জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আযানের জওয়াব মুখে দেওয়া মুস্তাহাব।
আর আমলের মাধ্যমে জওয়াব দেওয়া ওয়াজিব।
অর্থাৎ কাজ বাদ দিয়ে অযু,মসজিদের দিকে গমন,পোশাক পরধান ইত্যাদির মাধ্যমে নামাজ আদায়ের প্রস্তুতি নেওয়া ওয়াজিব।
এটাকেই বলা হয় আমলের মাধ্যমে জওয়াব দেওয়া ।
وفی الشامیۃ (۳۹۶/۱): (قولہ قال الحلوانی ندبا الخ) ای قال الحلوانی ان الاجابۃ باللسان مندوبۃ والواجبۃ ھی الاجابۃ بالقدم
যবান দ্বারা আযানের জওয়াব দেওয়া মুস্তাহাব। চলার মাধ্যমে আযানের জওয়াব দেয়া ওয়াজিব
,
(০২)
মুক্তাদি ঐ সময় যাহা কিছু পড়বে,মনে মনে পড়বে।
,
(০৩)
,
ইব্রাহিম আঃ তার পিতা মাতার জন্য মাগফিরাত এর দোয়া করেছিলেন।
এই দোয়া করেছিলেনঃ
رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ
(سورۃ ابراھیم، آیت:41)
,
ইবরাহীম আঃ তার পিতা মাতার জন্য মাগফিরাত এর দোয়া ঐ সময় করেছিলেন,যখন তাকে কাফেরদের জন্য দোয়া করা থেকে নিষেধ করা হয়নি।
(তাফসিরে মাআরিফুল কুরআন।
অমুসলিমের জন্য দোয়া সংক্রান্ত জানুন
,
(০৪)
সন্তানদেরকে ইসলামী সভ্যতা (তাহযীব) শেখানো, দ্বীন ও শরীয়তের মৌলিক বিষয়াদি শেখানো এবং একজন দ্বীনদার-নামাযী ও প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাও মা-বাবার দায়িত্ব ও কর্তব্য।
হাদীস শরীফে এসেছে- ‘জেনে রেখ, তোমরা প্রত্যেকে দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেককে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। পুরুষ তার পরিবারবর্গের ব্যাপারে দায়িত্বশীল। তাদের ব্যাপারে তাকে জবাবদিহি করতে হবে।’ -সহীহ বুখারী ১/২২২ হাদীস ৮৯৩
সুসন্তান যেমন মা-বাবার জন্য দুনিয়া ও আখিরাতের বড় সম্পদ এবং সদকা জারিয়া তেমনি সন্তান যদি দ্বীন ও শরীয়তের অনুগত না থাকে, দুর্নীতি ও গুনাহে লিপ্ত হয়ে যায় তাহলে সে উভয় জগতেই মা-বাবার জন্য বিপদ। দুনিয়াতে লাঞ্ছনা, বঞ্চনা ও পেরেশানির কারণ। আর কবরে থেকেও মা-বাবা তার গুনাহর ফল ভোগ করতে থাকবে। আখিরাতে এই আদরের দুলালই আল্লাহ তাআলার দরবারে মা-বাবার বিরুদ্ধে আপিল করবে যে, তারা আমাকে দ্বীন শেখায়নি। তাদের দায়িত্ব পালন করেনি। তাই এই আমানতের হক আদায়ের প্রতি খুবই যত্নবান হতে হবে।
সুতরাং আপনি যদি আপ্রান চেষ্টা করেন দ্বীনের পথা চলানোর জন্য,তারপরেও সন্তা না শোনে,তাহলে পিতামাতার কোনো গুনাহ হবেনা
কবরে গিয়ে তারা গুনাহের ভাগিদার হবেনা।
কুরআন শরীফে এসেছেঃ
وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَىٰ ۚ
আল্লাহ তায়ালা কাহারো গুনাহের বোঝা অন্যের উপর চাপিয়ে দিবেননা।
(সুরা ফাতির ১৮)
,
(০৫)
এরকম বসাতে কোনো সমস্যা নেই।
,
(০৬)
আশা করা যায় যে এই আমল দ্বারা আমরাও অন্যের হক নষ্টের গুনাহ থেকে বাঁচতে পারবো।
ইনশাআল্লাহ
,
(০৭)
কুরআন শরিফে এরশাদ হয়েছেঃ
وَيَطُوفُ عَلَيْهِمْ غِلْمَانٌ لَّهُمْ
তাদের খেদমতের জন্য ঘুরতে থাকবে তাদের জন্য নিযুক্ত সেবক বালক। (সুরা তুর ২৪)
তারা সাথে নিয়ে ঘুরবে,খেদমত করবে।
তাদের সাথে সহবাস করা হবেনা।
,
(০৮)
এই ব্যাপারে স্পষ্ট আকারে কোথাও পাইনি।
,
(০৯)
জান্নাতুল ফেরদাউস : ফেরদাউস এমন জান্নাতকে বলা হয়, যাতে সব ধরনের গাছপালা এবং বিভিন্ন বাগানে যা থাকে তার সবই এক জায়গায় এখানে পাওয়া যায়। জান্নাতগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ জান্নাত হচ্ছে জান্নাতুল ফেরদাউস। এ জান্নাতের ওপর আল্লাহর আরশ অবস্থিত। আল্লাহ নিজ হাতে এটি তৈরি করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তিনটি জিনিস নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন, আদমকে তাঁর হাতে সৃষ্টি করেছেন, তাওরাত কিতাব নিজ হাতে লিখেছেন এবং ফেরদাউস নিজ হাতে স্থাপন করেছেন।’ (দায়লামি)।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের মেহমানদারির জন্য রয়েছে জান্নাতুল ফেরদাউস।’ (সূরা কাহাফ : ১০৭)।
,
★সুতরাং জান্নাতুল ফেরদৌসের উপরেই আরশ হবে।
এটার সবচেয়ে উপরের স্তর।
জান্নাতুল আদন এমন উঁচু স্তরের নয়।