আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
333 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু


শাইখ,আমার প্রশ্নটা হলো ঃসহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে উপার্জিত অর্থ হালাল হবে কি না। যদি ও আমি এই প্রশ্নট পূর্বে ও করেছি,উত্তর ও পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু আরেকটু ক্লিয়ার হওয়ার জন্য আবার প্রশ্নটি আপনাকে করা,বার বার বিরক্ত করার জন্য ক্ষমা পার্থি।শাইখ,আমি লক্ষ্য করালাম যে এই ইনকাম কয়েকজন আলেম হারাম বলেছেন আবার কয়েকজন আলেম বলেছেন হালাল।আমি আপনার থেকে সন্তোষজনক উত্তর ই পেয়েছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু, শাইখ ড.মঞ্জুর এলাহির একটা লেকচার আমাকে খুব ভাবাচ্ছে।http://sharevideo1.com/v/VnpSMnFsVGJiaTQ=?t=ytb&f=coউনি বলেছিলেন যে," শরিয়ার একটা মূলনীতি হলো,! যা কিছু নিষিদ্ধ তা করে যদি কেউ ইনকাম করে তাহলে তার সেই ইনকাম ও নিষিদ্ধ!যেমন কেউ যদি সিগেরেট প্রডিউস করে ইনকাম করে সেটা হারাম ইনকাম, কেউ যদি সিগেরেট সার্ভিস দিয়ে ইনকাম করে সেটা হারাম ইনকাম,।আমরা জানি,অশ্লিল কোনো কথা কাজ করে কেউ যদি ইনকাম করে সেটা হারাম ইনকাম, চুরির মাধ্যমে যদি কেউ ইনকাম করে সেটা হারাম ইনকাম। অতএব,হারাম কোনো কাজ করে যদি কেউ ইনকাম করে সেটা ও হারাম ইনকাম""।এই কথা গুলো ই শাইখ তার লেকচারে বলেছিলেন।শাইখের,আরেকটা লেকচার ঃhttp://sharevideo1.com/v/dGpvUFN5Y0RVeXc=?t=ytb&f=co, ।এই লেকচারটা ও যদি একটু দেখতে.।


আর,আমি গতকাল রাতে প্রফেসর মোখতার আহমেদ কে লাইভে জিজ্ঞাস করেছিলাম।উনি লাইভের এক্কেবারে শেষ পর্যায়ে উত্তরটা দিয়েছিলেন খুবই সংখেপে,।উনি বলেছিলেন যে,চাকরি করা টা নাজায়েজ হবে।উনি আরো বলেছিলেন যে,পর্দা রক্ষা করা ফরজ। কিন্তু, সংংক্ষিপ্ত আলোচনা বিধায় আমি ঠিক ভাবে বুঝতে পারি নি।


কিন্তু, আমার মাথায় একটা ঘুরপাক খাচ্ছে যে,শিক্ষকেরা তো আর সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছেলে মেয়েদের একসাথে বসানোর মাধ্যমে ফেতনা সৃষ্টি করার জন্য তো আর টাকা পাচ্ছেন না!কিংবা উনাদের পর্দা ভঙ করার জন্য ও কোনো টাকা পাচ্ছেন না!


উনারা তো জাস্ট স্টুডেন্ট দের পড়ানোর জন্য ই সরকার থেকে টাকা পাচ্ছেন,পড়ানোর বিনিময়ে।উল্লিখিত আমার চিন্তা ভাবনা গুলো কতটুকু যুক্তিযুক্ত?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তে পর্দা ফরজ।
সুতরাং সহ শিক্ষা মূলক প্রতিষ্ঠানে কেহ চাকরি করলে 
পর্দা মেইনটেইন করেই সকলের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
নতুবা পর্দার খেলাফ কোনো কাজ করার গুনাহ হবে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ       

قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠] 

وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١] 

মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩০-৩১}

وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ

অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন , 
পড়ানোর বিনিময়ে বেতন দেওয়া হয়, তাই কেহ যদি সহশিক্ষা সম্বলিত প্রতিষ্ঠানে  নিয়ম অনুসারে কোনো প্রকার অবহেলা-অলসতা না করে ঠিকমত পড়ান, তাহলে যে বেতন পাবে সেটা তার জন্য হালাল হবে।
কেননা তিনি ক্লাশের বিনিময়েই বেতন নিচ্ছেন,আর তিনি ছেলেদেরও ক্লাশ নিচ্ছেন,পুরো সময়টা তিনি এই কাজেই ব্যায় করছেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় নিয়ম মেনে চলছেন,আরো আনুষাঙ্গিক কাজও করছেন,এই সময়ে চাইলে তিনি ব্যবসা বাণিজ্যও করতে পারতেন,তা না করে তিনি জীবনের পুরো সময়টাতে তিনি সেই প্রতিষ্ঠানে  শিক্ষাদানের পিছনেই খরচ করছেন।
,
তবে শরয়ী পর্দা মেইনটেইন না করলে সর্বদা পর্দা লঙ্ঘনের গোনাহে লিপ্ত থাকবে।

আরো জানুনঃ 

★সুতরাং তাকওয়ার খাতিরে তো এ চাকুরী ছেড়ে দেওয়া উচিত। 
তদুপরি যদি চাকুরী চালিয়ে গেলে শরীয়াহ নীতিমালা মেনে চলতে হবে।
দৃষ্টির হেফাজত করতে হবে।
অপ্রয়োজনীয় কথা বলা যাবেনা,ফিতনার আশংকা থাকা যাবেনা,ইত্যাদি ইত্যাদি।         
এহেন শর্ত মেনে চাকুরী করতে না পারলে  এ চাকরি ছেড়ে দিতে হবে।

কারণ, পার্থিব লাভ অর্জনের চাইতে দীনদারি রক্ষা করার গুরুত্ব অবশ্যই বেশি। যদি এমনটি করতে পারে, তাহলে আল্লাহ তাআলা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন,

وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا . وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ
আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতির পথ করে দেবেন এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। (সূরা তালাক ২,৩)

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...