ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
হযরত আনাস ইবনে মালিক রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أنس بن مالك، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من صلى الضحى ثنتي عشرة ركعة بنى الله له قصرا من ذهب في الجنة.
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি চাশতের ১২রা'কাত নামায পড়বে,আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে স্বর্ণের একটি প্রসাদ নির্মাণ করে দেবেন।(সুনানু তিরমিযি-৪৭৩)
তবে সাধারণত রাসূলুল্লাহ সাঃ সর্বদা চার রাকাতই চাশতের নামায পড়তেন।যেমন হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
عن معاذة، أنها سألت عائشة رضي الله عنها، كم كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يصلي صلاة الضحى؟ قالت: «أربع ركعات ويزيد ما شاء».
হযরত আয়েশা রাযি কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর চাশতের নামাযের সংখ্যা নিয়ে জিজ্ঞাসা হলে তিনি জবাবে বলেন,রাসূলুল্লাহ সাধারণত চার রা'কাত চাশতের নামায পড়তেন।তবে কখনো কখনো এর চেয়েও বেশী পড়তেন।(সহীহ মুসলিম-৭১৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নফল নামাযকে রাসূল সাঃ নিয়মিত এজন্য পড়তেন না যে, উম্মত ঐ নামাযকে ফযর বা ওয়াজিব মনে করে নিবে। আপনার যে হাদিস বর্ণনা করেছেন, তার রেফারেন্স দিবেন, তা যদি সঠিক হয়, তাহলে এর অর্থ হবে, উম্মতের উপর ফরয ওয়াজিব হওয়ার আশংকায় রাসূল সাঃ নিয়মিত পড়েন নি। সুতরাং কোনো নফল নামায সম্পর্কে যদি জানা যায় যে, এ নামাযকে রাসূল সাঃ পড়েননি, তাহলে এর অর্থই হবে, তিনি উম্মতের উপর ফরয ওয়াজিব হওয়ার ভয়ে পড়েননি। সুতরাং উম্মতের কেউ যদি চায় যে, সে এ নামাযকে নিয়মিত পড়বে, তাহলে এতে কোনো অসুবিধে নাই। বরং সে সওয়াব পাবে।
(২) একাকী ফরয নামাযে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ ও দুরুদ পড়ার পর কুরআন হাদীসে বর্ণিত দুআ গুলি পড়া যাবে। কুরআন হাদীসে মা বাবার জন্য দুআ বর্ণিত রয়েছে। যেমন কুরআনে বর্ণিত রয়েছে,
وَقُل رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا
বলঃ হে পালনকর্তা, তাদের উভয়ের (মাতাপিতা) প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন। ( সূরা বনি ঈসরাইল-২৪)
(৩) আপনার দুলাভাই বেনামাজী হওয়ার কারণে যদি আপনি আপনার দুলাভাইয়ের খাবার না খান, তাহলে এতে আপনার কোনো গোনাহ হবে না। এবং তাদের বাসায় না গেলেও আপনার কোনো গোনাহ হবে না। তবে তাদের সাথে সম্পর্ক একেবারেই পরিত্যাগ করলে তাদের কে দ্বীনের দাওয়াত দিবে কে? সুতরাং আপনি তাদেরকে দ্বীনৈর দাওয়াত দিবেন। বেনামাজীর ঘরে খাবার খাওয়া নাজায়েয নয়। এবং তাদের ঘরে যাওয়াও নাজায়েয নয়। হ্যা, পরিত্যাগ করা অবশ্যই উত্তম।
(৪) বেনামাজীর জানাযা পড়া যাবে।