আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লোহ। আমি ইতিকাফের অনেক ফযিলত শুনেছি আর জেনেছি নারীরা ঘরে শেষ দশ দিনে বা তার চেয়ে কম দিনও ইতিকাফ করতে পারবেন। কিন্তু ইতিকাফ কী, কীভাবে করতে হয়, ভঙ্গের কারণ বা যা করলে ভঙ্গ হবে না এসব কিছু এখনও সঠিকভাবে বুঝতে পারিনি। তা একটু জানালে মুনাসিব হতো। আর আমি যতটুকুই জেনেছি সেই স্বল্প জ্ঞান নিয়েই ইতিকাফে বসেছিলাম দুবার আলহামদুলিল্লাহ। তো আমি একটু সন্দিহান যে আমার ইতিকাফ ভেঙ্গে গেছে কিনা। আমি হাম্মামখানায় ইস্তিঞ্জা করার পর জামাকাপড় পাল্টিয়ে পাশে রেখেছিলাম, আর হাম্মামের পাশেই ছিল বেসিন, ওখানেই আমি ওযু করি। তো ওযু করার পর আমি ঘরের যে দিকে পর্দা টানিয়ে ইতিকাফ করছিলাম ওই দিকের জন্য রওয়ানা দিলাম। তারপর দু কদম যাবার পর আমার জামাকাপড়ের কথা মনে পড়লে আমি আবার ফিরে এসে জামাকাপড় নিয়ে পরে যাই। এতে কি ইতিকাফ ভাঙ্গবে? যেহেতু ইতিকাফে ওযু-ইস্তিঞ্জা-ফরয গোসল ছাড়া বের হওয়া যায় না আর এগুলো সেরে দ্রুত ইতিকাফের স্থানে ঢুকতে হয় কোনোদিকে সময় নষ্ট না করে। আমি না আনলেও তো অন্য কেউ নিয়ে আসতো আমার জামাকাপড় তাই বলছিলাম আর কি।
তাছাড়া আমার ছোট বোন অনেক কাঁদে আমি ইতিকাফে গেলে, তখন ওর দিকে যে তাকাই না ও ডাকলেও, ও ব্যাথা পেলেও যে ওকে আদর করি না তাই। ইতিকাফে বাচ্চাদের সাথে তো আর কথা বলা বা আদর করা বা তাকানো বা যে কোনো মানুষের দিকেই তো অত্যাধিক প্রয়োজন (যা না করলেই নয়) ছাড়া তাকানো যায় না, তাই না? তারপর কেউ দরজা ধাক্কাচ্ছে, সবাই ঘুমে থাকায় তাদের ডাকাডাকি করা যাবে না যেন দরজা খুলতে পারে?
আমি তো খাটের এক সাইডে ইতিকাফ করি। তাই নামাজের জন্য তো বের হতে পারব, তাই না? আর তাহলে কি নামাজের স্থানে নামাজ শেষ করে অন্যান্য কাজ যেমন তাসবিহ পড়া যেগুলো দিনে ১০০ বার পড়তে হয় এগুলো করতে পারব? নাকি নামাজ শেষে দ্রুত ইতিকাফের স্থানে ঢুকা উচিত? আমি নমাজ পড়ব বলে গোসল শেষে সোজা জায়নামাজে দাঁড়িয়ে গেছিলাম ইতিকাফ অবস্থায়। তখন ওখানে ভেজা চুল মুছছিলাম। কয়েক সেকেন্ড পর ইতিকাফের কথা মনে পরলে ইতিকাফের স্থানে গিয়ে চুল মুছে তারপর জায়নামাজে দাঁড়িয়ে হিজাব পড়ে নামাজ শুরু করেছি। এতে কি ইতিকাফ ভেঙেছে?
★রোজা অবস্থায় যখন মেসওয়াক করি, সর্বপ্রথম তো তা ধুতে হয়। তারপর দাঁত মাজলে তো মেসওয়াক থেকে পানিটা নিঃসৃত হয়, সেটা পেটে চলে গেলে কি রোযা ভাঙবে?