জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছে-
يَا عَمَّارُ إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ: مِنَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَالْقَيْءِ وَالدَّمِ وَالْمَنِيِّ
আম্মার বিন ইয়াসার রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-নিশ্চয় ৫টি কারণে কাপড় ধৌত করতে হয়, যথা-১-পায়খানা, ২-প্রশ্রাব, ৩-বমি, ৪-রক্ত, ৫-বীর্য। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪৫৮}
শরীয়তের বিধান হলোঃ
জুতা অথবা চামড়ার তৈরি অন্যান্য জিনিস যদি নাপাক হয়ে যায় আর নাপাকি যদি ঘন হয় যেমন—গোবর, পায়খানা, প্রভৃতি; তাহলে নাপাকি ঘষে তুলে ফেললে পাক হয়ে যায়।
আর নাপাকি যদি তরল হয় এবং শুকিয়ে গেলে দেখা না যায়, তাহলে না ধুলে পাক হবে না। তা ধুয়ে ফেলার নিময় হলো, প্রত্যেকবার ধৌত করার পর এতটা বিলম্ব করতে হবে যেন পানি টপকানো বন্ধ হয়ে যায়। এভাবে তিনবার ধৌত করতে হবে।
বার্মিজ,চামড়া বা রাবারের স্যান্ডেল বা জুতার তলায় তরল নাপাকি লাগার পর তা যদি শুকিয়ে যায়, বা শুকনো নাপাকি লাগে,হাটার মাধ্যেম এতে নাপাকির গন্ধ, চিহ্ন বা রঙ কিছু না থাকে,কেবল ধুলাবালি বা শুকনা কাদা লেগে থাকে, তবে জুতা পবিত্র হয়ে যাবে।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত জুতা আসলে কিসের জুতা?
যদি বার্মিজ,চামড়া বা রাবারের স্যান্ডেল হয়,তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে জুতা পাক হয়ে যাবে।
যদি উক্ত জুতা চামড়ার হয়,তাহলে দৃশ্যমান/শুকনো নাপাকি লাগলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে জুতা পাক হলেই বিবেচিত হবে।
তবে উক্ত জুতা যদি চামড়ার হয়,নাপাকি যদি তরল হয়,তাহলে তাহা উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে ধৌত করতে হবে।
,
(০২)
হ্যাঁ, তাহা নাপাক হবে।
যদি সেই ফ্লোর/বালতির তলা থেকে নাপাকি কোনো ভাবে ছিটে আসার সম্ভাবনা হয়,তাহলে সেই অংশ ধুতে হবে।
,
(০৩)
এক্ষেত্রে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
,
(০৪)
ফ্লোরে যদি সেই নাপাক কাপড় ধোয়ার পানি থাকে,তাহলে উক্ত কাপড় নিংড়িয়ে অতিরিক্ত আরেকবার ধুয়ে নিংড়িয়ে নিবেন।
তাহলে ইনশাআল্লাহ আর সমস্যা থাকবেনা।
,
আর যদি ফ্লোরে সেই নাপাক কাপড় ধোয়ার পানি না থাকে,তাহলে তো কোনো সমস্যাই নেই।