بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/61962/ ফাতওয়াতে উল্লেখ
করা হয়েছে যে,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْعَلَاءِ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَوْكَرِ بْنِ
رَافِعٍ الطُّوسِيُّ ، نَا أَبُو إِسْحَاقَ الضَّرِيرُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ
زَكَرِيَّا ، نَا ثَابِتُ بْنُ حَمَّادٍ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ ، عَنْ
سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ ، قَالَ : أَتَى عَلَيَّ
رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَنَا عَلَى بِئْرٍ
أَدْلُو مَاءً فِي رِكْوَةٍ لِي ، فَقَالَ : يَا عَمَّارُ ، مَا تَصْنَعُ ؟ قُلْتُ
: يَا رَسُولَ اللَّهِ ، بِأَبِي وَأُمِّي ، أَغْسِلُ ثَوْبِي مِنْ نُخَامَةٍ
أَصَابَتْهُ . فَقَالَ " يَا عَمَّارُ ، إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ
خَمْسٍ : مِنَ الْغَائِطِ ، وَالْبَوْلِ ، وَالْقَيْءِ ، وَالدَّمِ ، وَالْمَنِيِّ
، يَا عَمَّارُ ، مَا نُخَامَتُكَ وَدُمُوعُ عَيْنَيْكَ وَالْمَاءُ الَّذِي فِي رِكْوَتِكَ
إِلَّا سَوَاءٌ "
আহমাদ ইবনে আলী ইবনুল 'আলা (রহঃ) ... আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি
পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো?
আমি বললাম,
ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার
জন্য কোরবান হোক। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি
বলেনঃ হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজনঃ বিষ্ঠা,
পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য। হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা,
তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির
পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকীর হুকুমের ক্ষেত্রে)।
(সুনানে দারা কুতনি ৪৫০)
★প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি
যেহেতু ইস্তিঞ্জার পর শরীর ধুয়ে নিয়েছেন, তারপর গামছা দিয়ে নিতম্ব মুছে ফেলেছেন,সুতরাং এক্ষেত্রে যেহেতু আগে শরীর ধুয়ে নিয়েছেন,তাই আপনার গামছা নাপাক হবেনা।
তাই গামছা দিয়ে শরীর মোছার পর শরীর ও ভেজা
হাতের ছোয়া লাগা কোনো কিছুই নাপাক হয়ে যাবেনা।
অতএব প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে ইস্তিঞ্জার পর শরীর
ধুয়ে নেওয়ার ফলে আপনার শরীর ও গামছা উভয়টি পবিত্র। আপনি যদি এমতাবস্থায় অজু
করে সালাত আদায় করেন তাহলে আপনার সালাত সহিহ হবে ইনশাআল্লাহ।