আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (47 points)
আআসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ,
শাইখ আমার ২ টা প্রশ্ন:-

১. কুরআন খতম দিলে কি কোনো বিশেষ দু'আ পড়া লাগে? কুরয়ানের শেষে একটা দোয়া আছে। অইটার কোনো রেফারেন্স নাই।


২. আমার এক আত্মীয় (খালাতো বোন) আমার থেকে অনেক বড় কিন্তু আমি একটু হাইটে খাটো বলে একদিন সবার সামনে অপমান করে। তার ছেলেও আমার থেকে বড়, সে ও অনেকের সামনে আমাকে অপমান করে। নিজেরা নাকি আমাকে নিয়া হাসাহাসি করে, অইটা বলেও। তাই আমার আর তাদের বাসায় যাওয়ার রুচি হয় না। অপমান ও লজ্জার ভয়ে। যদিও এমন না যে ঝগড়া হয়েছে। আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করলে কথা বলবো এমন। কিন্তু তার পর থেকে আর কোনো দিন দেখা ও হয় নাই কথাও হয় নাই৷ আমার ফ্যামিলি থেকে কেউ তাদের বাসায় গেলেও আমি যাইনা অপমানের ভয়ে।
এখন এটা কি আত্মীয়ের সম্পর্ক  ছিন্ন করা হলো? আমার কি করা উচিত?  উনি আমার থেকে অনেক বড় তাই সেভাবে কথা ও হয় না মোবাইলেও। আর আমি একটু চুপচাপ এটা সবাই-ই জানে। আমাকে কেউ জিজ্ঞেস না করলে কথা বলি না।এতে কি আমার গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/4361 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
কুরআনে কারীমকে তিনদিনের কম সময়ে খতম করা মাকরুহে তানযিহি(হালকা মাকরুহ)।এবং ৪০দিনের অতিরিক সময় কুরআন খতম ব্যতিত অতিবাহিত করা মাকরুহে তানযিহি।

কুরআন, খতমের পর আবার কুরআন পড়া শুরু করা মুস্তাহাব। তথা সুরা নাস পড়ার পর সূরা বাকার এক রুক পড়া মুস্তাহাব। এজন্য যে কুরঅান খতম করার পর এটা মনে না করা যে,খতম হয়ে গেছে,এখন কুরআন পড়া শেষ। বরং শেষ করার পর আবার প্রথম থেকে শুরু করা। এজন্য যে,কুরআন সর্বদাই মু'মিনের জন্য তেলাওয়াত করা উচিৎ।কেননা তেলাওয়াতে কুরআন পৃথক একটি ইবাদত।

কুরআন খতম করার পর শিরনি ইত্যাদিকে জরুরী মনে করা বিদআত।দু'আ বখশানোর জন্য কারো দ্বারস্থ হওয়া সুন্নত দ্বারা প্রমাণিত নয়। এবং কুরআনের জিলদে যে দু'আ পাওয়া যায়,সেটাকে জরুরী মনে করা বা সুন্নত মনে করাও উচিৎ নয়।কেননা এরকম কোনো আ'মল সহিহ সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়।


(২)
আপনার ফ্যামিলির লোকজনের সাথে যেহেতু তাদের সু-সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে,সাধারণত কোনো বিরোধ নাই।তাছাড়া সে আপনার গায়রে মাহরামও,তাই তাদের বাসায় আপনি না গেলেও এখানে সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে না। হ্যা তাদের বিপদাপদে তাদের খোঁজখবর নিবেন,এদ্বারাই আপনার আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (47 points)
+1
Gayre mahram tar chele,bon toh mahram

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 129 views
asked Jan 6, 2022 in সালাত(Prayer) by Leil (59 points)
0 votes
1 answer 57 views
...