ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আপনি সম্ভবত নিম্নোক্ত আয়াতের কথা বলছেন।এ আয়াত দ্বারা আল্লাহ তা'আলা জান্নাতের কথা বলতেছেন যে,সেখানে এমন অনেক জিনিষ তৈরী করেছেন,যা কেউ জানে না।
আল্লাহ তা’আলার বাণী
فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَّا أُخْفِيَ لَهُم مِّن قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَاء بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
কেউ জানে না তার জন্যে কৃতকর্মের কি কি নয়ন-প্রীতিকর প্রতিদান লুক্কায়িত আছে।(সূরা সেজদাহ-১৭)
(২)
সুনানে আবু দাউদে এসেছে,অনুবাদ: হযরত ফাতেমা বিনতে কায়স (রাঃ) তামীমে দারীর (রাঃ) ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, তামীমে দারী (রাঃ) বলেছেন, সেই দ্বীপে প্রবেশ করলে আমি সেখানে একটি নারীর সাক্ষাৎ পেলাম যার মাথার চুল এত যে, তা জমিনে হিচড়িয়ে চলে।তামীম জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কে? সে বলল, আমি ‘জাসসাসা’ (অর্থাৎ অন্বেষণকারিণী)। অতঃপর সে বলল তুমি প্রসাদের দিকে যাও। সুতরাং আমি সেখানে আসলাম সেখানে লম্বা লম্বা চুল বিশিষ্ট এমন এক ব্যক্তিকে দেখলাম যে, শক্তভঅবে লোহার শিকলে বাঁধা- আসমান জমিনের মাঝখানে লাফালাফি করছে।আমি জিজ্ঞাসা করলাম তুই কে? সে বলল আমি দাজ্জাল। (সুনানে আবূ দাঊদ, হাদিস নং ৪৩২৫)হাদীসে জাসাসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
11076
উক্ত হাদিসে বর্ণিত জাসসাসা দ্বারা উদ্দেশ্য কি? এ সম্পর্কে দু রকম মতামত পাওয়া যায়,
«شرح النووي على مسلم» (18/ 78):
«وَجَاءَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّهَا دَابَّةُ الْأَرْضِ الْمَذْكُورَةُ فِي الْقُرْآنِ قَوْلُهُ»
আব্দুর রহমান ইবনে আমর ইবনে আস রাযি থেকে বর্ণিত, জাসসাসা দ্বারা উদ্দেশ্যে হল, ঐ প্রাণী যাকে কুরআনে দাব্বাতুল আরদ বলা হয়েছে।(শরহে মুসলিম, ইমাম নববী-১৮/৭৮)
«سنن أبي داود ت محيي الدين عبد الحميد» (4/ 120):
«قُلْتُ لِأَبِي سَلَمَةَ: وَمَا الْجَسَّاسَةُ؟ قَالَ: امْرَأَةٌ تَجُرُّ شَعْرَ جِلْدِهَا وَرَأْسِهَا، قَالَتْ»
ওয়ালিদ ইবনে আব্দুল্লাহ রাহ. বলেন,আমি আবু সালামাহ রাহ. কে জিজ্ঞাস করলাম, জাসসাসা কি? তিনি জবাবে বলেন, একজন মহিলা,যে তার মাথা ও শরীরেরে চুল জমিনে হিচড়িয়ে চলে।(সুনানে আবি-দাউদ-৪৩২৮)
(৩)
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَإِذْ قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُم مُّصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيَّ مِنَ التَّوْرَاةِ وَمُبَشِّرًا بِرَسُولٍ يَأْتِي مِن بَعْدِي اسْمُهُ أَحْمَدُ فَلَمَّا جَاءهُم بِالْبَيِّنَاتِ قَالُوا هَذَا سِحْرٌ مُّبِينٌ
স্মরণ কর, যখন মরিয়ম-তনয় ঈসা (আঃ) বললঃ হে বনী ইসরাইল! আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর প্রেরিত রসূল, আমার পূর্ববর্তী তওরাতের আমি সত্যায়নকারী এবং আমি এমন একজন রসূলের সুসংবাদদাতা, যিনি আমার পরে আগমন করবেন। তাঁর নাম আহমদ। অতঃপর যখন সে স্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে আগমন করল, তখন তারা বললঃ এ তো এক প্রকাশ্য যাদু।(৬১/৬)
এখানে আহমদ দ্বারা উদ্দেশ্য রাসূলুল্লাহ সাঃ
(৪)
কোরআনকে বলে পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধানও বলা যাবে, আবার আল্লাহর কালামও বলা যাবে, জীবন চলার মাপকাঠিও বলা যাবে। কুরআন সম্পর্কে সবকিছুই বলা যাবে।তবে কুরআন হেদায়ত দানকারী।