আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (35 points)
আসসালামু আ'লাইকুম,
১।বাসা-বাড়িতে কাজের জন্য রাখা অবিবাহিত বালিগ মেয়েকে কি সুদের টাকা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া  দান করা যাবে?

২।কেউ যদি কিছু টাকা আমার কাছে গচ্ছিত রাখে, সেই টাকা থেকে যার টাকা তাকে না জানিয়ে  অন্য কাউকে অল্প কিছুদিন এর জন্য কি ধার দেওয়া যাবে?

৩।কারও কোনো জিনিস তাকে না জানিয়ে ব্যবহার করা যাবে?
জিনিসটা এমন যে তার কাছে অনুমতি চাওয়া হলে সে অবশ্যই অনুমতি দিবে ও তাকে না জানিয়ে ব্যবহার করলে সে জানলেও কিছু বলবে না।

1 Answer

0 votes
by (701,080 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
সে যদি গরিব হয়,তাহলে তাকে উক্ত টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করা যাবে।
,
(০২)
আমানতদারীতার গুরুত্ব অনেক বেশি।  

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    
وَالَّذِينَ هُمْ لِأَمَانَاتِهِمْ وَعَهْدِهِمْ رَاعُونَ

(মুসলমান তারা) যারা আমানতের হেফাজত করে, অঙ্গীকারসমূহ রক্ষা করে। সূরা মুমিনূন ২৩/৮

নবীজী তার অধিকাংশ ভাষণে বলতেন,

لَا إِيمَانَ لِمَنْ لَا أَمَانَةَ لَهُ، وَلَا دِينَ لِمَنْ لَا عَهْدَ لَهُ

শুনে রাখো! যার ভিতর আমানতদারিতার গুণ নেই, তার ভিতর যেন ঈমানও নেই, যার ভিতর ওয়াদা রক্ষার বালাই নেই, তার ভিতর ধর্মের কোনো বৈশিষ্ট্যই নেই! মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ১২৩৮৩

অন্য একটি হাদীসে নবীজী এরশাদ করেন,

آيَةُ المُنَافِقِ ثَلاَثٌ: إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ، وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ

মোনাফেকের আলামত তিনটি, মিথ্যা বলা, আমানতের খেয়ানত করা ও ওয়াদা করে খেলাপ করা। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৩
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত কাজটি আমানতের খেয়ানতের পর্যায়ের।
বিধায় তাহা জায়েজ নেই।
,
(০৩)
শরীয়তের বিধান হলো বাবা মা সহ কাহারো কোনো জিনিস অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা জায়েজ নেই।
যদি মালিক অনুমতি দেয়,তবেই শুধু সেটির ব্যবহার জায়েজ হবে।
নতুবা নয়।
,

হাদীস শরীফে এসেছে 

وَعَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়। (বায়হাক্বী- শু‘আবুল ঈমান, দারাকুত্বনী- মুজ্তাবা)

সহীহ : আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২,মিশকাতুল মাসাবিহ ২৯৪৬।

★★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মালিকের অনুমতি ছাড়া উক্ত জিনিসও ব্যবহার করা জায়েজ নেই।

হ্যাঁ যদি মালিক অনুমতি দেন,বা আগে থেকেই তার অনুমতি ছিলো,এমনটি হয়,তাহলে তার জন্য উক্ত জিনিস ব্যবহার করা জায়েজ আছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 97 views
...