ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হাজত দুই প্রকারঃ- যথাঃ-
(ক)হাজতে শরঈ তথা যে সমস্ত জিনিষকে শরীয়ত কারো উপর ফরয বা ওয়াজিব করেছে সেগুলো হাজতে শরঈ বলে।
(খ)হাজতে তবয়ী:প্রস্রাব পায়খানা।এই দুই প্রকার হাজতকে এ'তেক্বাফকারী পূর্ণ করতে পারবে।স্বাভাবত মানুষের যে সমস্ত প্রয়োজন থাকে সেসব প্রয়োজনের স্বার্থে তিনি এ'তেক্বাফ থেকে বের হতে পারবেন।প্রস্রাব পায়খানা,ওজু ফরয গোসল ইত্যাদির জন্য।তবে শীতিলতা অর্জনের নিমিত্তে উনি গোসলে যেতে পারবেন না।খানা পাকানোর জন্য মহিলা পাকঘরে যেতে পারবেন না।তবে প্রয়োজনে তিনি এ'তেক্বাফ স্থলে খানাকে রান্না করে নিতে পারবেন।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-১০/২৫১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ইতিকাফের রুকুন বা ফরয হল, ইতিকাফ স্থলে অবস্থান করা, ইতিকাফ স্থল থেকে এক মূহুর্তের জন্য বাহির হয়ে গেলে ইতিকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/16179
(১) কেউ পুরো রমজান ইতিকাফের নিয়তে প্রবেশ করলে তাকে আবার শেষ দশকের জন্য আলাদা নিয়ত করতে হবে না।
(২) মসজিদের যতটুকু সীমানা রয়েছে।মসজিদের সীমানা বা বিল্ডিং থেকে বাহিরে এক মুহূর্তের জন্য গেলেও ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যায়।সুতরাং বিড়াল দেখার জন্য ঐ ভাই মসজিদ থেকে যে, বের হয়েছেন, সেজন্য উনার ইতিকাফ নষ্ট হয়ে গেছে।
(৩) রমজানে প্রথম ২০দিন ইতিকাফ তো মুস্তাহাব। এটা ভাঙলে কাযা আদায় করতে হবে না।
(৪)মসজিদের ভিতরে ইমাম সাব বা মুয়াজ্জিন সাবের জন্য এক পাশে রুম থাকে। ইতিকাফ অবস্থায় সে রুমে যাওয়া যাবে।
(৫)খাবার তৈরি করার জন্য বিভিন্ন কারণে বারবার অযুখানায় যেতে হয়, এতে ইতিকাফ নষ্ট হবে না।
(৬)মসজিদের ভিতরে উপরে নিচে উঠার সিড়ি থাকলে সেই সিড়িতে বসা যাবে।
(৭)সমবয়সী অনেকে একসাথে হলে দুনিয়াবি কথা এসে পড়ে। এতে ইতিকাফ নষ্ট হবে না।তবে বিনা প্রয়োজনে কথা বলা মাকরুহ।
(৮)ইতিকাফ রত অবস্থায় মসজিদের খাদেমকে সাহায্য করলে ইতিকাফের কোনো ক্ষতি হবে না। যেমন, মসজিদ পরিষ্কার, পাটি ঝাড়ু দেওয়া, মসজিদ মুছা ইত্যাদি।
(৯)মসজিদে যদি রান্না করতে হয়, খাবার এর জন্য ইতিকাফরত অবস্থায় মসজিদের বাইরে বসে, রান্না করা যাবে। যদি তার খাবারের অন্য কোনো ব্যবস্থা না থাকে।তবে তিনি অতিরিক্ত কোনো কথা বলতে পারবেন না।কেননা মসজিদের ভিতর খাবার তৈরী করা যায় না।এখানে জরুরত রয়েছে।তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে সেই জরুরত নেই,তাই তারা ইতিকাফ স্থলেই রান্না করবেন।
(১০)যদি রান্না করা অবস্থায় বাইরে বসে ব্যায়াম করে অথবা রান্না করা শেষ তাও বাইরে ব্যায়াম করছে, এতে ইতিকাফ নষ্ট হবে।
(১১)মসজিদের ভিতরে ব্যায়াম করলে ইতিকাফ নষ্ট হবে না।