বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
কারো নামকে বিকৃত করে উপস্থাপন করা কখনো বৈধ হবে না।তবে সহজতার স্বার্থে কোনো নামের দু-এক অক্ষর বাদ দিয়ে পড়া বৈধ আছে,এক্ষেত্রে কোনো অক্ষর বা আকার উকার (া ে)না লাগানোই উত্তম।কিন্তু যদি বহির্সংযোগ বা অক্ষর হ্রাসের ধরুণ অন্যান্য ধর্মের প্রতীকি নাম বা অনুসারীদের নামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে যায় তাহলে বৈধ হবে না।যেমন সরা যুখরুফের ৭৭আয়াত
ونادوا يملك
কে এক ক্বিরাত অনুযায়ী ونادوا يا مال(জাহান্নামীরা ডাকবে হে মালু-বলে) ও বর্ণিত আছে।উক্ত আয়াতে শেষাক্ষরকে বিলুপ্ত করে পড়া হয়েছে।
(২)
অনুমান করে ভবিষ্যতের কোনো কথা বা শক্ত দলীল প্রমাণের বিত্তিতে নিশ্চিতরূপে ভবিষ্যতের কোনো কথা বলা নাজায়েয বা হারাম হবে না। সুতরাং এভাবে কথা বলার জন্য ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(৩)
যদি কেউ অনুমান করে বলে যে, এতক্ষণে ১৫ মিনিট হয়ে গেছে শিওর, এরকম কথা বললে কোনো সমস্যা হবে না,এতে ঈমান যাবে না।
(৪)
আইনের জায়গায় আলিফ বা হামযার মত উচ্ছারণ হয়ে গেলে নামায ফাসিদ হবে না।কেননা ফুকাহাগণ নিকটবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণ কে অর্থ বিগড়ে না যাওয়ার শর্তে রুখসত দিয়ে থাকেন।