ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
পায়জামায় লেগে থাকা প্রশ্নে উল্লেখিত ব্লাড যদি এক দিরহাম (পাঁচ টাকার কয়েন) থেকে কম হয়,সেক্ষেত্রে উক্ত ইশার নামাজ সহ সব কয়টি নামাজ আপনার আদায় হয়ে গিয়েছে।
কোনো সমস্যা নেই।
,
হ্যাঁ যদি সেই ব্লাডের পরিমান এক দিরহাম বা তার চেয়ে বেশি হয়,সেক্ষেত্রে নামাজের সময়া হবে
না জেনে নাপাক কাপড়ে নামাজ পড়ার পর বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হলে পূর্বের নামাজের বিধান সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
أحدها: لا تفسد صلاته. وهو قول: ابن عمر، وعطاء، وسعيد ابن المسيب، وسالم، ومجاهد، والشعبي، والزهري، وإسحاق، وابن المنذر، والشافعي في قول، وأحمد في رواية ، وهو اختيار شيخ الإسلام ابن تيمية . والثاني: يعيد الصلاة وهو قول: أبي قلابة، والشافعي في الأصح، والإمام أحمد في رواية، وعليها المذهب، لأنها طهارة مشترطة للصلاة، فلم تسقط بجهلها، كطهارة الحدث.والقول الثالث: قول ربيعة ومالك: أنه يعيد ما كان في الوقت ولا يعيد بعده.
সারমর্মঃ
এক নং মত, তার আগের নামাজ কাজা করতে হবেনা।
দুই, নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।
তিন, যদি সেই ওয়াক্তের মধ্যেই অবগত হয়,তাহলে উক্ত নামাজ কাজা করবে।
ওয়াক্ত চলে যাওয়ার পর কাপড়ে নাপাকি সম্পর্কে অবগত হলে নামাজের কাজা আদায় করতে হবেনা।
,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ ثِیَابَکَ فَطَہِّرۡ ۪﴿ۙ۴﴾
আর আপনার পরিচ্ছদ পবিত্র করুন।
(সুরা মুদ্দাচ্ছির ০৪)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي نَعَامَةَ السَّعْدِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ بَيْنَمَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي بِأَصْحَابِهِ إِذْ خَلَعَ نَعْلَيْهِ فَوَضَعَهُمَا عَنْ يَسَارِهِ فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ الْقَوْمُ أَلْقَوْا نِعَالَهُمْ فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صَلَاتَهُ قَالَ " مَا حَمَلَكُمْ عَلَى إِلْقَائِكُمْ نِعَالَكُمْ " . قَالُوا رَأَيْنَاكَ أَلْقَيْتَ نَعْلَيْكَ فَأَلْقَيْنَا نِعَالَنَا . فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ جِبْرِيلَ صلي الله عليه وسلم أَتَانِي فَأَخْبَرَنِي أَنَّ فِيهِمَا قَذَرًا " . وَقَالَ " إِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ إِلَى الْمَسْجِدِ فَلْيَنْظُرْ فَإِنْ رَأَى فِي نَعْلَيْهِ قَذَرًا أَوْ أَذًى فَلْيَمْسَحْهُ وَلْيُصَلِّ فِيهِمَا "
আবূ সাঈদ আল-খদুরী (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীদের নিয়ে সলাত আদায়কালে তাঁর জুতাজোড়া খুলে তাঁর বাম পাশে রেখে দিলেন। এ দৃশ্য দেখে লোকেরাও তাদের জুতা খুলে রাখল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সলাত শেষে বললেনঃ তোমরা তোমাদের জুতা খুললে কেন? তারা বলল, আপনাকে আপনার জুতাজোড়া খুলে রাখতে দেখে আমরাও আমাদের জুতা খুলে রেখেছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ জিবরীল ‘আলাইহিস সালাম আমার কাছে এসে আমাকে জানালেন, আপনার জুতাজোড়ায় নাপাকি লেগে আছে। তিনি আরো বললেন, তোমাদের কেউ মাসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন তার জুতাজোড়া দেখে নেয়। তাতে নাপাকি দেখতে পেলে যেন জমিনে তা ঘষে নিয়ে পরিধান করে সলাত আদায় করে।
আহমাদ (৩/২০, ৯২) দারিমী (অধ্যায়ঃ সালাত, অনুঃ জুতাদ্বয় পরে সালাত আদায়, হাঃ ১৩৭৮) ইবনু খুযাইমাহ (অনুঃ কোনো মুসল্লী ময়লাযুক্ত জুতা পরে সালাত আদায় করলে, হাঃ ২/৪৩১)।,আবু দাউদ ৬৫০)
★উক্ত হাদীসে রাসুল সাঃ সেই নাপাক জুতায় যতটুকু নামাজ পড়েছিলেন,ততটুকু নামাজ আবার পড়েননি।
নাপাকি সম্পর্কে অবগত হওয়ার পত সাথে সাথে সেই জুতা খুলে ফেলেছিলেন।
তবে নতুন করে নামাজ শুরু করেননি।
ولواطلع علی نجاسۃ فی ثوبہ اکثر من قدرالدرھم ولم یتیقن وقت اصابتہا لایعیدشیئا من الصلاۃ‘
(بدائع الصنائع،ج01،ص78،مطبوعہ دارالکتب العلمیہ،بیروت)
সারমর্মঃ
যদি কাপড়ে এক দিরহামের বেশি নাপাকি লেগে থাকা সম্পর্কে অবগত হয়,কখন এই নাপাকি লেগেছে,সেই সম্পর্কে নিশ্চিত না হলে নামাজ দোহরাতে (পুনরায় আদায় করতে) হবেনা।
’’ولو وجد فی ثوبہ منیا أعاد الصلاۃ من آخر نومۃ نامہا
(الجوھرۃالنیرۃ،کتاب الطھارۃ،الأغسال المسنونۃ،ج1،ص 19،مطبوعہ المطبعۃ الخیریۃ)
সারমর্মঃ
কেহ যদি কাপড়ে বীর্য পায়,তাহলে সে সর্বশেষ যে সময়ে ঘুমিয়েছিলো,তার পরবর্তী সকল নামান পুনরায় আদায় করবে।
:’’من رأی فی ثوبہ نجاسۃ لایدری متی اصابتہ لایلزمہ اعادۃشیء من الصلوات ‘
(المبسوط،ج01،ص59،مطبوعہ دارالمعرفہ،بیروت)
সারমর্মঃ
কেহ যদি কাপড়ে নাপাকি পায়,অথচ সে জানেনা যে কখন নাপাকি লেগেছিলো,তাহলে নামাজ দোহরাতে (পুনরায় আদায় করতে) হবেনা।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি পবিত্র কাপড়ে ঈশার নামাজ পুনরায় আদায় করবেন।