আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
222 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (75 points)

১।নাপাক কাপড় বালতিতে ধুয়ার পর বালতির পানি ফেলে দিলে,তা ফ্লোর হয়ে ড্রেনে যায়। এখন কি আবার আলাদাভাবে ফ্লোর পাক করতে হবে?

আর পানি ফেলে দেওয়ার সময় বালতি ফ্লোরের সাথে লাগিয়ে পানি ঢালি ।তখন বালতির যে অংশ ফ্লোরের সাথে লাগানো থাকে তাতেও পানি লাগে।ঐ অংশও কি আলাদাভাবে ধুতে হবে ?

 

২।নাপাক কাপড় বালতিতে ধুয়ে চিপড়ানোর সময়,কাপড়ের কোন অংশ যদি ফ্লোরে পরে তাহলে কি তা আবার প্রথম থেকে তিনবার ধুতে হবে?নাকি ঐ অবস্থায় চিপডিয়ে পানি ফেলে দিলেই হবে?

 

এই প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন আরেকবার ধুয়ে চিপড়িয়ে নিলেই হবে।এটা তৃতীয়বার ধোয়ার পর হলে ,আরেকবার ধুয়ে চিপড়ালাম ।কিন্তু দ্বিতীয়বার বা প্রথমবার ধোয়ার পর হলে কি করবো?

 

৩।প্রশাব শেষে পানি ঢেলে পবিত্র হওয়া নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন,লিঙ্গের ফুটার ভিতরের অংশে পানি ঢালার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই ।উপর দিয়ে পানি ঢাললেই পবিত্র হয়ে যাবে।

এখন আমি পানি ঢেলে পবিত্র হয়েছি।তারপর পানিগুলো টিস্যু দিয়ে মুছার সময় লিঙ্গের ফুটা ফাঁকা হয়ে সেখানে টিস্যু লাগে।এই টিস্যু কি নাপাক?

আমার প্রশ্ন লিঙ্গের ফুটার ভিতরের অংশে পানি না ঢালার কারনে কি ঐ অংশ নাপাক থাকে?নাকি বাইরের অংশে পানি ঢালার দ্বারা ঐ অংশও পাক হয়ে যায়।

 

৪।নামাযে আমরা যেসব দোয়া পড়ি যেমনঃসানা,তাশাহুদ,দুরুদ শরীফ ,দূয়া মাসূরা ;এসব পড়ার সময় কোথাও আটকে গেলে ঐ শব্দ বা তার কিছু আগে থেকে আবার পড়ি ।তাহলে কি সাহু সিজদাহ দিতে হবে?

 

৫।আযান দেওয়ার সময় হাইয়াআলাস সালাহ এবং হাইয়াআলাল ফালাহ বলার সময় মাথা ডান এবং বাম দিকে ঘুড়াতে হয়।

ইকামতের সময়ও কি ঘুরাতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


(০১)
যদি ফ্লোরের নাপাক লেগে যাওয়া স্থানে আপনার কোনো কাজ থাকে,যে সেখান থেকে পানি ছিটে আসার ভয় থাকলে সেই ফ্লোর ধুয়ে ফেলবেন। 
নতুবা ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই।
,
হ্যাঁ সতর্কতামূলক বালতির ঐ অংশ ধুয়ে ফেলবেন।
,
(০২) 
আপনি অতিরিক্ত আরো একবার ধুয়ে নিংড়াবেন।
প্রথমবার/২য় বার হলেও অতিরিক্ত একটিবার একাজ করবেন।
যাতে মোট চার বার হয়।
,
(০৩)
উক্ত টিস্যু ভিজে গেলে নাপাক হবে।
নতুবা নয়।
,
পেশাব দ্বারের মুখের অংশে তো পেশাব থাকে,তবে সেটি আর বাহিরে আসেনা।
ভিতরে চলে যায়।
উক্ত স্থান ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই।
,
যেহেতু সেখানে পেশাব বা তার ভেজা থাকে,তাই সেই ভিতরের অংশ নাপাক,বাইরের অংশে পানি ঢাললেও সেটি পাক হবেনা।
তবে সেই স্থান যেহেতু শরীরের ভিতরের অংশে, তাই সেই অংশে পানি প্রবেশ করে পাক করার আদেশ শরীয়ত দেয়নি।  

(০৪)
না,সাহু সেজদাহ আদায় করতে হবেনা।    

(০৫)
আযানের সময় حي   علي الصلاة এবং حي علي الفلاح বলার সময় গরদান ডান বাম দিকে ঘুরানো তো হাদীস দ্বারা প্রমানীত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَوْنِ بْنِ أَبِي جُحَيْفَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ رَأَى بِلَالاً يُؤَذِّنُ فَجَعَلْتُ أَتَتَبَّعُ فَاهُ هَهُنَا وَهَهُنَا بِالْأَذَانِ.
আবূ জুহায়ফাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, তিনি বিলাল (রাযি.)-কে আযান দিতে দেখেছেন। (এরপর তিনি বলেন) তাই আমি তাঁর (বিলালের) ন্যায় আযানের মাঝে মুখ এদিক সেদিক (ডানে-বামে) ফিরাই। (বুখারী শরীফ ৬৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৫৯৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬০৬)


★তবে ইমাকতের সময় ডান বাম দিকে গরদান ঘুরানো সম্পর্কে হাদীসে প্রমান নেই।
তাই এই বিষয়ে ফুকাহায়ে  কেরামগনদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। 
কেহ কেহ বলেছেন যে গরদান ঘুরাতে হবে।
এটি মুস্তাহাব।
কেননা আযান ও ইকামতের মাঝে সাদৃশ্যতা রয়েছে।
তাই আযানের ন্যায় ইকামতের মধ্যেও এমনটি করবে।
কেহ কেহ বলেন যে ডান বাম দিকে গরদান ফিরাতে হবেনা।
কেননা এর দ্বারা মূলত উদ্দেশ্য লোকদেরকে অবগত করা।
ইকামতের সময় তো মুছল্লিরা মসজিদেই রয়েছে।
তাই ডান বাম দিকে গরদান ফিরাতে হবেনা।
কেহ কেহ বলেছেন যে যদি মসজিদ প্রশস্ত হয় তাহলে গরদান ফিরাবে 
নতুবা নয়।

"ويحول في الإقامة إذا كان المكان متسعًا وهو أعدل الأقوال كما في النهر".
تبيين الحقائق شرح كنز الدقائق وحاشية الشلبي (1/ 92):
সারমর্মঃ
যদি জায়গা প্রশস্ত হয়,তাহলে গরদান ফিরাবে।  
,
★এক্ষেত্রে গরদান ফিরানো মুস্তাহাবের উপর আমল করাই ভালো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (559,140 points)


البحر الرائق شرح كنز الدقائق  (1/ 272):
"(قوله: ويلتفت يمينًا وشمالًا بالصلاة والفلاح) لما قدمناه ولفعل بلال - رضي الله عنه - على ما رواه الجماعة، ثم أطلقه فشمل ما إذا كان وحده على الصحيح؛ لكونه سنة الأذان فلايتركه خلافًا للحلواني؛ لعدم الحاجة إليه، وفي السراج الوهاج: أنه من سنن الأذان فلايخل المنفرد بشيء منها، حتى قالوا في الذي يؤذن للمولود: ينبغي أن يحول. اهـ.
وقيد باليمين والشمال؛ لأنه لايحول وراءه لما فيه من استدبار القبلة، ولا أمامه لحصول الإعلام في الجملة بغيرها من كلمات الأذان، وقوله بالصلاة والفلاح لف ونشر مرتب، يعني أنه يلتفت يمينًا بالصلاة وشمالاً بالفلاح، وهو الصحيح خلافًا لمن قال: إن الصلاة باليمين والشمال والفلاح كذلك، وفي فتح القدير: أنه الأوجه، ولم يبين وجهه، وقيد بالالتفات؛ لأنه لايحول قدميه؛ لما رواه الدارقطني عن بلال قال: «أمرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا أذّنّا أو أقمنا أن لانزيل أقدامنا عن مواضعها»، وأطلق في الالتفات ولم يقيده بالأذان، وقدمنا عن الغنية أنه يحول في الإقامة أيضًا، وفي السراج الوهاج: لايحول فيها؛ لأنها لإعلام الحاضرين بخلاف الأذان فإنه إعلام للغائبين، وقيل: يحول إذا كان الموضع متسعًا".
حاشية الطحطاوي على مراقي الفلاح شرح نور الإيضاح (ص: 197):

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 208 views
...