আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
173 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (44 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারাকাতুহ।
১)তওবা করার জন্য কি দুই রাকাত নফল নামাজ পড়া জরুরি বা আবশ্যক ?
২)একসাথে দুই রাকাত সালাত পড়ে অনেক গুনাহর তওবা করা যাবে?

৩)তওবা কবুল হয়েছে তা বোঝার উপায় কি?

৪)কোনো অনলাইন শপে দেওয়া ড্রেসের ছবি তুলে রাখলাম।ওই অনলাইন শপ থেকে জামা কিনলাম না,, কিন্তু  সেখান থেকে আইডিয়া নিয়ে,,,ওই ডিজাইন এর মত করে কম খরচে জামা বানিয়ে নিলাম। এখানে কি বান্দার হক নষ্ট হবে?

৫)এটা কি নকল করা বা ধোকা দেওয়া হবে?নাকি জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (712,600 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) তাওবাহর জন্য নামায শর্ত নয়। হ্যা, নামায পড়লে পড়া যেতেও পারে। 
(২) একসাথে অনেক কিছুর তাওবাহ করা যেতে পারে।
https://www.ifatwa.info/5806 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
তাৎক্ষণিক তাওবাহ করা ওয়াজিব।তাওবাহ করার মনস্থ করার পর তাওবাহকে বিলম্ব করা জায়েয হবে না।সুতরাং যে ব্যক্তি তাওবাহকে দেড়ীতে করার মনস্থ করবে,সে দু'টি গোনাহে লিপ্ত হবে।একটি হল,দীর্ঘ সময় যাবৎ একটি গোনাহের কাজে লিপ্ত থাকা।দ্বিতীয়টি হল,দেড়ীতে তাওবাহ করার মনস্থ করা।
ইয ইবনে আব্দুস-সালাম বলেন,
" والتوبة واجبة على الفور ، فمن أخرها زماناً صار عاصياً بتأخيرها ، وكذلك يتكرر عصيانه بتكرر الأزمنة المتسعة لها ، فيحتاج إلى توبة من تأخيرها "
গোনাহে লিপ্ত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক তাওবাহ করা ওয়াজিব।কেউ তাওবাহ করতে দেড়ী করলে সে গোনাহগার হবে।এবং যত দীর্ঘ সময় হবে,তার গোনাহও তত দীর্ঘ হবে।দেড়ী তাওবাহ করলে সাথে আরেকটি তাওবাহ করতে হবে,দেড়ীতে তাওবাহ করার জন্য।(কাওয়াঈদুল আহকাম-১/২২১) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/5806

(৩) তাওবাহ কবুল হওয়ার শর্ত হল, 
অতীতের গোনাহের উপর লজ্জিত হওয়া, এবং বর্তমানে সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করা ও ভবিষ্যতে উক্ত কাজ না করার দূর সংকল্প করা।  এবং এর নামই হল তাওবাহ। তাওবাহ কবুল হয়েছে কি না? এটা বুঝতে হবে, তাওবাহ করার পর যদি উক্ত কাজ আর কেউ না করে , তাহলে বুঝতে হবে, তার তাওবাহ কবুল হয়েছে। আর যদি তাওবাহ করার পরও সে উক্ত কাজ করে থাকে, তাহলে তার তাওবাহ কবুল হয়নি বলে ধরে নিতে হবে। 

(৪) এখানে বান্দার হক নষ্ট হবে না। কেননা এই জামার গায়ে তো লিখা ছিল না, উক্ত জামার মত জামা বানানো নিষেধ। 
(৫) না, এখানে ধোক হচ্ছে না। তবে যদি স্বত্ব সংরক্ষিত লিখা থাকে, তাহলে উক্ত জামাকে বানানো যাবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...