জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো ভুলে নামাযের কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে কিংবা কোনো ফরয বা ওয়াজিব বিলম্বিত হলে ওয়াজিব হয়।
حدثنا حفص بن عمر، حدثنا يزيد بن إبراهيم، عن محمد، عن أبي هريرة رضي الله عنه، قال: صلى النبي صلى الله عليه وسلم إحدى صلاتي العشي ـ قال محمد: وأكثر ظني العصر ـ ركعتين، ثم سلم، ثم قام إلى خشبة في مقدم المسجد، فوضع يده عليها، وفيهم أبو بكر وعمر رضي الله عنهما، فهابا أن يكلماه، وخرج سرعان الناس فقالوا: أقصرت الصلاة؟ ورجل يدعوه النبي صلى الله عليه وسلم ذا اليدين، فقال: أنسيتَ أم قصرت؟ فقال: لم أنس ولم تقصر. قال: بلى قد نسيتَ. فصلى ركعتين، ثم سلم، ثم كبر فسجد مثل سجوده أو أطول، ثم رفع رأسه فكبر، ثم وضع رأسه فكبر، فسجد مثل سجوده أو أطول، ثم رفع رأسه وكبر.
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিকালের দুই নামাযের এক নামায (বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন বলেন, আমার প্রবল ধারণা আসরের নামায) দুই রাকাত পড়ে সালাম ফিরিয়ে দেন। তারপর মসজিদের সম্মুখে একটি কাষ্ঠ খণ্ডের কাছে গিয়ে এর উপর হাত রাখেন। মুসল্লীদের মধ্যে আবু বকর ও উমর রা.-ও ছিলেন। কিন্তু তারা তাঁর সাথে কথা বলতে ভয় পাচ্ছিলেন। আর ত্বরাকারীরা বেরিয়ে বলতে লাগল, নামায কি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে? এক ব্যক্তি যাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুল ইয়াদাইন বলে ডাকতেন, জিজ্ঞাসা করল, আপনি কি ভুলে গেছেন না নামায কমিয়ে দেওয়া হয়েছে? তিনি বললেন, আমি ভুলিনি আবার নামায কমিয়ে দেওয়াও হয়নি! লোকটি বলল, আপনি অবশ্যই ভুলে গেছেন। অতপর তিনি দুই রাকাত পড়ে সালাম ফিরালেন। তারপর তাকবীর দিয়ে অনুরূপ বা তার চেয়ে দীর্ঘ সেজদা করলেন। তারপর মাথা তুলে তাকবীর দিলেন। তারপর মাথা নিচু করে তাকবীর দিলেন। তারপর অনুরূপ বা তার চেয়ে দীর্ঘ সেজদা করলেন। তারপর মাথা তুলে তাকবীর দিলেন। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১২২৯
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নামাজের যেকোনো মুহুর্তে যদি মনে হয় যে, আপনি একটি সেজদাহ করেননি, তাহলে এমতাবস্থায় সাথে সাথেই আপনি সেজদাহ করে নিবেন।এবং তারতীবে ভঙ্গ হওয়ার জন্য সাহু সিজদা করে নিবেন।
আরো জানুনঃ
,
শরীয়তের বিধান হলো যদি সেজদায়ে সাহুর কোনো ওয়াজিব ছুটে যায়, যেমন এক সেজদাহ আদায় করেনি,তাহলে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করা উত্তম। (দারুল উলুম দেওবন্দ এর 173266 নং ফতোয়া।)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
যদি সেজদায়ে সাহুর ক্ষেত্রে এক সেজদাহ আদায়ের ক্ষেত্রে একটি সেজদাহ বাদ পড়ে যায়,তাহলে কাহারো সাথে কথা বলা, মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়া, এক কথায় নামাজ ভঙ্গকারী কোনো কাজ না পাওয়া গেলে আপনি উক্ত সেজদাহ আদায় করে নামাজের অবশিষ্ট কাজ আদায় করে নামাজ শেষ করবেন।
,
যদি এটি না করা হয়,তাহলে ওয়াক্তের মধ্যে মনে হলে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করবেন,এটি ওয়াজিব।
,
যদি পরবর্তীতে মনে পড়ে,তাহলে সেটি পুনরায় আদায় করা না করা উভয় মতই আছে।
পুনরায় আদায় না করলেও সমস্যা নেই।
,
তবে সতর্কতামূলক পুনরায় আদায় করে নিবেন।
,
(০২)
কোনো সমস্যা নেই।
সেজদায়ে সাহু দিতে হবেনা।
,
(০৩)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৪)
এতে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা।
,
(০৫)
নামাজ হয়ে যাবে।
নামাজ নষ্ট হবেনা।
জামিয়া বিন নুরি পাকিস্তানের 144008201290 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।
,
(০৬)
এতে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা।