নামাজ ছেড়ে দেওয়া মারাত্মক গুনাহ। হাদিস শরিফে নামাজ বর্জনকারীর প্রতি কঠিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘বান্দা ও কুফরির মধ্যে পার্থক্য হলো নামাজ বর্জন করা।’ (তিরমিজি, মিশকাত, পৃষ্ঠা ৩৩২)
.
তিনি আরো বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নামাজ আদায় করে না, দ্বিন ইসলামে তার কোনো অংশ নেই।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, মিশকাত, পৃষ্ঠা ৪৫২)
সুতরাং দুর্ভোগ (ওয়াইল নামক জাহান্নামের কঠিন শাস্তি) সেসব নামাজ আদায়কারীদের জন্য যারা তাদের নামায সম্পর্কে উদাসিন।’ (সুরা মাউন : আয়াত ৪-৫)
আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘(স্মরণ কর) সেই চরম সংকটময় কিয়ামত দিবসের কথা যেই দিন তাদেরকে আহবান করা হবে সেজদা করার জন্য কিন্তু তারা তা করতে সক্ষম হবেনা। তাদের দৃষ্টি অবনত হবে, হীনতা তাদের আচ্ছন্ন করবে অথচ যখন তারা নিরাপদ ছিল, তখন তো তাদের সেজদা করার আহ্বান করা হতো (কিন্তু তারা সেজদা করেনি)।’ (সুরা আল-কালাম : আয়াত ৪২-৪৩)
বেনামাজির অবস্থান হবে সাকার জাহান্নামআল্লাহ তাআলা বান্দার প্রতি কাজের হিসাব নেবেন। আর প্রতি কাজের হিসাব দিতে না পারলে শাস্তি অবধারিত। শাস্তি প্রাপ্ত মানুষকে তাদের অপরাধে কথা জিজ্ঞাসা করা হলে তারা তাদের অপরাধগুলোও বলতে থাকবে। আল্লাহ তাআলা কুরআনে সে কথা তুলে ধরেন এভাবে-
‘কোন জিনিস (কাজ) তোমাদেরকে (সাকার) জাহান্নামে নিয়ে এল? তারা বলবে আমরা নামাজিদের অন্তর্ভূক্ত ছিলাম না। (সুরা আল-মুদ্দাচ্ছির : আয়াত ৪২-৪৩)
,
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত আল্লাহর নির্ধারিত ফরজ নামাজগুলো যথাযথভাবে আদায় করা। দুনিয়া ও পরকালে অপমান লাঞ্ছনা ও শাস্তি থেকে বেঁচে থাকা।
কোনক সময় নামাজ কাজা হয়ে গেলে এর জন্য অস্থির হয়ে উঠা প্রকৃত নামাজীর গুন।
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু আপনার চাচা নিজের নামাজ কাজা হলে মানসিক অস্থিরতায় ভোগেন, এটি অনেক ভালো গুন।
আলহামদুলিল্লাহ।
,
তবে এর জন্য যদি অন্য কেহ দায়ী না হয়ে থাকেন,তাহলে কাউকে বিরক্ত করা জায়েজ হবেনা।
এটি তারই ত্রুটি,তাই এর জন্য অন্য কেহ দায়ী নন।
কুরআন শরীফে এসেছেঃ
وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَىٰ ۚ
আল্লাহ তায়ালা কাহারো গুনাহের বোঝা অন্যের উপর চাপিয়ে দিবেননা।
(সুরা ফাতির ১৮)
,
সন্তানরা এর জন্য দায়ী না হলে তাদেরকে অহেতুক কষ্ট /বিরক্ত করা হলে তাদের থেকে মাফ নিতে হবে।
আরো জানুনঃ