এক্ষেত্রে আপনার ইখতিয়ার রয়েছে, আপনি চাইলে আস্তে কিরাআতেও পড়তে পারেন,চাইলে জোড়ে কিরাআতেও পড়তে পারেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، ح حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَا حَدَّثَنَا بُرْدُ بْنُ سِنَانٍ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ نُسَىٍّ، عَنْ غُضَيْفِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ أَرَأَيْتِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَغْتَسِلُ مِنَ الْجَنَابَةِ فِي أَوَّلِ اللَّيْلِ أَوْ فِي آخِرِهِ قَالَتْ رُبَّمَا اغْتَسَلَ فِي أَوَّلِ اللَّيْلِ وَرُبَّمَا اغْتَسَلَ فِي آخِرِهِ . قُلْتُ اللهُ أَكْبَرُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَ فِي الأَمْرِ سَعَةً . قُلْتُ أَرَأَيْتِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُوتِرُ أَوَّلَ اللَّيْلِ أَمْ فِي آخِرِهِ قَالَتْ رُبَّمَا أَوْتَرَ فِي أَوَّلِ اللَّيْلِ وَرُبَّمَا أَوْتَرَ فِي آخِرِهِ . قُلْتُ اللهُ أَكْبَرُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَ فِي الأَمْرِ سَعَةً . قُلْتُ أَرَأَيْتِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَجْهَرُ بِالْقُرْآنِ أَمْ يَخْفِتُ بِهِ قَالَتْ رُبَّمَا جَهَرَ بِهِ وَرُبَّمَا خَفَتَ . قُلْتُ اللهُ أَكْبَرُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَ فِي الأَمْرِ سَعَةً .
গুদায়িফ ইবনুল হারিস সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে বললাম, আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জানাবাতের গোসল কখন করতে দেখেছেন, রাতের প্রথমভাগে না শেষভাগে? ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বললেন, তিনি কখনো রাতের প্রথম ভাগে গোসল করতেন আবার কখনো রাতের শেষ ভাগে। আমি বললাম, আল্লাহু আকবার! সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যই যিনি এ ব্যাপারে প্রশস্ততা ও সহজতা দান করেছেন। আমি বললাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতর (সলাত) রাতের প্রথম দিকে আদায় করতেন, না শেষদিকে? তিনি বললেন, কখনো রাতের প্রথমদিকে বিতর আদায় করতেন আবার কখনো শেষ রাতে। আমি বললাম, আল্লাহু আকবার! সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যই যিনি এ ব্যাপারে প্রশস্ততা ও সহজতা দান করেছেন। আমি বললাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআন তিলাওয়াত উচ্চস্বরে করতেন না নিম্নস্বরে? তিনি বললেন, তিনি কখনো উচ্চস্বরে এবং কখনো নিম্নস্বরে তিলাওয়াত করতেন। আমি বললাম, আল্লাহু আকবার! সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যই, যিনি এ ব্যাপারে প্রশস্ততা ও সহজতা দান করেছেন।
নাসায়ী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ রাতের প্রথম ও শেষভাগে গোসল করা, হাঃ ২২৩), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ রাতের সালাতের কিরাত, হাঃ ১৩৪৫), আহমাদ (৬/৪৭, ১৩৮) আবু দাউদ ২২৬)
و- یجب- الإسرار في نفل النھار للمواظبة علی ذلک،………إنہ - المتنفل باللیل- مخیر ویکتفي بأدنی الجھر فلا یضر نائماً؛ لأنہ صلی اللہ علیہ وسلم جھر بالتھجد باللیل وکان یوٴنس الیقظان ولا یوقظ الوسنان (نور الإیضاح ومراقی الفلاح مع حاشیة الطحطاوي، ص ۲۵۳، ۲۵۴، ط: دار الکتب العلمیة بیروت)، قولہ:”کمتنفل باللیل“:والجھر أفضل ما لم یوٴذ نائماً ونحوہ کمریض ومن ینظر فی العلم قالہ السید ناقلاً عن خط والدہ (حاشیة الطحطاوي علی المراقي)، ومثلہ فی الدر المختار ورد المحتار (۲: ۲۵۱، ط: مکتبة زکریا دیوبند)، وبدائع الصنائع (۱: ۳۹۶، ط: مکتبة زکریا دیوبند) والفتاوی الھندیة (۱: ۱۲۹، ط: مکتبة الاتحاد دیوبند) وغیرھا من کتب الفقہ والفتاوی ۔.
সারমর্মঃ
দিনের নফল নামাজে আস্তে কিরাআত পড়া ওয়াজিব।
রাতের নামাজে ইখতিয়ার রয়েছে, তবে এমন বেশি জোড়ে কিরাআত পড়বেনা, যাতে কোনো ঘুমন্ত ব্যাক্তির কষ্ট হয়,,,,,
,
(০২)
নাজায়েজ নয়।
তবে এটি সুন্নাহর খেলাফ।
,
আপনি সুন্নাতের মাঝেই তাহিয়্যাতুল অযুর নিয়ত করলে তাহা আদায় হবে।
,
(০৩)
একই সময়ের নফল নামাজে একাধিক নফলের নিয়ত করা যায়
যেমন তাহাজ্জুদ নামাজ অযু করে এসে মসজিদে পড়লে এক সাথে তাহাজ্জুদ,তাহিয়্যাতুল মসজিদ,তাহিয়্যাতুল অযুর নিয়ত করা যাবে।