আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
200 views
in সাওম (Fasting) by (7 points)
অসুস্থ কিংবা মৃত ব্যক্তির অনাদায় রোজা কী তার সন্তানেরা রেখে আদায় করতে পারবে? যদি সন্তানেরা কিংবা নিকটাত্মীয়রা রোজা রাখতে না পারে তাহলে কীভাবে অনাদায়ী রোজার ফিদিয়া আদায় করতে হবে? একটু বিস্তারিত জানালে ভালো হয়।

1 Answer

+1 vote
by (686,480 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


সুরা বাকারার ১৮৫ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

شَهۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡهِ الۡقُرۡاٰنُ هُدًی لِّلنَّاسِ وَ بَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡهُدٰی وَ الۡفُرۡقَانِ ۚ فَمَنۡ شَهِدَ مِنۡکُمُ الشَّهۡرَ فَلۡیَصُمۡهُ ؕ وَ مَنۡ کَانَ مَرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ یُرِیۡدُ اللّٰهُ بِکُمُ الۡیُسۡرَ وَ لَا یُرِیۡدُ بِکُمُ الۡعُسۡرَ ۫ وَ لِتُکۡمِلُوا الۡعِدَّۃَ وَ لِتُکَبِّرُوا اللّٰهَ عَلٰی مَا هَدٰىکُمۡ وَ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۱۸۵﴾

রমযান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে। আর যে অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে তবে অন্যান্য দিবসে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আল্লাহ তোমাদের সহজ চান এবং কঠিন চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন, তার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা শোকর কর।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
ছাবেত বুনানী রাহ. বলেন, আনাস ইবনে মালেক রা. যখন বার্ধক্যের কারণে রোযা রাখতে সক্ষম ছিলেন না তখন তিনি রোযা না রেখে (ফিদয়া) খাবার দান করতেন।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযযাক, হাদীস : ৭৫৭০
,
বিস্তারিত জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন, 
অসুস্থ কিংবা মৃত ব্যক্তির অনাদায় রোজা তার সন্তানেরা রেখে আদায় করতে পারবেনা।

★অসুস্থ ব্যাক্তির ক্ষেত্রে বিধান হলো,সে যদি কোনো ভাবেই নিজে কাজা আদায় না করতে পারে,তাহলে ফিদিয়াহ দিবে।
যদি ফিদিয়াহ আদায়ের পর আবার সেই ব্যাক্তি সুস্থ হয়ে যায়,তাহলে তার আগের দেওয়া ফিদিয়াহ যথেষ্ট নয়,পুনরায় উক্ত রোযা গুলির কাজা আদায় করতে হবে।
,  
মৃত ব্যাক্তির ক্ষেত্রে বিধান হলো তার ওয়ারিশ গন সেই রোযা গুলির ফিদিয়াহ আদায় করবে।
যদি মাইয়্যিত ফিদিয়াহ আদায়ের অছিয়ত করে  যায়,তাহলে তার তার ভাগের এল ভাগ সম্পদ থেকে ফিদিয়াহ আদায় করতেই হবে।
আর যদ মাইয়্যিত অছিয়ত না করে যায়,সেক্ষেত্রে ওয়ারিশদের উপর ফিদিয়াহ আদায় আবশ্যকীয় নয়।
চাইলে আদায় করতেও পারে,নাও পারে।
,
★ফিদিয়াহ হলো ছদকায়ে ফিতর সমপরিমাণ কোনো কিছু বা তার মূল্য দিয়ে দেওয়া।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 173 views
0 votes
1 answer 263 views
...