ফরজ নামাজ ব্যাতিত অন্যান্য (সুন্নাত,নফল,বিতির) নামাজে সব রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে অন্য সুরা মিলানো ওয়াজিব৷
★হজরত আবু সাইদ খুদুরী (রাজিঃ) বলেন, আমাদের রাসুল (সা:) আদেশ করেছেন, আমরা যেনো নামাজের মধ্যে সুরা ফাতেহা এবং কোরআনের যেই স্থান হতে সহজ হয় কিছু তেলাওয়াত করি৷ (আবু দাউদ ১খন্ড,পৃষ্ঠা ১১৮)
★হজরত আবু হুরায়রা (রাজি:) হতে বর্ণিত, হুজুর (সা:) ইরশাদ করিয়াছেন যে, নামাজ সুরা ফাতেহা এবং কিছু অতিরিক্ত অংশ ছাড়া হয় না৷অর্থাৎ সুরা ফাতেহার সাথে অন্য সুরার কিছু অংশ তেলাওয়াত করতে হবে৷ (মুসলিম শরিফ ১খন্ড, পৃষ্ঠা ১৬৯)
আরো জানুনঃ
۔
والثانی ضم سورۃ قصیرۃ اوثلاث ایات قصار (مراقی الفلاح) قدر اقصر سورۃ ایۃ طویلۃ تعدل ثلاث ایات قصار(طحاوی علی مراقی الفلاح ص ۱۴۴)
সারমর্মঃ
২য় নাম্বার হলো ছোট সুরা বা ছোট তিন আয়াত মিলানো ওয়াজিব।
۔
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
(وضم) اتصر (سورۃ) کا لکوثر اوما قام مقامھا وھم ثلاث ایات قصار نحوثم نظر ثم عبس و بسر ثم ادبرواستکبر وکذا لو کانت الآیۃ او الآیتان تعدل ثلاثاً قصاراً ذکرہ الحلبی (قولہ‘ تعدل ثلاثاً قصاراً) ای مثل ثم نظر الخ وھم ثلاثون حرفاً فلو قرأ آیۃً طویلۃً قدر ثلاثین حرفاً یکون قداتی بقدر ثلاث آیات الخ (شامی ج۱ ص ۴۲۷ صفۃ الصلاۃ)
সারমর্মঃ
সুরা কাওছারের ন্যায় সুরা হলেও মিলানো ওয়াজিব।
الفتاوى الهندية :
"وتجب قراءة الفاتحة وضم السورة أو ما يقوم مقامها من ثلاث آيات قصار أو آية طويلة في الأوليين بعد الفاتحة كذا في النهر الفائق وفي جميع ركعات النفل والوتر. هكذا في البحر الرائق."
(1/ 71ط:دار الفكر)
সারমর্মঃ
নফল,বিতরের সমস্ত রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে ছোট সুরা বা ছোট তিন আয়াত মিলানো ওয়াজিব।
۔
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীর অন্যত্রে এসেছেঃ
وإن تركها في الأخريين لايجب إن كان في الفرض وإن كان في النفل أو الوتر وجب عليه."
(1/ 126ط:دار الفكر)
সারমর্মঃ
যদি নফল বা বিতর নামাজে সুরা না মিলায়,তাহলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
,
الفقه علی مذاهب الأربعة:
ضم سورة إلی الفاتحة في جمیع رکعات النفل والوتر والأولیین من الفرض ویکفي في أداء الواجب أقصر سورة أو ما یماثلها کثلاث آیات قصار أو آیة طویلة والآیات القصار الثلاث.
(ج1، ص 259، دار احیاء التراث العربي)
সারমর্মঃ
নফল,বিতরের সমস্ত রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে ছোট সুরা বা ছোট তিন আয়াত মিলানো ওয়াজিব।
۔
,
★তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে ফরজ হোক বা নফল হোক,সুরা মিলানো মুস্তাহাব।
এটি ওয়াজিব নয়।
যেমন হাদীস শরীফে এসেছেঃ
۔
حَدِيْثُ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَقُولُ فِي كُلِّ صَلاَةٍ يُقْرَأُ فَمَا أَسْمَعَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَسْمَعْنَاكُمْ وَمَا أَخْفَى عَنَّا أَخْفَيْنَا عَنْكُمْ وَإِنْ لَمْ تَزِدْ عَلَى أُمِّ الْقُرْآنِ أَجْزَأَتْ وَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রত্যেক সালাতেই কিরা‘আত পড়া হয়। তবে যে সব সলাত আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের শুনিয়ে পড়েছেন, আমরাও তোমাদের শুনিয়ে পড়ব। আর যে সব সলাতে আমাদের না শুনিয়ে পড়েছেন, আমরাও তোমাদের না শুনিয়ে পড়ব। যদি তোমরা উম্মুল কুরআন (সূরা আল-ফাতিহা) এর চেয়ে অধিক না পড়, সলাত আদায় হয়ে যাবে। আর যদি অধিক পড় তা উত্তম।
সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ১০: আযান, অধ্যায় ১০৪, হাঃ ৭৭২; মুসলিম, পৰ্ব ৪ : সলাত, অধ্যায় ১১, হাঃ ৩৯৬
.