বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)সূর্য উঠার পূর্বে সংক্ষেপে ফজরের সুন্নত ফরয পড়ে নিবেন।যদি আপনার নামায পড়তে স্বাভাবিকত দেড়ী হয়,তাহলে শুধুমাত্র ফরয পড়ে নিবেন।সুন্নত সূর্য উঠার পর পড়বেন।কিন্তু কখনো যদি ঘটনাক্রমে সুন্নত পড়ার পর দেখেন যে,সূর্য উঠার প্রায় নিকটবর্তী, তাহলে তখন আর ফরয পড়বেন না।কেননা সূর্য উঠার সময়ে ফজরের নামায পড়লে সেই নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
মাকরুহ তিন ওয়াক্তে যদি কেউ নামায পড়ে নেয়,তাহলে তার নামায কি বাতিল বলে গণ্য হবে? না তার নামায হয়ে যাবে?
চার মাযহাব সম্বলীত নির্ভর্যোগ্য ফেক্বাহী গ্রন্থ "আল-ফেকহু আলাল মাযাহিবিল আরবা'আহ"
ولكن اتفق ثلاثة من الأئمة على أن الصلاة تكون صحيحة متى وقعت بعد دخول وقتها، وخالف الحنفية في ثلاثة من الأئمة على أن الصلاة تكون صحيحة متى وقعت بعد دخول وقتها، وخالف الحنفية في ثلاثة أوقات، فقالوا: إن الصلاة المفروضة لا تنعقد فيها أصلاً،
ইমাম শাফেয়ী রাহ, ইমাম মালিক রাহ,আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ এর মতে নামাযের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর যখনই আদায় করা হোক না কেন?সেটা বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।চায় তিন মাকরুহ ওয়াক্তের কোনো ওয়াক্তেই আদায় করা হোক না কেন?হানাফি উলামায়ে কেরাম ঐ মাকরুহ তিন ওয়াক্ত সম্পর্কে মতবিরোধ করেন।তারা বলেন,ঐ সময়ে মূলত নামাযই আদায় হবে না।(এই মতানৈক্য ফরয নামাযকে নিয়ে)বিস্তারিত জানুন-
471
(২)আপনি যে হাদীস শুনেছেন, সে হাদীসের ব্যখ্যা হল,ফজেরের ওয়াক্তে সূর্যোদয় ব্যতীত অন্যান্য যে সময়ই ঘুম ভাঙ্গবে, তখনই নামায পড়বেন।সুতরাং সূর্যাস্তের সময় মাগরিবের নামায পড়তে পারবেন।