কোনো জরুরী বিধান নিয়ে স্পষ্ট বাক্যে ঠাট্রা বিদ্রুপ করে,সেক্ষেত্রে তার ঈমান চলে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...