জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
কুরআনের অসম্মানী হয়,এমন কোনো কাজ করা যাবেনা।
সেটি আদবের খেলাফ।
,
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে।
ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻋﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻳﻨﻬﻰ ﺃﻥ ﻳﺴﺎﻓﺮ ﺑﺎﻟﻘﺮﺁﻥ ﺇﻟﻰ ﺃﺭﺽ ﺍﻟﻌﺪﻭ؛ ﻣﺨﺎﻓﺔ ﺃﻥ ﻳﻨﺎﻟﻪ ﺍﻟﻌﺪﻭ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ কুরআন সাথে নিয়ে শত্রু দেশে সফর করতে নিষেধ করেছেন।যাতেকরে শুত্রুরা কুরআনকে নিয়ে গিয়ে কোনোপ্রকার অসম্মান না করতে পারে।(মুয়াত্তা মালিক-৫/২,মুসনাদু আহমাদ-২/৬,৬৩, সুনানু নাসাঈ-৮৫,সুনানু ইবনি মা'জা-২৮৮০)
হাতিম তিরমিযি রাহ লিখেন,
" ومن حرمته – يعني المصحف - إذا وُضع أن لا يتركه منشورا ، وأن لا يضع فوقه شيئا من الكتب حتى يكون أبدا عاليا على سائر الكتب "
انتهى من "نوادر الأصول" (3 /254)
কুরআনকে খোলা রাখা উচিৎ নয়। কুরআনের উপর কিছু রাখা উচিৎ নয়। যাতেকের কুরআনের জায়গা পৃথিবীর সমস্ত কিতাবের উপরে থাকে।
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আদবের সম্পৃক্ততা উরফ তথা সামাজিকতার সাথে সম্পৃক্ত।
যেহেতু কোরআন পড়ার পর খুলে রেখে চলে যাওয়াকে আমাদের সমাজে আদবের খিলাফ বলা হয়,তাই এটি আদবের খেলাফ হবে।
সাথে সাথে যেহেতু এহেন পরিস্থিতিতে কুর'আনে ধুলা বালি পড়ার প্রবল আশংকা থাকে,তাই এটির অনুমতি নেই।
(০২)
مُصْحَف ج مَصَاحِف [صحف]
[মুছ্হাফ] শব্দের অর্থঃ
গ্রন্থ,বই,কিতাব,পবিত্র গ্রন্থ।
মাসহাফ বা মুসহাফ শব্দ দ্বারা কুরআনের কপি বা পান্ডুলিপিকে নির্দেশ করা হয়।
সূরা আ'লা'র ১৯নং আয়াতে صُحُفِ اِبۡرٰہِیۡمَ وَ مُوۡسٰی অর্থাৎ 'যা ইব্রাহীম আঃ ও মুসা আঃ এর কিতাবেও আছে'।
হযরত আবু বকর (রা:) প্রথম বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা কুরআনের লিপি/আয়াতগুলোকে সন্নিবেশিত করে একটি পূর্ণাঙ্গ পানডুলিপি (মাসহাফ) তৈরি করান যাকে মাসহাফে সিদ্দিকী বলা হয় এবং প্রথম 'মাসহাফ' শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
★★জীবরাঈল (আ:) কর্তৃক মুহাম্মদ (সা:) এর নিকট আয়াত নাযিলের সময় যা পাঠ করা হয়েছিল এবং মুহাম্মদ (সা:) যা পাঠ করেছিলেন তা'ই হচ্ছে 'কুরআন'। পক্ষান্তরে জীবরাঈল (আ:) কর্তৃক যা পাঠ করা হয়েছিল এবং মুহাম্মদ (সা:) যা পাঠ করেছিলেন তার লিখিত অনুলিপি'ই হচ্ছে 'মাসহাফ' বা 'পান্ডুলিপি'।