জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
যদি ফ্লোরের নাপাক লেগে যাওয়া স্থানে আপনার কোনো কাজ থাকে,যে সেখান থেকে পানি ছিটে আসার ভয় থাকলে সেই ফ্লোর ধুয়ে ফেলবেন।
নতুবা ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই।
,
হ্যাঁ সতর্কতামূলক বালতির ঐ অংশ ধুয়ে ফেলবেন।
,
(০২)
আপনি অতিরিক্ত আরো একবার ধুয়ে নিংড়াবেন।
প্রথমবার/২য় বার হলেও অতিরিক্ত একটিবার একাজ করবেন।
যাতে মোট চার বার হয়।
,
(০৩)
উক্ত টিস্যু ভিজে গেলে নাপাক হবে।
নতুবা নয়।
,
পেশাব দ্বারের মুখের অংশে তো পেশাব থাকে,তবে সেটি আর বাহিরে আসেনা।
ভিতরে চলে যায়।
উক্ত স্থান ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই।
,
যেহেতু সেখানে পেশাব বা তার ভেজা থাকে,তাই সেই ভিতরের অংশ নাপাক,বাইরের অংশে পানি ঢাললেও সেটি পাক হবেনা।
তবে সেই স্থান যেহেতু শরীরের ভিতরের অংশে, তাই সেই অংশে পানি প্রবেশ করে পাক করার আদেশ শরীয়ত দেয়নি।
(০৪)
না,সাহু সেজদাহ আদায় করতে হবেনা।
(০৫)
আযানের সময় حي علي الصلاة এবং حي علي الفلاح বলার সময় গরদান ডান বাম দিকে ঘুরানো তো হাদীস দ্বারা প্রমানীত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَوْنِ بْنِ أَبِي جُحَيْفَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ رَأَى بِلَالاً يُؤَذِّنُ فَجَعَلْتُ أَتَتَبَّعُ فَاهُ هَهُنَا وَهَهُنَا بِالْأَذَانِ.
আবূ জুহায়ফাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, তিনি বিলাল (রাযি.)-কে আযান দিতে দেখেছেন। (এরপর তিনি বলেন) তাই আমি তাঁর (বিলালের) ন্যায় আযানের মাঝে মুখ এদিক সেদিক (ডানে-বামে) ফিরাই। (বুখারী শরীফ ৬৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৫৯৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬০৬)
★তবে ইমাকতের সময় ডান বাম দিকে গরদান ঘুরানো সম্পর্কে হাদীসে প্রমান নেই।
তাই এই বিষয়ে ফুকাহায়ে কেরামগনদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
কেহ কেহ বলেছেন যে গরদান ঘুরাতে হবে।
এটি মুস্তাহাব।
কেননা আযান ও ইকামতের মাঝে সাদৃশ্যতা রয়েছে।
তাই আযানের ন্যায় ইকামতের মধ্যেও এমনটি করবে।
কেহ কেহ বলেন যে ডান বাম দিকে গরদান ফিরাতে হবেনা।
কেননা এর দ্বারা মূলত উদ্দেশ্য লোকদেরকে অবগত করা।
ইকামতের সময় তো মুছল্লিরা মসজিদেই রয়েছে।
তাই ডান বাম দিকে গরদান ফিরাতে হবেনা।
কেহ কেহ বলেছেন যে যদি মসজিদ প্রশস্ত হয় তাহলে গরদান ফিরাবে
নতুবা নয়।
"ويحول في الإقامة إذا كان المكان متسعًا وهو أعدل الأقوال كما في النهر".
تبيين الحقائق شرح كنز الدقائق وحاشية الشلبي (1/ 92):
সারমর্মঃ
যদি জায়গা প্রশস্ত হয়,তাহলে গরদান ফিরাবে।
,
★এক্ষেত্রে গরদান ফিরানো মুস্তাহাবের উপর আমল করাই ভালো।